৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার জন্য যে আমলগুলো করতে হবে

বিয়ে আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় এবং এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যারা পদার্পণ করতে পেরেছেন তারা অনেক সৌভাগ্যবান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন মানুষ অনেকেই রয়েছে যারা মৃত্যুর আগে বিয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে পারেননি। তবে আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিয়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এবং সুযোগ বুঝে বিয়ে সম্পাদন করতে হবে।

আপনি হতে পারেন একজন যুবক অথবা বা হতে পারেন একজন যুবতী তবে আপনার যদি বয়স উপযুক্ত হয় এবং আপনার যদি সামর্থ্য হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিয়ে সম্পাদন করতে হবে। তবে এখানে বিয়ে সম্পূর্ণ আল্লাহ তায়ালার নির্ধারণ করে দিয়েছেন তাই আল্লাহ তালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবং আপনার বিয়ের দ্রুত হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু আলাদা ধরনের আমল করতে হবে। আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি কোরআন এবং সুন্নাহর আলোকে এই বিশেষ আমলগুলো যেগুলো দ্বারা আপনি আপনার বিয়ের সময়কে একটু তাড়াতাড়ি করতে পারেন।

মনের মত জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য যে আমল

বিয়ে এমন একটি অধ্যায় যে অধ্যায়ের মাধ্যমে আপনার জীবনের নতুন একটি সূচনা হয় তাই এখানে আপনার যে জীবনসঙ্গী হবে তাকে অবশ্যই আপনার মনের মত হতে হবে তা না হলে আপনার বিয়ের পরবর্তী জীবনগুলো অনেক জীর্ণ মনে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের মনের কথা সব থেকে ভালো বোঝেন তাই আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে মনের মত জীবন সঙ্গী পাওয়ার জন্য বিভিন্ন আমল করতে পারি।

আল্লাহতালার কাছে বেশি বেশি ক্ষমাপ্রার্থনা এবং আবেদনের মাধ্যমে আমরা মনের মত জীবনসঙ্গী চেয়ে নিতে পারি। অবশ্য সুযোগ বুঝে আল্লাহ তায়ালার কাছে মনের মত জীবনসঙ্গী চেতে হবে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই দোয়া কবুল হওয়ার সময় গুলো খুব ভালোভাবে জানতে হবে। বিশেষ করে শবে কদরের রাতে দোয়া অনেক বেশি কবুল হয় এছাড়াও আসরের নামাজ থেকে শুরু করে মাগরিবের আজানের পূর্ববর্তী সময়ের যে মধ্যবর্তী সময় আছে সেখানে দোয়া খুব তাড়াতাড়ি কবুল হয়।

রোজার ব্যক্তিদের দোয়া অর্থাৎ ইফতারিকে সামনে রেখে আপনি যে দোয়াটি করবেন আল্লাহ তালা সেই দোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কবুল করে নেবে তাই আপনি মনের মতো জীবনসঙ্গী পেতে অবশ্যই এই গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো কাজে লাগান।

দ্রুত বিয়েও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য আমল

দ্রুত বিয়ে হওয়া এবং উত্তম জীবনসঙ্গী পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু দোয়া এবং কিছু আমল করতে হবে যে আমলগুলো দ্বারা আপনি আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা’আলা কোরআন মাজীদে উল্লেখ করেছেন”তুমি বলো, আল্লাহ আমাদের ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন তা ব্যথিত কিছুই আমাদের নিকট পৌঁছাবে না। তিনি আমাদের অভিভাবক”(সূরা আত তওবা আয়াত নাম্বার ৫১)।

উপরের আয়াত থেকে আমরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি যে আল্লাহ তায়ালা আমাদের ভাগ্যে অনেক আগে থেকেই লিখে রেখেছেন আমাদের জীবনসঙ্গী সম্পর্কে তাই এ বিষয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই বরং আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করতে হবে এবং আল্লাহ তা’আলা যে আমলগুলো করতে বলেছেন সে আমলগুলো করতে হবে।

আর আপনি আপনার ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারেন একমাত্র দোয়ার মাধ্যমে তাই যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের ওসিলার মাধ্যমে আল্লাহতালার কাছে আপনি দোয়া প্রার্থনা করতে পারেন যার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা আম্বিয়ারে কেরামের আমলের মধ্যে দুয়ার বিষয়টি পবিত্র কোরআনে বারবার উল্লেখ করেছেন। হাদিসে এসেছে যে”ভাগ্য পরিবর্তন হয় না দোয়া ব্যতীত”(তিরমিজি ২১৩৯)।

এছাড়া আপনারা সুরা ইয়াসিন পড়তে পারেন যত বেশি সূরা ইয়াসিন পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে চাইবেন আল্লাহতালা আপনার বিয়ের সময় তত বেশি এগিয়ে দেবে।

আপনারা চাইলে আল্লাহ তালার জন্য বেশি বেশি মনে মনে জিকির করুন এবং তওবা পাঠ করুন। যে সকল অভিভাবক রয়েছেন তারা চাইলে নিজের সন্তানের দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য সূরা মরিয়ম নিয়মিত পড়তে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *