রোজার প্রথম ১০ দিনের রহমতের জন্য আমল

রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস এবং এই মাসে আমরা যত বেশি ইবাদত করতে পারব আমাদের তত আমলনামা বড় হবে। আল্লাহতালা মুসলমানদের জন্য মূলত এই মাসে ইবাদত করা ফরজ করে দিয়েছেন তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে নিজের ইবাদতের পরিধি বৃদ্ধি করা।

আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব রমজান মাসে কি কি আমল এবং কি কি জিকির করতে হয় যার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর খুশি হন। এছাড়াও প্রথম দশদিন রহমতের দশ দিনে কি কি বিশেষ আমলের দ্বারা আল্লাহ তায়ালার রহমত আমরা অর্জন করতে পারি। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে জানা যাক আল্লাহ তাআলার রহমত অর্জনের জন্য প্রথম দশ দিনে আমরা কোন কোন আমল করতে পারি।

রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল সমূহ

রমজান মাস হচ্ছে মুমিন ও ঈমানদার ব্যক্তিদের জন্য আমল করার জন্য সর্বোত্তম একটি মাস এবং এই মাসে আমল করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এ সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন_”রমজানের একটি ফরজ ইবাদত অন্য সময় ৭০ টি ফরজের সমান। আরে রমজানের একটি নফল আমল অন্য সময়ের একটি ফরজ সমান।

ওপরের বর্ণনা থেকে আমরা খুব সহজে বুঝতে পেরেছি যে আল্লাহ তায়ালা আমাদের রমজান মাসে আমল করার কতটা গুরুত্ব দিয়েছেন তাই আমরা চেষ্টা করব রমজান মাসে গুরুত্বপূর্ণ এই আমল গুলো করার। রমজান মাসের বিভিন্ন ধরনের আমলের মাধ্যমে আমরা আমাদের আমলনামা কে বৃদ্ধি করতে পারি তার মধ্যে হতে পারে ফরজ আমল হতে পারে নফল আমল।

রমজান মাসের প্রথম দশ দিনের জিকির

রমজান মাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হচ্ছে প্রথম ১০ দিন তার কারণ হলো এটি হচ্ছে রমজানের শুরু এবং সারা বছর সময়মতো পানাহার করার পরে যখন আমরা রমজান মাসে পানাহার থেকে দিনের বেলায় বিরত থাকার চেষ্টা করি তখন প্রাথমিকভাবে আমাদের খুব কষ্ট হয়। আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনে তার রহমত নাযিল করবেন বলেছেন তাই সেখান থেকে অবশ্যই আমাদের নিজের আমল আমাকে বৃদ্ধি করার জন্য বহু ধরনের আমল করতে হবে।

রমজানের প্রথম দশ দিনের জিকির বলতে মনে মনে সব সময় আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটি সব সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত ফজিলত নয় একটি আমল যেটা একজন মুমিন ও ঈমানদার ব্যক্তি রমজান মাসের প্রথম দশ দিনে বেশি বেশি করতে পারে।এছাড়া আল্লাহর রহমত প্রাপ্তির আশায় রমজান মাসের প্রথম দশ দিনে আপনি বিভিন্ন ধরনের জিকির করতে পারেন মনে মনে সব সময় এবং আল্লাহতালাকে খুশি করার জন্য আমাদের প্রিয় নবীর উদ্দেশ্যে দরুদ পাঠ করতে পারেন।

রোজার প্রথম দশ দিনের দোয়া

প্রথম দশদিন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তার কারণ হলো এই প্রথম 10 দিনেই সকল ঈমানদার ও মমিন ব্যক্তিরা তার ঈমানের পরিচয় দিয়ে থাকে। এই প্রথম ১০ দিনে ইবাদত করা সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন”রমজান মাস আরম্ভ হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ঘোষক অনবরত ঘোষনা করতে থাকে, হে সৎকর্মপরায়ণ! তুমি দ্রুত অগ্রসর হও। আর হে পথচারী! তুমি নিভৃত হও” (তিরমিজি)।

অবশ্যই আমাদের প্রথম দশ দিনকে কাজে লাগাতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার ঘোষণা অনুযায়ী এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বর্ণনা অনুযায়ী আমাদের সঠিক ইবাদত সঠিক সময় করতে হবে।

প্রথম দশ দিনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে ফরজ সিয়াম পালন করা অর্থাৎ যে ফরজ রোজা আমাদের উপর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা। এর পাশাপাশি আমাদের যে কাজটি করতে হবে সেটি হল বেশি বেশি করে নফল ইবাদত গুলো করতে হবে এ রমজান মাসে যার কারণে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *