ঈদ ই মিলাদুন্নবী আমল

আমরা ধারাবাহিকভাবে ইসলামিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের এই ওয়েবসাইটে আপলোড করতে চাচ্ছি। আজকে আলোচনা করব ইদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে। আপনারা যারা ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে কোন তথ্য জানতে চান তারা একটু কষ্ট করে আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে এখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। চলুন আজকে জানা যাক ঈদে মিলাদুন্নবীতে আমাদের কি করা উচিত এবং বর্তমানে যে নিয়মগুলো আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে জানি সেগুলো কতটা সঠিক।
আমরা বিভিন্ন হাদিস থেকে এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করি তাই আশা করব আপনারা আমাদের তথ্যগুলো বিশ্বাস করতে পারবেন। যদি কোন তথ্য আপনাদের কাছে ভুল মনে হয় তাহলে আপনি হাদিসটি চেক করে নিতে পারেন। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করে দেওয়া যাক ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচনা।
ঈদে মিলাদুন্নবী রোজা
অনেকেই ঈদে মিলাদুন্নবীতে সিয়াম পালন করেন অর্থাৎ রোজা রাখেন আবার অনেকে প্রশ্ন করেন এই দিনে রোজা রাখা কি ঠিক। মূলত সহিঃ মুসলিম ও নাসায়ী ও আবু দাউদ এই সকল গুরুত্বপূর্ণ হাদিসে রয়েছে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সোমবার দিনের সিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন”এদিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি”অর্থাৎ এখানে বোঝানো হয়েছে যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার জন্মগ্রহণ করেছেন তাই সেই সোমবারে তিনি রোজা রাখেন।
আমরা এখানে তিরমিজি হাদিস শরীফের এটি হাদিসের কথা উল্লেখ করতে পারি। প্রথমত তিরমিজিতে ইমাম মুসলিম আবু কাতাদা আল আনসারী থেকে বর্ণনা করেন, এছাড়া মুসলিম শরীফের হাদিস নাম্বার ১১৬২ দেখলে আমরা কিছুটা স্পষ্ট বুঝতে পারবো।
সাধারণত আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যে দিনে জন্মগ্রহণ করেন সেই দিনকে আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে চিনি। এই দিনের বেশ গুরুত্ব রয়েছে সকল মুসলিমের কাছে তবে এই দিনে এমন কিছু ভ্রান্ত জিনিস আমরা পালন করি যেগুলো আমাদের পালন করা উচিত নয়। সাধারণত আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেই কাজগুলো করতেন সেগুলোকে সুন্নাহ বলা হয় এবং সেই সুন্নাহ পালন করা আমাদের দায়িত্ব।
পবিত্র ১২ ই রবিউল আওয়াল কে আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে চিনি। তাই অবশ্যই ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আমাদের একটি সঠিক ধারণা রাখা উচিত। নবীজির আগমনের উপলক্ষে খুশি করার বিষয়টা শুধুমাত্র যে বান্দার মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে এমন নয় বরং আল্লাহ তাআলাও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। কোরআন পাকে বলা হয়েছে যে “নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা ও তার ফেরেশতাগার নবীর প্রতি দরুদ প্রেরণ করেন। হে মমিনগণ! তোমরাও নবীজির প্রতি দুরুদ ও সালাম পেশ করো, আদবের সহিত, সম্মানের সহিত।”
ঈদে মিলাদুন্নবীর বিভিন্ন আমল সমূহ
যদি ঈদে মিলাদুন্নবের আমল সম্পর্কে বলতে হয় তাহলে সহজ ভাষায় বলতে হয় নবীজি নিজের জন্মের দিনটিকে রোজা রাখতেন এবং সেই দিন রোজা রাখা আমাদের জন্য সুন্নত। আপনারা চাইলে ঈদে মিলাদুন্নবীতে রোজা রাখতে পারেন।
যারা অনেকে রয়েছেন নিজের জন্মদিন কে স্মরণীয় করতে রোজা রাখতে চাচ্ছেন তবে এই বিষয়ে কোন আলাদাভাবে কোন হাদিস পাওয়া যায়নি যে নিজ নিজ জন্মদিনে রোজা রাখবেন। তবে হ্যাঁ যেহেতু রোজা রাখতে কোন মানা নেই তাই যদি আপনার জন্মের দিন ঈদের দিন না হয় এবং অন্যান্য যে দিনগুলোতে রোজা রাখতে মানা করা হয়েছে সেই দিনের না পড়ে তাহলে আপনি এমনিতে রোজা রাখতে পারেন।
হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১২ই রবিউল আওয়ালে জন্মগ্রহণ করেছেন যেটা গোটা বিশ্ববাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দময় একটি সময়। সব নবীদের নবী এবং আমাদের প্রিয় নবী আল্লাহর বন্ধু শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেদিন এই পৃথিবীতে আসেন অবশ্যই সেই দিনটার অনেক বেশি গুরুত্ব রয়েছে। তাই সকলকে আমাদের এই দিনের গুরুত্ব বোঝার আল্লাহতালা তৌফিক দান করুন এবং আমরা যেন তার হুকুম অনুযায়ী সকল আমল পালন করতে পারি সেই তৌফিক দান করুন।