বাচ্চা নষ্ট না হওয়ার জন্য আমল

সাধারণত বর্তমানে লক্ষ্য করা যায় যে বেশিরভাগ মেয়েদের সন্তান হতে সমস্যা হয় এবং সেই সন্তান গর্ভে আসার সময় বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। অনেক মেয়েদের দুর্ভাগ্যজনকভাবে গর্ভে সন্তান আসার পর সেটা নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য সে অনেক বেশি ভেঙে পড়ে এবং অনেক বেশি দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়।

এ সকল বিপদ থেকে মুক্তি থাকার জন্য অবশ্যই কিছু আমল আছে যে আমল গুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আপনার গর্ভে থাকার সন্তানকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করে দেবে। আজকে আমরা কোরআন এবং হাদিসের আলোকে জানার চেষ্টা করব কোরবান আমলের মাধ্যমে গর্বে থাকা সন্তান যাতে নষ্ট না হয় সে সম্পর্কে আমরা জানবো।

কোরআনি আমলের মাধ্যমে গর্ভে সন্তানকে সুস্থ রাখা

আমরা গর্ভে থাক সন্তান থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের আমল করতে পারি। আসুন আমরা গর্ভবতী নারী গর্ভাবস্থায় কি কি দোয়া পাঠ করতে পারে এবং এই দোয়া গুলোর মাধ্যমে নিজের সন্তানকে সুরক্ষিত রাখতে পারে সে সম্পর্কে জানি।

সূরা সাফাত এর ১০০ নাম্বার আয়াত গর্ভবতী মায়েরা পার করতে পারেন যেটা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আয়াত। এর অর্থ দাঁড়ায় “হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক নেক সন্তান দান করুন।”

এছাড়া সূরা ইব্রাহীম এর আয়াত নাম্বার ৪০ পাঠ করার মাধ্যমে গর্বে থাকা সন্তান সুরক্ষিত থাকে। সূরা ইব্রাহীম এর আয়াত নাম্বার ৪০ এর অর্থ”হে আমার পালনকর্তা আমাকে নামাজ কায়েম কারী করুন। এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও নামাজ কায়েমকারী করুন। হে আমাদের পালনকর্তা এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া।”

এর পাশাপাশি সূরা আল ইমরান এর ৩৮ নাম্বার আয়াত এবং সূরা আল ফুরকানের 74 নাম্বার আয়াত আমরা পড়তে পারি। গর্বে থাকা সন্তান যদি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে তাহলে আমরা এই দোয়া গুলোর মাধ্যমে তাকে হেফাজত রাখতে পারি।

এর পাশাপাশি অনেক সময় সুরা রাত এর ৮ নং আয়াত একুশ বার পাঠ করে নিয়মিত বা নিজে তার পেটে ফু দিবেন ইনশাআল্লাহ আল্লাহর গর্ভের সন্তানকে হেফাজত করবে। অবশ্য গর্ভে থাকা সন্তান যখন নষ্ট হয়ে যায় তার থেকে কষ্টের ব্যাপার একজন মায়ের পক্ষে আর থাকে না। তাই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এই আমলগুলো একজন মাকে করতে হবে।

গর্ভবতী অবস্থায় প্রত্যেক মাসের আমল

গর্ভবতী অবস্থায় একজন মা প্রথম মাস থেকে তৃতীয় মাস পর্যন্ত সূরা লোকমান ও সূরা ইনশিকাক পড়তে পারেন। সূরা লোকমান ও ইনশিকাক এর মাধ্যমে গর্বে থাকা সন্তান অত্যন্ত সুস্থ থাকে এবং নেককার ও বুদ্ধিমান হয়ে থাকে। এছাড়াও গর্ভের সন্তান থাকা অবস্থায় চতুর্থ সপ্তাহ থেকে ষষ্ঠ সপ্তাহ পর্যন্ত সূরা ইউসুফ ও সূরা আল ইমরান পড়তে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি সপ্তম সপ্তাহ থেকে নবম সপ্তাহ পর্যন্ত সূরা মারিয়াম এবং সূরা মুহাম্মদ পড়তে হবে যার মাধ্যমে আপনার সন্তান সব চরিত্রের অধিকারী হবে।

তবে সন্তান থাকা অবস্থায় অবশ্যই একজন মাকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে তার কারণ হলো যেকোনো সময় যে কোন ধরনের ছোটখাট সমস্যা থেকেও বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *