আরাফার দিনের আমল কি কি

মুসলিম উম্মাহদের জন্য আল্লাহ তা’আলা এমন কিছু রাত এবং এমন কিছু দিনের সৃষ্টি করেছেন যে যেই দিন এবং রাতগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং রাতকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হবেন এবং আমাদের চাওয়া-পাওয়া সবকিছু পূরণ করবেন।

আমরা সকলে অবগত আছি যে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আযহার দিন এবং এই দিনে কোরবানির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে যারা হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় অবস্থান করেন তাদের আরাফার দিনে অর্থাৎ জিলহজ মাসের নয় তারিখে আরাফার ময়দানে অবস্থান করতে হয়। এই দিনটা অত্যন্ত ফজিলত নয় একটি দিন এবং এই দিনে কি কি আমল একজন মুমিন ব্যক্তি করতে পারে সে সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করব।

আরাফার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত

আমাদের জন্য যে হজ জীবনে একবার হলেও ফরজ করা হয়েছে সেই হজের মূল দিন হলো আরাফার দিন। এই আরাফার দিনের সময় হাজী সাহেবদের অবস্থান আরাফার ময়দানে থাকতে হবে। আমাদের আল্লাহ তাআলা এদেরকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছেন এবং দ্বীনের ইসলাম পূর্ণতার ঘোষণা দিয়েছেন এই দিনে। এবং এই দিনে আমাদের সব থেকে পবিত্র কিতাব আল্লাহর কিতাব কোরআন কারীমের সর্বশেষ আয়াত নাযিল হয়েছে। এই আয়াতটি হল “আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দিন পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলাম তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম” (সূরা মায়েদা আয়াত ৩)।

উপরের আয়া থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি যে এই আরাফার দিন কতটা ফজিলত নয় তাই আল্লাহ তায়ালা এই আরাফার দিনে আমাদের সকলকে কিছু ইবাদত করার হুকুম দিয়েছেন যে এবাদতগুলো করতে পারলে অবশ্যই আমরা আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হতে পারব।

আরাফার দিনের আমল মর্যাদা ও এদিনের রোজা সম্পর্কে

আরাফার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে হলে এই দিনে বান্দার দিকে রবের রহমতের জোয়ার প্রবল বেগে উৎসারিত হয়। অসংখ্য বান্দাকে তিনি ক্ষমা করে থাকেন এই দিনে। অমল মমিন হযরত আয়েশা রহমাতুল্লাহি আনহা থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “আরাফার দিনের মত আর কোনদিন এত অধিক পরিমাণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় না। আল্লাহতালা দুনিয়া নিকটবর্তী হোন এবং বান্দাদের নিয়ে ফেরেশতাদের নিকট গর্ব করেন। আল্লাহ বলেন, কি চায় তারা? (সহিঃ মুসলিম হাদিস ১৩৪৮)।

অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা নৈকট্য অর্জনের জন্য আরাফার দিনের আমাদের বিশেষ আমল গুলো করতে হবে এবং তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো আরাফার দিনে রোজা রাখা। বিভিন্ন হাদিস থেকে জানতে পেরেছি যে এই দিনে রোজা রাখলে দুই বছরে গোনা মাফ হয়ে যায়।

আরাফার দিনের দোয়া হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া তার কারণ হলো এত মহামান্বিত দিনে যখন রোজা থাকা অবস্থায় ইফতার কে সামনে রেখে আপনি আল্লাহ তাআলার কাছে দুই হাত তুলে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন তখন আল্লাহ তা’আলা কিভাবে আপনাকে ফিরিয়ে দেয়। আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় বান্দাদের আমলের ওপর খুশি হয়ে কখনোই আরাফার দিনের দোয়া ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *