ঈদুল আযহার দিনের আমল

মুসলমানদের প্রত্যেকটি বছরে দুইটি করে ঈদের দিন ঠিক করে দিয়েছেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালা। আমাদের জীবনে সবথেকে আনন্দের দিন হচ্ছে এই দুইটি দিন। প্রথম ঈদের নাম ঈদুল ফিতর এবং দ্বিতীয় ঈদের নাম ঈদুল আযহা। বাংলা ভাষাতে আমরা যেটাকে ঈদুল ফিতর বলি সেটাকে রমজানের ঈদ বা রোজার ঈদ বলে থাকি। এবং কোরবানির ঈদকে আমরা ঈদুল আযহা বলি।

আজকে আমরা কথা বলব ঈদুল আযহা সম্পর্কে এবং এই ঈদুল আযহা তে আপনি কোন কোন আমল করতে পারেন এবং এই দিনে কোন কোন আমলের দ্বারা আপনার নেকির ভালো পাল্লা ভারী হবে সে সম্পর্কে। আলোচনা করা যাক মূল বিষয় নিয়ে।

ঈদুল আযহার দিনের সুন্নাহ সমূহ

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জীবদ্দশায় যে কাজগুলো করে গেছেন সেই কাজগুলো পালন করাই হচ্ছে আমাদের জন্য সুন্নাহ। আজকে সেই সুন্নাহর আলোকে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ঈদুল আযহার দিনে একজন মুসলিম হিসেবে কি কি সুন্নত আপনি পালন করতে পারেন। অবশ্যই ঈদের দিনের সুন্নত পালন করা আপনার একটি দায়িত্ব।

সবার প্রথমে যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটি হচ্ছে অন্য দিলে তুলনায় আরো বেশি আগে সকাল-সকাল উঠতে হবে। ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হবে।

এরপরে আপনাকে মেসওয়াক করতে হবে। মেসওয়াক করাটা ঈদুল আযহার দিনের একটি সুন্নত।

গোসল করা অর্থাৎ আমাদের হাদিসে যেইভাবে ফরজ গোসল করতে বলা হয়েছে সেই ভাবে ফরজ গোসল করাটা ঈদুল আযহার দিনে একটি সুন্নত।

নিজেকে যতটা সম্ভব সুন্দর এবং পরিষ্কার কাপড় দিয়ে সাজসজ্জা করা এবং তার সঙ্গে যতটা সম্ভব উত্তম সুগন্ধি ব্যবহার করা।

আমরা অনেকেই জানি যে ঈদুল ফিতরের যাওয়ার পূর্বে মিষ্টি জিনিস বা মিষ্টি জাতীয় জিনিস খাওয়াটা সুন্নত। তবে বিভিন্ন হাদিসে এটা উল্লেখ আছে ঈদুল আযহার দিনে কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং ঈদের নামাজের পর কোরবানির গোস্ত দ্বারা আহার করা উত্তম। এটা পাওয়া গাছে সহি বুখারি হাদিস নাম্বার ৯৫৩ এবং আবদুল রুল মুক্তাহার হাদিস নম্বর 168।

সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া ঈদুল ফিতরের দিনের আরো একটি সুন্নত।

ঈদুল ফিতরের ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সাদাকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে। সাদাকায়ে ফিতর আগায় না করে কোনভাবেই ঈদগাহে যাওয়া যাবেনা।

ঈদের দিনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হচ্ছে ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করা। অর্থাৎ ঈদের নামাজ আপনি কোনভাবেই বাড়িতে আদায় করতে পারেন না সেটা সুন্নতের বহির্ভূত।

আরেকটি বিষয় হলো আপনি যখন ঈগাহে নামাজ পড়তে যাবেন যে রাস্তা দিয়ে অবশ্যই ঈদগা থেকে ফিরে আসার সময় অন্য একটি রাস্তা ব্যবহার করে আসার চেষ্টা করবেন।

ঈদুল ফিতরের দিনে আরও একটি সুন্নত রয়েছে সেটা হচ্ছে পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া।

ঈদুল ফিতরের দিনে আপনি যখন ঈদগাহে যাবেন তখন আস্তে আস্তে মনে মনে তাকবীর পাঠ করতে করতে যেতে হবে। তবে ঈদুল আযহার দিনে যাওয়ার সময় এই তাকবীর উচ্চস্বরে পড়তে হবে যেটা একটি হাদিস থেকে আমরা পেয়েছি।

ঈদুল আযহার দিনে কি কি আমল করা যায়

ঈদুল আযহার দিনে যে সুন্নত গুলো রয়েছে আপনি যদি সেই সুন্নত গুলো পালন করেন তাহলে অবশ্যই সেগুলো আপনার আমলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। বলতে গেলে মুসলিমদের জন্য পূর্ণ করা এতটাই সহজে সে যদি সুন্নত এবং কুরআন শরীফ পেনে প্রত্যেকটি কাজ করে তাহলে প্রত্যেকটি কাজ থেকেই তাকে বরকত প্রদান করা হবে এবং সওয়াব প্রদান করা হবে।

আপনি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন কিভাবে হেটে যাচ্ছেন এটা যদি শরীয়া মোতাবেক হয় তাহলে সে হাঁটার জন্য আপনি পাবেন। তাই ঈদুল আযহার দিনে আমরা চেষ্টা করব ঘুম থেকে উঠে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আমরা সবকিছু সরিয়া এবং সুন্নাহ মোতাবেক করব এতে করে আমাদের পুরোটা দিন আমলের মধ্যে কেটে যাবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *