বিপদ থেকে মুক্ত হওয়ার দোয়া

এই পৃথিবীর জীবন হচ্ছে ইহকালের জীবন যেটা আমাদের জন্য একটি পরীক্ষার স্বরূপ এবং সেই পরীক্ষায় যদি আমরা পাস করতে পারি তাহলে মৃত্যুর পরবর্তী জীবন অর্থাৎ পরকালের জীবনে আমরা সুখে শান্তিতে থাকবো। তাই এই জীবনে আমাদের যত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে হবে এবং যত কষ্টের কাজ আছে সেগুলো করতে হবে।

অল্পতেই যারা অধৈর্য হয়ে যায় এবং অল্প কষ্টতে যারা দুনিয়ার জীবন সম্পর্কে খারাপ চিন্তা ভাবনা করি তাদেরকে বলব আপনার আশেপাশে একটু ভালোভাবে দেখুন আপনার থেকে কয়েকগুণ খারপ কেউ বা কেউ অবশ্যই আছে। আপনি যদি তার দিকে তাকান তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি কতটা সুখে আছেন এবং আল্লাহ তায়ালার রহমত আপনার উপর কতটা রয়েছে।

তারপরেও আল্লাহতালা মুমিন ব্যক্তিদের বেশি পছন্দ করেন এবং তাদের বারবার পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিপদ তাদের ইচ্ছে করে দেন এবং সেই বিপদ থেকে মুক্ত হওয়াতে আমরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করি সেটা আল্লাহ দেখতে চান। মূলত আমরা যখন বিপদে পড়বো তখন সবসময় আল্লাহ তালাকে স্মরণ করব এবং ধৈর্য ধারণ করব এবং বিপদ মুক্ত হওয়ার জন্য আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করব। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনাদের সেই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।

বিপদে পড়লে কোন আমল করতে হবে

আমাদের হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কে আগুনে নিক্ষেপ করা হলে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত দোয়াটি পাঠ করেন। মূলত আমরা যে দোয়াটি পাঠ করছি সেটা হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয় তখন পাঠ করতে বলা হয়েছে এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোয়া পাঠ করেছেন যখন মুশরিকের হামলা হতে এমন খবর শুনে আমরা উল আসাদে।

অবশ্যই এই দোয়াটি অত্যন্ত ফজিলত নয় এবং এই দোয়া সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাদিস রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোয়া পাঠ করতেন এবং এই দোয়া পাঠ ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন (তিরমিজি হাদিস ৩২৪৩ )। উপরের হাদিস থেকে আমরা খুব সুন্দর ভাবে এই বিষয়ে বুঝতে পেরেছি যেটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নিচে এই দোয়াটি জানার চেষ্টা করব এবং এই দোয়ার অর্থ জানার চেষ্টা করব।

“হাসবুনাল্লাহু ওয়া মিনাল ওয়াকিল, নিমাল মাওলা ওয়া নিমাল নাছির”। এ দোয়াটির অর্থ হলো -আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি হলেন উত্তম কর্ম বিধায়ক; আল্লাহ তাআলাই হচ্ছেন উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।

উপরের দোয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া তবে এই দোয়া এর শেষ অংশটি আল্লাহর প্রশংসা সূচক কোরআনের আয়াত। এই আয়াতগুলো হল আনফাল এর 24 নম্বর আয়াত এবং সূরা হজ্জের 78 নাম্বার আয়াত।

এই দোয়াটি পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলত নয় এবং আমরা বিভিন্ন হাদিস থেকে খুব সহজেই প্রমাণ করতে পারছি যে এই দোয়ার ফজিলত কতটুকু। তাই যখন আমরা বিপদে পড়ব এবং কোন বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারব না তখন অবশ্যই এই দোয়া পাঠ করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *