ঈদের দিন মহিলাদের আমল

সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে ঈদের দিনে যে আমলগুলো রয়েছে সে আমলগুলো একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা জানার চেষ্টা করব আজকে দুই ঈদের দিনে মহিলারা কোন কোন আমল করবেন এবং এই আমল গুলো তাদের উপর কিভাবে করতে বলা হয়েছে সে সম্পর্কে।

সাধারণত ঈদের দিনের বিভিন্ন ধরনের আমলের কথা আমরা বিভিন্ন হাদিস শরীফে দেখতে পেয়েছি তবে সেই আমলগুলো কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আশা করছি ঈদের দিনের আমল সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করব এবং এই আমল গুলো কিভাবে করতে হবে সেগুলো জানতে পারবো।

ঈদের দিনের মহিলাদের নামাজ

এটা হাদিস আমরা উল্লেখ করতে চাই সবার প্রথমে যে হাদিস থেকে আমরা ঈদের দিনে মহিলাদের নামাজ পড়া সম্পর্কে একটু স্পষ্ট ধারণা পাব। হযরত উম্মে আতিয়া রহমাতুল্লাহ আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন “ঈদের দিন আমাদেরকে বের হওয়ার আদেশ দেওয়া হতো, আমরা কুমারী মেয়েদের এমন কি ঋতুবতী মহিলাদের ঘর থেকে বের করতাম। অতঃপর পুরুষদের পিছনে থেকে তাদের তাকবীরের সাথে সাথে তাকবীর পড়তাম এবং তাদের দোয়ার সাথে সাথে আমরা ওই দিনের বরকত ও পবিত্রতা লাভের দোয়া করতাম।” (সহি বুখারি হাদিস নাম্বার ৯৭১) ।

উপরের হাদিস থেকে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি যে হিজরি দ্বিতীয় বর্ষে যখন ঈদের নামাজ পড়ার বিধান নাযিল হয় তখন মুসলমানদের জামাত ও তাদের সংখ্যাধিক্য প্রকাশ করার জন্য হুজুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে মহিলাদেরও উপস্থিত হতে বলেছেন। অবসর এখানে বুঝতে হবে যে তখন মুসলমানদের আধিক্য অনেক কম ছিল তাই সেটা বেশি প্রমাণের জন্য এই কাজটি করা হতো।

তবে এখানে একটা জিনিস আমরা লক্ষ্য করতে পারি সেটা হচ্ছে হাদিসে এবং অন্যান্য হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে ঋতুপতি মহিলাগণ ঈদগাহে উপস্থিত হতো অথচ শরীয়তের ইতি মহিলাদের জন্য নামাজ পড়া সম্পূর্ণ হারাম করা হয়েছে। তবে তাদের ঈদগা জামায়েত উপস্থিত হওয়ার অনুমতি যদি শুধুমাত্র নামাজের জন্য হতো তবে ঋতুপতি মহিলা উপস্থিত হত না মূলত প্রথম যুগে নামাসহ অনুষ্ঠান মহিলাদের উপস্থিত হওয়ার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বেদ্বীনদের সম্মুখে মুসলমানদের জনসংখ্যা ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং তালিম গ্রহণ করা।

নবী রাসুল সাঃ এর কাছে নিত্য নতুন আদেশ-নিষেধ নাযিল হলো তা যেন পুরুষ মহিলা সকলে সমভাবে জানতে পারে সে কারণে তাদের উপস্থিত হওয়া অনুমতি ছিল। তবে এই প্রসঙ্গে নতুন আরেকটি হাদিস রয়েছে যে হাদিসটি আপনারা মানতে পারেন এবং অবশ্যই এই হাদিস বুঝলে আপনি সেটাও ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “তোমরা আল্লাহর দাসীদের মসজিদে আসতে বাধা দিও না, তবে তাদের জন্য নিজ ঘরবাড়ি উত্তম স্থান” (আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ৫৬৭)।

উপরের হাদিসের আলোকে আমরা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারছি যে প্রথম দিকে মহিলাদের ঈদগায় উপস্থিত হতে বলল পরবর্তীতে তাদের ঈদগায় উপস্থিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে একটি হাদিস আমরা জানতে পেরেছি। তাহলে এই দুইটি হাদিস পর্যবেক্ষণ করে আপনি চাইলে মসজিদে উপস্থিত বাই ঈদগা উপস্থিত হতেও পারেন অথবা চাইলে নিজের বাড়িতে থেকেও নামাজ পড়তে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *