শুক্রবারে দোয়া কবুলের আমল

আমরা সকলে অবগত আছি যে সপ্তাহের মধ্যে সবথেকে ফজিলত পূর্ণ যে দিনটি আল্লাহতালা আমাদের জন্য দিয়েছেন সেটা হচ্ছে শুক্রবার। এমনিতেই বিভিন্ন আমলের মাধ্যমে শুক্রবারে মমিন ও ঈমানদার ব্যক্তিরা ব্যস্ত থাকেন তারপরে এই শুক্রবারে দোয়া কবুলের বিশেষ সময় হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবারকে দোয়া কবুলের বিশেষ সময় হিসেবে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন জায়গাতে আমাদের ইঙ্গিত করেছেন।

আমরা যারা শুক্রবারকে সম্পূর্ণ কাজে লাগাতে চাই তারা ফরজ আমল এবং নফল আমলের পাশাপাশি সময়মতো শুক্রবারের দোয়া গুলো করবো যাতে আমরা শুক্রবারের দোয়ার ফজিলত অর্জন করতে পারি। আল্লাহতায়ালা যেন কোরআন এবং হাদিসের আলোকে আমাদের এই আমলগুলো করার তৌফিক দান করে। চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক শুক্রবারের কোন কোন আমলগুলো আমরা করতে পারি সে সম্পর্কে।

জুমার দিনের কখন দোয়া কবুল হয়

জুমার দিন এমনিতেই সকল মুসলিম উম্মাদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং এই দিনের ইবাদতের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এদিন সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এদিন আদম আলাই সাল্লাম কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিন তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে”। (মুসলিম হাদিস ১৬৬১)।

উপরের হাদিস থেকে আমরা অবশ্যই জুমার দিন অর্থাৎ শুক্রবারের দিনের ফজিলত সম্পর্কে বুঝতে পারলাম। এই ফজিলতপূর্ণ দিনে আমরা আমল করলে সেই আমল কবুল হবে না এটা। জুমার দিনের একটি বিশেষ সময় রয়েছে সেই বিশেষ সময়কে বিভিন্ন হাদিস দ্বারা আমরা জানতে পেরেছি যে আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের নামাজের আগ পর্যন্ত সময়টুকু কে দোয়া কবুলের বিশেষ সময় বলা হয়েছে।

জুমার দিনের দোয়া কবুলের আমল

আমরা আগেও বলেছি এখনও বলছি জুমার দিনের আসরের নামাজের পর মাগরিবের নামাজের আগের যে সময়টুকু আছে সেই সময়টুকু হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং এই সময়ে দোয়া কবুল হয়। এ সম্পর্কে আবু হুরায়রা রহমাতুল্লাহ আলাইহে বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সঙ্গে একদিন শুক্রবারের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন “ঝুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টা যদি কোন মুসলিম নামাজ আদালত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, হ্যালো অবশ্য তার সেই চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ত তার ইঙ্গিত দেন” (বুখারী) ।

আমরা এখান থেকে বুঝতে পেরেছি যে আসরের পর থেকে মাগরিবের পর পর্যন্ত এমনিতে দোয়া কবুল হয় এবং সেটা যদি শুক্রবার হয় অর্থাৎ জুমার দিনে হয় তাহলে তো কথাই নেই। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রহমতুল্লাহি হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “ইমামের মেম্বারে বসার সময় থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত সময়টি সেই বিশেষ মুহূর্ত” (মুসলিম, ইবনে খুযাইমা, বায়হাকী)।

এখান থেকে আপনারা সঠিক তথ্য পেয়েছেন এবং জুমার দিনে যদি আপনারা আমল করতে চান এবং দোয়া করতে চান তাহলে আরো বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *