ঈদুল আযহার রাতের আমল

সকল মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত আনন্দময় দুইটি দিন আমাদের উপহার দিয়েছেন এবং সেই দুইটি দিন হলো ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। বাঙালিদের কাছে এই দিন দুটি রোজার ঈদের দিন এবং কোরবানির ঈদের দিন হিসেবে বেশি পরিচিত। আনন্দ করার পাশাপাশি এই দিনগুলো অত্যন্ত ফজিলতম এবং এই ঈদের দিনে এবং ঈদের রাতে আমল করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

আজকে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করব ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদের রাতে কি কি আমল করতে হবে এবং এই আমলের মাধ্যমে কিভাবে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। তাহলে চলুন জানি কোরআন এবং হাদিসের আলোকে ঈদের রাতে কি কি আমল করতে হয় সে সম্পর্কে জানি।

ঈদুল আযহার রাতের ইবাদত

যে রাতগুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার রাত গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঈদুল আযহার রাতে আমরা নফল ইবাদত করতে পারি। যেহেতু ঈদুল আযহার আগের দিন আরাফার দিন তাই সেদিন সারাদিন হয়তো আমরা রোজা থেকে ইফতার করেছি।

তার মধ্যে অবশ্যই আমরা আমল করেছি এছাড়াও সেই রাতে আবার নফল ইবাদত করতে পারি যেটা আল্লাহ তা’আলা অনেক বেশি পছন্দ করেন। অবশ্যই আমাদের এর জন্য প্রতি গ্রহণ করতে হবে এবং ঈদুল আযহাতে কিভাবে আমরা ইবাদত করব সে সম্পর্কে পরিকল্পনা করতে হবে।

ঈদের রাতের আরেকটি বড় প্রাপ্তি হলো এই রাতের দোয়া কবুল হয় অর্থাৎ এই রাতে যারা আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য এবং আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে মাফ চাওয়ার জন্য দোয়া প্রার্থনা করবে তাদের আল্লাহ তায়ালা ফিরিয়ে দেন না। বরং বিভিন্ন হাদিসে এটাও ঘোষণা হয়েছে যে আল্লাহ তা’আলা দরবারে তার সরাসরি কবুল হয়।

আমাদের মধ্যে যারা এই রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত বন্দেগী তাসবিহ পাঠ কোরআন শরীফ তেলাওয়াত দরুদ শরীফ ও জিকির আস্কারের মাধ্যমে অতিভাত করে তারা অত্যন্ত উত্তম একটি ইবাদত করে। এতকিছু করার পরে যখন আল্লাহতালার কাছে দুই হাত তুলে একজন বান্দা কিছু চাইবে তখন অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তাকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।

ঈদের রাতের নফল ইবাদত

ঈদের রাত অবশ্যই আমাদের জন্য অত্যন্ত খুশির বার্তা নিয়ে আসে তার কারণ হলো পরের দিনই হচ্ছে ঈদের দিন যেটা মুসলিম উম্মার জন্য সবথেকে আনন্দের দিন। তবে যারা মুমিন ও ঈমানদার ব্যক্তি আছে তারা সবসময় আল্লাহ তালার আমল করার সময় খোঁজে এবং তারা জানে যে এই ঈদুল ফিতর এর রাতে অথবা ঈদুল আযহার রাতে ইবাদত করা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দের ইবাদত।

এ সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস থেকে আমরা একটি হাদিস এখনো উল্লেখ করছি:-আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন”যে ব্যক্তি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য দুই ঈদের রাত জেগে ইবাদতে মশগুল হবে, কিয়ামতের কঠিন এর দিনেও তার অন্তর মরবে না, যেদিন ভয়ঙ্কর ও বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কারণে মানুষের অন্তর মারা যাবে” (ইবনে মজা হাদিস নাম্বার ১৭৮২)।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *