হাসাবুনাল্লাহু ওয়া মিনাল ওয়াকিল পড়ার ফজিলত

আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে আমাদের ওয়েবসাইট সবসময় এমন কিছু আমল এবং এমন কিছু ইবাদতের কথা উল্লেখ করে যেগুলো প্রাত্যহিক জীবনে আমরা খুব সহজেই করতে পারব। আজকে যে আমল প্রসঙ্গে কথা বলা হবে সাধারণত সেটা মানুষের খারাপ অবস্থায় মানুষকে সাহায্য করবে। আমাদের পৃথিবীর জীবন ব্যবস্থা সবসময় অনুকূল অবস্থায় থাকে না কখনো আমরা ভালো থাকে আবার কখনো খারাপ থাকি।

যদিও আমাদের মূল লক্ষ্য থাকা উচিত আখিরাতের জীবনের ওপর তারপরও যখন আমরা এই জীবনে বিপদে পড়ি তখন আল্লাহতালার কাছে বিভিন্নভাবে প্রার্থনা করি বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। এই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যে বিশেষ একটি আমল রয়েছে হাছাবুনাল্লাহু ওয়া মিনাল ওয়াকিল সে সম্পর্কে আজকে জানার চেষ্টা করবে এবং এই আমল কিভাবে করবেন সেটা জানার চেষ্টা করব।

যে কোন বিপদে সম্মুখীন হলে কোন দোয়াটি বেশি বেশি করব

সাধারণত কোরআনে যে আয়াতগুলো বর্ণনা করা হয়েছে সেই আয়াতগুলোর বহু মাত্রিক ব্যবহার রয়েছে এবং সেই আয়াতগুলোর যদি সঠিক ব্যবহার আমরা করতে পারে তাহলে অনেক ক্ষেত্রে আমরা বিপদমুক্ত হতে পারি। কুরআন মাজীদের সূরা আলে ইমরানের ১৭৩ নাম্বার আয়াতে এবং সূরা আনফালের 40 নাম্বার আয়াত এ রঙ সে মিলিত রূপ হচ্ছে এটি।

এটার অর্থ হচ্ছে “আল্লাহ তালাই আমাদের জন্য যথেষ্ট তিনিই হলেন উত্তম কর্ম বিধায়ক, আল্লাহ তালাই হচ্ছে উত্তম অভিভাবক ও উত্তম সাহায্যকারী”

আমরা যখন বিপদে পড়বো তখন এই আয়াতগুলো অবশ্যই করবো এবং যেকোনো অন্যায় অত্যাচার থেকে মুক্তি পাবো। এই দোয়া গুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের উপর খুশি হয়ে আমাদের বিপদ থেকে মুক্তি করে সেই আমল বেশি বেশি করার চেষ্টা করব।

আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার দোয়া

“হাসাবুনাল্লাহু ওয়া মিনাল ওয়াকিল”এই অংশটি একটি কোরআনের আয়াত এবং এটা পড়ার কথা একটি পবিত্র হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। যখন হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কে আগুনে নিক্ষেপ করা হলো এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত দোয়াটি পাঠ করেন যেটা বুখারি হাদিস শরীফের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। এই হাদিসটি আমরা পাব বুখারি হাদিস ৪৫৬৩ নাম্বার হাদিসে এবং কোরআনের আয়াত আলে ইমরান সূরার 173 নাম্বার আয়াতে।

এছাড়া আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বিশেষ দোয়া পাঠ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন (তিরমিজি হাদিস ৩২৪৩ এবং আল হাদিস আল সহিহা ১০৭৯)

এটি যে কোন দোয়ার সঙ্গে যুক্ত করে পাঠ করা যায় এবং এতে কোন বাধা নেই এবং যে কোন দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে এই দোয়ার মাধ্যমে আপনি প্রার্থনা করতে পারেন। আল্লাহতালার উপর পূর্ণতা আকুল প্রকাশের জন্য এখানে উল্লেখিত উপরোক্ত ইসলামিক দোয়া পাঠ করা যায় আর এই ফজিলত অনেক বেশি যেটা আমরা উপরের হাদিসগুলো থেকে বুঝতে পেরেছি।

আবু সাইম খুদরী রহমাতুল্লাহ থেকে বর্ণিত কেয়ামতের বর্ণনা শুনে সাহাবীরা ভীত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়া পড়তে বলেন (সুনানে তিরমিজি হাদিস নাম্বার ২৪৩১) ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *