৭ দিনে বিয়ে হওয়ার আমল

৭ দিনে বিয়ে হওয়ার আমল সম্পর্কে প্রথমে কিছু বিষয় পরিস্কার ভাবে বলতে চাচ্ছি। সাতদিনে বিয়ে হওয়ার আমল বিষয়ে এমন গ্যারান্টি আপনাকে কেউ দিতে পারবে না যে আপনি সেই আমলটি করবেন এবং সাত দিনের মধ্যে আপনার বিয়ে হয়ে যাবে। তার কারণ হলো সবকিছু বিশ্বাসের উপর এবং আপনি যে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে তার সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে আমল করছেন সেই সৃষ্টিকর্তা আপনাকে অবশ্যই খুশি করবে।

এমন নয় যে যাদু-টোনা করে আপনি সাত দিনের মধ্যেই কাউকে পটিয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছেন। আপনার অবশ্যই ভাগে যদি বিয়ে লেখা থাকে তাহলে আল্লাহ তাআলা ঠিক যেদিন বিয়ে লিখেছেন সেদিনই বিয়ে হবে। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে আমল করতে হবে। আপনি যে বিশ্বাসে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করছেন সেই বিশ্বাসে আমল করলে সাত দিনের মধ্যে না হলেও খুব তাড়াতাড়ি আপনার বিয়ে হবে ইনশাআল্লাহ।

এখন অনেকেই জিজ্ঞাসা করতে চাচ্ছেন সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার জন্য কি কি আমল করা যায়। বিয়ে করার জন্য বেশ কিছু আমল রয়েছে এবং সেই আমল গুলো কি কি সে সংকরকে সংক্ষিপ্ত আলোচনা আমাদের এই আর্টিকেলে আপনারা পাবেন।

বিয়ে হওয়ার সঠিক কিছু আমল

পুরুষ হোক বা নারী হোক যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায় তাহলে বিয়ে করতে হবে এটা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গেছেন। আমরা যদি নবীজির সুন্নাহ মেনে চলি তাহলে অবশ্যই আমাদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে করা উচিত।

তবে দুর্ভাগ্যের কথা হল মুসলিম বিশ্বে মুসলমানরাই এখন বেশি এই পথে হাঁটতে চাচ্ছেনা তার কারণ হলো তারা সুন্নাহ না মেনে বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভাবছে। বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং আশেপাশের মানুষদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি বিয়ে এমন কোন বিষয় নয় যেটা করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ক্ষতি হবে।

বরঞ্চ আপনি যদি ঈমানদার হন এবং নিয়মিত আমল করেন এবং আপনার যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাওয়ার পর বিয়ে হয় তাহলে সেই বিয়ে আপনার জন্য আল্লাহর রহমত এবং ফজিলত নিয়ে আসবে। তাই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে অবশ্যই বিয়ে করবেন এখানে আর্থিকভাবে কিছুটা স্বচ্ছল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে করা উচিত।

দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম যে আমলটি করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনাকে ঈমানদার হতে হবে। আল্লাহতালা যেভাবে আপনার জীবনকে পরিচালনা করতে বলেছে সেই ভাবে নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে হবে। সকল ফরজ কাজগুলো আদায় করতে হবে এবং সফল নফল কাজগুলো আদায় করতে হবে।

যতটা সম্ভব তওবা ইস্তেগফার পড়তে হবে। এইভাবে আস্তে আস্তে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে যখন আপনি নিজেকে তৈরি করতে পারবেন তখন অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আপনার মনের কথা অনুযায়ী আপনাকে আপনার জীবন সঙ্গিনীর জন্য ব্যবস্থা করে দেবে।

সকল যুবক এবং যুবতী নারী ও পুরুষের যে বিশেষ আমলটি করতে হবে বিয়ের জন্য সেটি হচ্ছে নিজেকে সবসময় কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে পরিচালনা করতে হবে। নিজেকে সবসময় ইসলামের পথে পরিচালিত করতে হবে। যুবুক পুরুষদের সব সময় নিজের চরিত্রকে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যে সেখানে কোন ধরনের খারাপ দিক ফুটে না উঠে।

যুবতী মেয়েদের সবসময় পর্দার আড়ালে থাকতে হবে এবং নিজের ব্যক্তিত্ব এবং চরিত্রকে এতটা সুন্দর করতে হবে যে যেটা কোন একটি ফুলের থেকে কম বলে মনে হয় না। এই ধরনের আমল আপনি করতে পারেন যার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা আপনার উপর সন্তুষ্ট হবে এবং আপনার জন্য নেককার এবং ধার্মিক এবং ঈমানদার জীবন সঙ্গিনীর ব্যবস্থা করে দেবে।

এছাড়াও এমন কিছু বিশেষ আমল রয়েছে যেগুলো আপনারা নিয়মিত করলে অবশ্যই আপনার বিয়ে হওয়ার দিন এগিয়ে আসতে পারে। সে সম্পর্কে জানতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন যেখানে এমন কিছু দিকনির্দেশনা আপনারা সংগ্রহ করতে পারবেন যে দিকনির্দেশনা আপনাদের কাজে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *