বুকের দুধ বৃদ্ধির আমল

একজন মা যখন সন্তান প্রসব করে তখন সকলের ক্ষেত্রে বুকের দুধ যথেষ্ট হয় না ঠিক তখনই সন্তান অনেক বেশি কষ্টে থাকে। বিভিন্ন গবেষণা এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে দেখা গেছে যে প্রথম ছয় মাস সন্তানের জন্য মায়ের বুকের দুধে যথেষ্ট তবে সেটা যদি মায়ের বুকের দুধ পাওয়ার উপযুক্ত না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে সন্তান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর জন্য কোরআন এবং সুন্নাহর আলোকে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য একজন মা কি আমল করতে পারে সে সম্পর্কে আজকে জানার চেষ্টা করব।

বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে একটি হচ্ছে সঠিক এবং সুষম খাবার খাওয়া। এখানে কালোজিরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস যে কালোজিরা আপনি নিয়মিত খেতে পারেন।

আপনি যেকোন উপায়ে কালোজিরাস খেতে পারেন হতে পারে সেটা টক দইয়ের সাথে হতে পারে একটা দুধের সাথে যে কোন ভাবে আপনি এটা খেতে পারেন এবং এর মাধ্যমে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়াও আরো প্রয়োজনীয় শাকসবজি যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে সে শাকসবজি খাওয়ার ফলে মায়ের শরীর এবং মায়ের সন্তানের শরীর ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রতিদিন চেষ্টা করবেন ৫ থেকে ১০ গ্রাম কালোজিরা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে এভাবে আপনি যদি ১০ থেকে ১৫ দিন খান তাহলে আপনি খেয়াল করতে পারবেন আপনার বুকের দুধের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।।

বুকের দুধ বেঁধে জন্য মেথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এখানে মেথি আপনি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালবেলা তা পান করতে পারেন এবং মেথিতে থাকা মিনারেল আয়রন প্রোটিন ক্যালসিয়াম রয়েছে যা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

বুকের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ

সাধারণত বিভিন্ন সময় দেখা গেছে যে বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য অনেক মাই ওষুধ সেবন করে থাকে কিন্তু স্বাভাবিকভাবে বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য আপনি যদি অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করেন সেটা আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

সবসময় চেষ্টা করতে হবে বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করা এতে করে আপনি এবং আপনার সন্তান সুরক্ষিত থাকবে এবং ভবিষ্যতে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন আপনাদের হতে হবে না। বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার সন্তানের জন্য নিজের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করতে পারেন।

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির খাবার

বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য আমাদের সবসময় চেষ্টা করতে হবে হাতের আশেপাশে যেই খাবারগুলো আছে সেই খাবারগুলো বেশি বেশি খাওয়া এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে খাবার গুলো খাওয়া।

এমনিতে সন্ধ্যার প্রসবের সময় একটি মায়ের শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায় তাই সেই শারীরিকভাবে দুর্বল থাকলে কোনভাবে তার বুকের দুধ বৃদ্ধি পায় না। তাই তাকে শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়ার প্রধান উপায় হচ্ছে বেশি বেশি করে আমিষ খাওয়া এবং বেশি বেশি করে শাকসবজি খাওয়া।কোনভাবেই এই সকল জিনিসের জন্য বাইরের ওষুধের উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *