হায়েজ অবস্থায় আমূল সমূহ

হায়েজ অবস্থা বলতে সাধারণত বোঝানো হয়েছে মেয়েদের প্রতি মাসে যে ঋতুস্রাব হয় সেই সময়টিকে। পিরিয়ডের অবস্থায় একজন মহিলা কোন কোন আমল করতে পারে এবং এই সময় কোন আমল করতে বলা হয়েছে সে সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞাত রয়েছেন। আজকে আমরা কোরআন এবং হাদিসের আলোকে এই সকল আমলগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এবং আপনারা যারা এই সম্পর্কে জানেন না তাদের জানানোর চেষ্টা করব।

যারা মহিলা রয়েছেন তারা অবশ্যই ধৈর্য সহকারে হায়েজ অবস্থায় আমল গুলো সম্পর্কে আমাদের এখান থেকে তথ্য জানবেন। অবশ্যই হারিয়ে যে অবস্থায় কিছু আমল করা যায় যে আমলগুলো যারা আপনি এই অবস্থাতেও আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হিসেবে থাকতে পারেন। তাহলে চলুন কোরআন এবং হাদিসের আলোকে হায়েজ অবস্থার আমল গুলো সম্পর্কে জানি।

মাসিক অবস্থায় মেয়েরা কোন আমল করতে পারে

মাসিক অবস্থায় মেয়েদের বিভিন্ন আমলে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তবে অবশ্যই এখানে কিছু আমল রয়েছে যে আমলগুলো একজন মেয়ে মাসিক অবস্থায় করতে পারবে। চলুন নিচের তালিকা থেকে আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি এবং জানার চেষ্টা করি সে সম্পর্কে কোন হাদিস বা কোন কোরআনের আয়াত বর্ণনা করা হয়েছে।

হায়েজ অবস্থায় জিকির করা যায়। হঠাৎ একটি মেয়ের যখন মাসিক হবে তখন সে দাঁড়িয়ে বসে শুয়ে অথবা যে কোন অবস্থাতে জিকির করতে পারবে এটার জন্য অজুর প্রয়োজন হবে না। আমরা সকলে অবগত আছি যে জিকির করার সময় ওযুর প্রয়োজন হয় না যে কোন অবস্থাতেই আমরা জিকির করতে পারি। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,”তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বক্ষণ আল্লাহর জিকির করতেন”।

আমরা এই প্রসঙ্গে অন্য একটি হাদিস পেয়েছি এবং সেই হাদিসে মায়মার রহমাতুল্লাহ হু আনহা বলেন, আমি জহুরী রাহ কে জিজ্ঞাসা করলাম, “ঋতুস্মতি নারী ও তার ওপর গোসল ফরজ হয়েছে সে আল্লাহর জিকির করতে পারবে? তিনি বললেন হ্যাঁ পারবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবে? তিনি বললেন না। ” (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক হাদিস নাম্বার ১৩০২)

উপরের হাদিস থেকে আমরা দুইটি বিষয়ে পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছি যে এই অবস্থাতে মেয়েরা আল্লাহ তায়ালার জিকির সব সময় করতে পারবে কিন্তু কোরআন মাঝে তেলাওয়াত করতে পারবে না।

ইব্রাহিম নাখায়ী রহমাতুল্লাহ বলেন”ঋতুর্ষটি নারী ও যার উপর গোসল ফরজ হয়েছে সে আল্লাহর জিকির করতে পারবে এবং বিসমিল্লাহও পড়তে পারবে” । মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক হাদীস ১৩০৫; হতাওয়া হিন্দিিয়া ৩৮।

উপরের হাদিসগুলো থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছি এই সময় একটি মেয়ে আল্লাহ তাআলার জন্য জিকির করতে পারে। তার কারণ হলো আল্লাহ তায়ালার জিকির এমন একটি জিনিস যার জন্য আপনার আলাদা ভাবে অজু করার প্রয়োজন নেই আপনি যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন আপনি আল্লাহ তাআলার জিকির করতে পারেন। তবে অবশ্য এখানে নামাজ কোরআন তেলাওয়াত রোজা রাখা এগুলো করতে বারণ করা হয়েছে তাই অবশ্যই এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। এটি এমন একটি অবস্থা যেটা আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছে করে আপনাদের দিয়েছে তাই এখানে আপনি জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করুন এবং আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই আপনার উপর সন্তুষ্ট থাকবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *