দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় ও আমল

মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে যদি কিছু চাইতে হয় তাহলে অবশ্যই উপযুক্ত সময় এবং উপযুক্ত নিয়মে আপনাকে দোয়া করতে হবে। এই উপযুক্ত সময় এবং উপযুক্ত নিয়ম মেনে যদি আপনি আমলের সঙ্গে দোয়া করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আপনার কথা বা আপনার চাওয়া সঙ্গে সঙ্গে পূরণ করবে। দোয়া কবুলের আমল সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বিভিন্নভাবে আমাদের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আজকে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করব কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে যেসব আমলে আল্লাহতালা দ্রুত দোয়া কবুল করেন সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক এবং জানা যাক আল্লাহ তাআলার কাছে কোন নিয়ম মেনে দোয়া করলে আল্লাহ তা’আলা দ্রুত সেই দোয়া কবুল করেন।

দোয়া কবুল না হওয়ার কয়েকটি কারণ

সাধারণত এমন খুব কমই হয়ে থাকে যেখানে আল্লাহতালা তার বান্দার দোয়া কবুল করেন না। তবে উপযুক্ত নিয়ম মেনে যদি আপনি দোয়া করেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আপনার দোয়া কবুল করবে। আজ অথবা কাল অবশ্যই আপনি সেই দোয়ার ফজিলত অনুভব করতে পারবেন তাই সব সময় আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাস করুন এবং অপেক্ষা করুন আল্লাহ তায়ালা কবে আপনার সেই দোয়া কবুল করবে তার জন্য।

এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই আল্লাহর সিদ্ধান্তকে বদলাতে পারেনা (তিরমিজি হাদিস নাম্বার ২১৩৯)। দোয়া সব ইবাদতের মূল। তাই আমরা যদি সঠিকভাবে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে পারি হতে পারে আল্লাহ তায়ালা নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আপনাকে নতুন কিছু জিনিস দেবে।

নীরা আসলে দোয়া কবুল হয় না তার কারণ হলো আপনি যখন আল্লাহ তাআলার কাছে কিছু চাইবেন এবং আল্লাহতালা সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে সেটা না দিলে আপনি যদি আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন তাহলে সে দোয়া কখনো কবুল হবে না। এ প্রসঙ্গে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন”তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না (বুখারি হাদিস ৬৩৪০)।

হারাম থেকে বেঁচে থাকতে হবে অর্থাৎ আপনি যদি হারাম খাদ্য হারাম বৎস এবং হারাম পানেও ইত্যাদি গ্রহণ করেন এবং সেই শরীরে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তাহলে সেই দোয়া প্রার্থনা আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না। তাই অবশ্যই আপনাকে হারাম থেকে দূরে থাকতে হবে।

আল্লাহ তাআলা তার বান্দা হিসাবে আমাদের উপর যে দায়িত্বগুলো দিয়েছে সেই দায়িত্ব গুলো আপনি যদি পুরোপুরি ছেড়ে দেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আমাদের দোয়া কবুল করবে না।

যে সকল আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা দুয়া দ্রুত কবুল করেন

দোয়া কবুলের যে সকলে নেক আমল ও ওসিলা আছে সেই নিয়ম গুলো মেনে যদি আমরা আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করি অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আমাদের দোয়াগুলো কবুল করবেন। আমরা নিচে কয়েকটি দোয়ার আমল সম্পর্কে জ্ঞান নেওয়ার চেষ্টা করব।

কোরআন থেকে যে কোন অংশ তেলাওয়াত করে তারপর আল্লাহতালার কাছে কিছু চাইলে সেই কোরআনের উসিলায় আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আপনার দোয়া কবুল করবে।আল্লাহ তাআলার কাছে যাওয়ার পূর্বে আপনি চাইলে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন এবং কোরআন তেলাওয়াত করার পরে সে কোরআনকে সামনে রেখে আল্লাহতালার কাছে চাইতে পারেন।

দিনে রাতে অবসর সময় পেলে নফল নামাজ পড়ে দোয়া করতে পারেন। নফল ইবাদত আল্লাহ তা’আলা অনেক বেশি পছন্দ করেন তাই আপনি যখন নফল নামাজ পড়ে আল্লাহ তাআলার কাছে কিছু চাইবেন অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আপনার কথা শুনবে।

রোজা এমন একটি ইবাদত যে ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার কাছে করা হয় এবং সেই রোজদার ব্যক্তি যখন রোজা থাকা অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে কিছু চাই এবং ইফতার কে সামনে রেখে ইফতারের আগ মুহূর্তে আল্লাহ তাআলা কিছু কাছে কিছু চায় অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তার মনের আশা পূরণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *