ঈদে মিলাদুন্নবীর ফজিলত এবং এর আমল

গোটা বিশ্ব জাহানের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেদিন জন্মগ্রহণ করেন সেটি হচ্ছে 12 ই রবিউল আউয়াল 570 খ্রিস্টাব্দে। অবশ্যই আমাদের জন্য এটা অত্যন্ত খুশির একটি দিন যে দিনে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি আমাদের জন্য আলো নিয়ে এসেছিলেন।

আজকে আমার ওরা জানার চেষ্টা করব ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থাৎ যেদিন আমাদের প্রিয় নবী জন্মগ্রহণ করেছে সেই দিন উপলক্ষে আমাদের জন্য হাদিস এবং কুরআনে কোন আমল করার কথা বলা আছে কিনা। এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদে মিলাদুন্নবীকে কেন্দ্র করে কোন আমল করতেন কিনা। তাহলে চলুন ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গে থাকেন এবং এখান থেকে তথ্য জানার চেষ্টা করুন।

ঈদে মিলাদুন্নবীতে সিয়াম পালন করতে হয় কিনা

সাধারণত আমরা সহিঃ মুসলিম এবং নাসাঈ ও আবু দাউদ এই সকল বিখ্যাত হাদিসগুলোতে জানতে পেরেছি যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি সোমবার দিনের সময় সিয়াম পালন করতেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে এদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি। তবে এখানে পরিষ্কারভাবে কোথাও বলা হয়নি যে তার উম্মত হিসাবে আমাদের এই দিনে বাধ্যতামূলকভাবে সিয়াম পালন বা রোজা রাখতে হবে।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সোমবার দিনের সিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি বলেন “এদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমার উপর ওহী নাজিল করা হয়েছে”মুসলিম ১১৬২। তাই আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি সোমবার রোজা রাখতেন তার কারণ হলো এই দিন তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন তাই।

এছাড়া আরও একটি হাদিস আমাদের কাছে আছে এবং সেই হাদিস অনুযায়ী আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমল পেশ করা হয় আমি চাই সিয়াম অবস্থায় আমার আমল পেশ করা হোক”তিরমিজি।

উপরের হাদিসগুলো থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছি যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি সোমবার এবং বৃহস্পতিবার আমাদের রোজা থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। এই দুই দিন আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের আমলনামা অথবা আমাদের হিসাব নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেই অবস্থাতে আমরা যদি রোজাদার অবস্থায় থাকি তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা অনেক বেশি খুশি হবেন।

তাই শুধুমাত্র যে নবীজির জন্মদিন উপলক্ষে রোজা করতে হবে এমনটি নয় আপনি প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার নিজের ভালোর জন্য রোজা করতে পারেন যেটা আমাদের প্রিয় নবী করতেন। এর বাইরে ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে কোন আমলের কথা কোথাও পাওয়া যায়নি তাই আমরা চেষ্টা করব ঈদে মিলাদুন্নবীতে অন্যান্য নফল আমল গুলো করতে অন্যান্য দিনের মতোই।

এছাড়া আপনারা আরবি রবিউল আউয়াল মাসে চাইলে প্রত্যেক মাসে রোজাগুলো করতে পারেন এর পাশাপাশি নফল ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করতে পারেন। আশা করছি ঈদে মিলাদুন্নবীর সম্পর্কে আমলগুলো সম্পর্কে আপনাদের যথেষ্ট ধারণা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *