গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল

মায়েদের গর্ভে যখন সন্তান আসে তখন মায়েরা সবসময় পবিত্র অবস্থায় থাকেন এবং সেই পবিত্র অবস্থায় থাকার সময় যদি সে কোন আমল করেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা সঙ্গে সঙ্গে সে আমলের ফজিলত তাকে দিবেন। মাহাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা একজন মেয়েই উপলব্ধি করতে পারেন এবং যারা মা হতে পারেন তারা সব থেকে ভাগ্যবান। তাই অবশ্যই আমাদের সুযোগ বুঝে আমল করতে হবে।

যারা গর্ভবতী মা আছেন তারা যেকোনো ধরনের আমল করতে পারেন কারণ হলো তারা গর্ব অবস্থায় বেশিরভাগ সময় বিশ্রামে থাকবেন। বিশ্রামে থাকা অবস্থায় যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের আমল তিনি করতে পারেন। অনেকে জানতে চেয়েছিলেন গর্ব অবস্থায় সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল সম্পর্কে। আজকে আমরা সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব এবং আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব একজন গর্ভবতী মা গর্ভাবস্থায় কি কি আমল করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় সন্তান ফর্সা হওয়া সম্পর্কে যে আমল রয়েছে

সাধারণত গর্ভাবস্থায় ছেলে সন্তান ফর্সা হবে এমন কোন নির্দিষ্ট আমল উল্লেখ করা নেই। তবে হ্যাঁ আপনি নেককার সন্তান চাইতে পারেন এবং নেককার সন্তান এবং সুন্দর সন্তান চাওয়াটা আপনার অধিকার। আল্লাহ তাআলা তার কোরআন এবং নবীজির সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করতে বলেছেন আপনারা যদি সেই সুন্নাহ এবং কোরআন মেনে আমল করেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আপনার দোয়া কবুল করবে।

আমরা কোরআনে এবং বিভিন্ন হাদিসে দেখেছি যে সন্তানের জন্য বাবা-মা যে দোয়া করেন সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন হয়ে যায় তাই আপনার যে সন্তান আপনার গর্ভে আছে সেই সন্তানের জন্য আপনি যখন আমল করবেন এবং দোয়া করবেন আল্লাহ তা’আলা কোনভাবে সেটা ফিরিয়ে দিতে পারবে না।

বর্তমানে গর্ভবতী মায়েরা চেষ্টা করুন সব সময় যখন ইসলামে থাকবেন কোনভাবেই কোন মুহূর্তকে নষ্ট না করা এবং যখন যেভাবে সম্ভব আল্লাহ তারাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে আমল করার। নিচে আমরা গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের কি কি আমল করা উচিত সে সম্পর্কে আলোচনা করব।

গর্ভবতী নারীর আমল

গর্ভবতী মায়েরা বেশিরভাগ সময় বিশ্রামে থাকেন এবং সেই বিশ্রামে থাকা অবস্থায় সে তার সন্তানের জন্য আমল করতে পারেন এবং নিজের সুস্থতার জন্য আমল করতে পারেন। আমরা কয়টি আমাদের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরব প্রাথমিকভাবে আশা করবো সেই আমলের ওপর ভিত্তি করে আপনারা আপনাদের গর্ভাবস্থার প্রত্যেকটি দিনকে সুন্দরভাবে সাজাবেন।

সবার প্রথমে গর্ভাবস্থায় আপনাকে যতটা সম্ভব পার করতে থাকার চেষ্টা করতে হবে। অবশ্যই আমাদের বিবেক দ্বারা যদি আপনার প্রশ্ন করি কোনটা সঠিক এবং কোনটা বেঠিক সে সম্পর্কে আমরা বুঝতে পারবো।তাহলে গর্ভাবস্থায় আপনি যখন কোন কাজ করতে যাবেন তখন সেটা সঠিক কাজ না বেঠিক কাজ সেটা অবশ্যই বিবেককে প্রশ্ন করে সঠিক কাজগুলো করুন এবং যেগুলো পাপের কাজ সেগুলো বর্জন করার চেষ্টা করুন।

গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি করে ইস্তেফা তওবা পাঠ করতে হবে। দূর সালাম পাঠ করতে হবে নবীজির উদ্দেশ্যে গর্ভাবস্থায়। সাধারণত এই অবস্থায় একজন নারী বেশিরভাগ সময় বসে শুয়ে থাকেন তাই যে কোন মুহূর্তে তিনি এই আমল গুলো করতে পারেন মনে মনে অথবা জোরে জোরে।

গর্ভাবস্থায় ফরজ কাজগুলো আদায় করতে হবে। যে ফরজ কাজগুলো আমাদের করতে বলা হয়েছে গর্ভাবস্থায় অবস্থায় সেই ফরজ কাজগুলো আপনাকে আদায় করতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হবে সেটা যদি সম্ভব না হয় দাঁড়িয়ে আদায় করার আপনি চাইলে ইশারার মাধ্যমেও সেটা আদায় করতে পারেন। ভালোবাসায় যদি রমজান মাস আপনার ভাগ্যে জোটে তাহলে আপনি এ রমজান মাসে সিয়াম পালন করতে পারেন। তবে এখানে অবশ্যই আপনার সন্তানের কথা চিন্তা করে আপনার শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সিয়াম পালন করতে হবে। সঠিকভাবে দুর্বল হলে আপনাকে সিয়াম পালন করতে বাধ্য করা হয়নি পরবর্তীতে আপনি এই সিয়ামটি পালন করে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *