শুক্রবারের আমল – জুমার দিনের ১১ টি আমল

ধর্মপ্রাণ প্রাণ ঈমানদার মুসলমানদের কাছে সপ্তাহে আমল করার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে দিনটি রয়েছে সেটি হচ্ছে জুমার দিন। এই জুমার দিনের আমলের বেশ ফজিলত রয়েছে তাই অবশ্যই আপনার কাছে যদি সুযোগ থাকে একটি জুমার দিনে আমল করার তাহলে ঈমানদার হিসেবে এই দিনটি কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়।

জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আমরা আজকে জুমার দিনের এমন বিশেষ ১১ টি আমলের কথা বলব যে আমলগুলো করলে আপনি আপনার আমলনামায় শুধু সোয়াব যুক্ত করবেন এমন নয় আপনি আল্লাহর কাছে একজন প্রিয় বান্দা হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারবেন। সাধারণত জুম্মার দিনে আমাদের সকল ব্যস্ততা দূরে থাকে এবং আমাদের উচিত সপ্তাহে অন্তত এই দিন আমাদের সৃষ্টিকর্তার প্রতি সব সময় আনুগত্য থাকা এবং পুরোটা দিন তার জন্য ব্যয় করা।

জুমার দিনের সুন্নাহ ভিত্তিক কিছু আমল ও ফজিলত

অবশ্যই আমাদের সব সময় সুন্নাহ ভিত্তিক আমল করার চেষ্টা করতে হবে এবং সুন্নাহ ভিত্তিক আমলের জন্য অবশ্যই আমাদের হাদিস ও অন্যান্য বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। আজকে আমরা জুম্মার দিনের বেশ কিছু আমল নিয়ে কথা বলব যেগুলো অবশ্যই আপনাদের কাজে আসবে।

প্রথম আমল সেটি হচ্ছে আমাদের কাছে একেবারে সহজ এবং সেটা হচ্ছে গোসল করা। তবে অবশ্যই আপনাকে এখানে আমাদের যে ফরজ গোসল আছে সেই ফরজ গোসলের নিয়ম মেনে একেবারে পাক-পবিত্র হয়ে গোসল করতে হবে। আপনি যতটা সকালে পারবেন ততটা সকালে গোসল করবেন। এবং একেবারেই জুম্মার নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।

আমার দিনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে ফজরের সালাত ইমামের পেছনে আদায় করা। ফজরের সালাতে সূরা সাজদা ও সূরা দাহর তিলাওয়াত করলে অবশ্যই আপনার আমলনামায় বেশি বেশি সওয়াব যুক্ত হবে।

উত্তম প্রসব করা জুম্মার দিনে আরও একটি আমল। আপনি হয়তো মনে করছেন এটা তো আমাদের প্রত্যেকদিনের কাজ তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি যত উত্তম কাপড় পড়বেন এবং জুম্মার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন আপনার এটা আমলনামায় সব হিসেবে যুক্ত হবেন।

ঝুমার দিনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে সুগন্ধি ব্যবহার করা। আমাদের নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব সময় সুগন্ধি মাপতে পছন্দ করতেন। তাই আমাদের উচিত অন্তত জুম্মার দিনে ভালো একটি সুগন্ধি মেখে মসজিদে প্রবেশ করা।

জুম্মার দিনের সালাত অনুষ্ঠিত হয় সেখানে আযান দেওয়ার পরে সবার প্রথমে যে মসজিদে উপস্থিত হবে তার আমলনামায় একটি উটের শরীরে যতটি লোম আছে বা পশম আছে সেই পরিমাণ সওয়াব যুক্ত হবে বলে আমরা বিভিন্ন হাদিসে জানতে পেরেছি। তাই জুম্মার সালাত আদায় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সবার প্রথমে মসজিদে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

জুমার দিনের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে বেশি বেশি করে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা।

জুম্মার সালাত আদায় উদ্দেশ্যে আপনি যখন মসজিদে প্রবেশ করবেন প্রবেশ করার পরে কমপক্ষে দুই রাকাত দুখুলুল মসজিদ আদায় করা। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয় আপনি চাইলে পড়তে পারেন অথবা না-ও করতে পারে।

জুম্মার দিনের সালাতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে খুতবা আর শেষ খুতবা শুরু হওয়ার পূর্বে আপনাকে যতটা সম্ভব একজন ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসতে হবে এটা এক ধরনের আমল।

জুম্মার দিনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে মনোযোগ দিয়ে খুতবা সোনা যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সওয়াবের একটি কাজ।

অবশ্যই দুই খুতবার মাঝে যত সম্ভব বেশি বেশি দোয়া করা হচ্ছে জুম্মার দিনের একটি আমল। এছাড়া জুম্মার দিন হচ্ছে দোয়া কবুল করার দিন তাই কোনভাবেই আপনি এই দিনটিকে মিস করবেন না এবং দুই হাত তুলে সৃষ্টিকর্তা দরবারে প্রাণ খুলে দোয়া চাইবেন যাতে করে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে ফিরিয়ে না দিতে পারে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই জুম্মার দিনে সারাদিন যতটা সম্ভব বেশি বেশি দরুদ পাঠ করেছেন তাই আমরা যদি তার সুন্নাহগুলো মানি তাহলে আমাদেরও উচিত জুম্মার দিনে একটি বড় আমল হিসেবে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *