বাচ্চা হওয়ার আমল

সাধারণত মেয়েদের বর্তমানে যে সমস্যাগুলো বেশি বেশি দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে হচ্ছে গর্ভধারণের সমস্যা একটি অনেক বড় সমস্যা। প্রতিটি জীবন সব থেকে বড় স্বপ্ন থেকে যখন সে বঞ্চিত হয় অবশ্যই তার কাছে এটি মেনে নেয়ার মতন বিষয় নয়। একে তো সীমা হতে পারে না অন্যদিকে সে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এতে করে পরবর্তীতে তার জীবনে তাকে সমস্যার অনেক বড় সমস্যা হয়েছে।

আপনাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত যারা মা হতে পারেননি অথবা বহু চেষ্টা করলেও গর্ভবতী হতে পারেনি তাদের সবার আগে অনুরোধ করবো আল্লাহ তাআলার কাছে চাইতে। সন্তান অবশ্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি রহমত তাই আপনি যদি এই রহমত অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনার মত ভাগ্যবান আর কেউ নেই। আপনাদের যখন এদিকে ওদিকে দৌড়াদৌড়ি করে সন্তান হচ্ছে না তখন আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করুন এবং আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই আপনার মনের কথা শুনবে।

তবে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে আপনারা যখন আল্লাহর জন্য আমল করবেন অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আপনার মনের আশা পূরণ করবে এবং আপনাকে মা হওয়ার সামর্থ্য দান করবে। তাই অবশ্যই একটি পরিবার দুঃখ করার জন্য আপনাকে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে এবং ওসিলার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের কি কি আমল করা উচিত

বহুদিন যাব চেষ্টা করছেন কিন্তু আপনি মা হতে পারছেন না। দেশের অভ্যন্তরে বহু ডাক্তার দেখিয়েছেন কিন্তু কোনভাবেই কোন ঔষধে কাজ হচ্ছে না। এখন আপনার প্ল্যান রয়েছে দেশের বাইরে গিয়ে ডাক্তার দেখানো যদি সেটাতে কাজ হয়। তবে আপনার সব থেকে বড় যে কাজটি করতে হবে সেটা যদি আপনি ভুলে যান তাহলে সেটা অনেক বড় ভুল করছেন।

কোরআন মাজীদে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আমাদের রোগ হলে সেটা নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা করতে বলেছেন। তাই আমরা অবশ্যই ডাক্তার দেখাবো এবং সব সময় চেষ্টা করে যাব কোনভাবেই হাল ছাড়বে। তবে সবার প্রথমে যে কাজটি আমাদের করতে হবে সেটি হলো আল্লাহ তাআলার দারস্ত হওয়া এবং আল্লাহ তাআলার কাছে সিজদায় লুটিয়ে পড়া। আমরা যত বেশি আল্লাহতালার কাছে কান্না করব এবং সিজদা করবো এবং হাত তুলে দোয়া করব আল্লাহ তা’আলা তত বেশি আমাদের উপর সন্তুষ্টি হবেন এবং আমাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করবেন।

বাচ্চা হওয়ার জন্য কি কি আমল করতে হবে

আচ্ছা হওয়ার জন্য সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে স্বামী এবং স্ত্রীকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। আল্লাহ তাআলা একজন পুরুষ এবং একজন মহিলাকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে যে কাজগুলো করতে বলেছেন সেই কাজগুলো আমাদের কোরআন এবং সুন্নাহ মোতাবেক করতে হবে।

বাচ্চা হওয়ার আরো একটি আমল হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। পুরুষ এবং মহিলা অর্থাৎ স্বামী এবং স্ত্রী উভয়কেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে এবং নামাজের পরে আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতে হবে সন্তান লাভের জন্য।

সন্তান লাভের আরও একটি আমল হচ্ছে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া। আমরা সকলে জানি যে রাতের তৃতীয়াংশে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়াটা খুব কষ্টের একটি ব্যাপার। তবে এই কষ্টকে কষ্ট না মনে করে যে এই বান্দি এবং বান্দা আল্লাহতালার উদ্দেশ্যে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করবে তাদের উপর আল্লাহতালা অনেক বেশি খুশি হন। এবং তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করার পরে যদি আল্লাহতালার কাছে কিছু চাওয়া যায় তাহলে তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না।

সন্তান লাভের আরও একটি বড় আমল হচ্ছে দোয়া পাঠ করা। যে দোয়ার মাধ্যমে আপনি একটি নেককার সন্তান লাভ করতে পারেন। আল্লাহ তাআলা চাইলে এই মুহূর্তের মধ্যেই আপনার গর্ভে আপনার সন্তান দিতে পারে তাই আপনি আল্লাহ তাআলার কাছে সবথেকে বেশি বেশি চান এবং আল্লাহতালা আপনার মনের আশা অবশ্যই পূরণ করবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *