মহরম মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং ফজিলত সমূহ

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে আরবি যে মাসগুলো রয়েছে সে মাছগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ হলো এই আরবি মাসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আমল সাজানো হয়েছে। ইসলামে মহরম মাসের গুরুত্ব অপরিসীম এবং এই মহরম মাসের অর্থ যদি করা হয় তাহলে তার অর্থ আসে সম্মানিত।

তবে অবশ্যই এই মহররম মাসের ফজিলত বৃদ্ধি করা হয়েছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে এবং সেই ঘটনাগুলো সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত আছি। রমজানের পরের রোজার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ যে মা সেটা হচ্ছে মহররম মাস এবং সেই মহররম মাসে কি কি আমল আমাদের করতে হবে এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মহররম মাস কে কেন্দ্র করে কোন কোন আমল আমাদের করতে বলেছেন সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

মহরম মাসের বিশেষ আমল

বিভিন্ন হাদিস আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি যেখানে মহররম মাসের ফজিলত সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রমজানের পর রোজার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ মাস হলো আল্লাহর মাস মহররম” (মুসলিম)। এই হাদিস থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে মহররম মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারলাম এবং এই মহররম মাসের রোজা রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাও জানতে পারলাম।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল উম্মতদের জন্য এই মাসে বিশেষ কিছু আমল করা নির্দেশনা দিয়েছেন। দশ মহররম সম্পর্কে হাদীস শরীফে একটি বর্ণনা পাওয়া গেছে যেখানে “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরতের পরে দেখেন ইহুদিরা এই দিন রোজা পালন করছে ।তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমরা হযরত মূসা আলাইহিস সালামের অনুকরণ করার ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার। তিনি নিজেই সেই দিনে রোজা পালন করলেন এবং সাহাবাদেরকেও এই দিনে রোজা রাখতে নির্দেশ দিলেন। ,”(বুখারী)।

এখানে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে ইহুদিদের অনুকরণ যেন না হয়। মহরমে আশুরা উপলক্ষে ইহুদিরা একদিন আশুরার রোজা রাখতেন সেই কারণে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহুদিদের ব্যতিক্রম করতে বলেছেন এবং হাদিসে এসেছে যে “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি তাহলে নয় এবং দশ মহররম দুইদিন রোজা রাখব” (মুসলিম)।

উপরের হাদিসগুলো থেকে আমরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি যে মহররম মাসের রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে এবং এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমল সেটা সম্পর্কে। তা যারা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান এবং আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হতে চান তারা কখনোই মহররম মাসের রোজা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন না।

এছাড়াও হাদিসে আমরা জানতে পেরেছি যে মহররম মাস একটি মহান বিজয় মাস যেখানে মহররমের 10 তারিখে আল্লাহতালা তার রাসূল হযরত মুসা আলাই সাল্লাম কে তার সঙ্গী বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের আক্রমণের হাত থেকে উদ্ধার করেন আর ফেরাউন তার সঙ্গীসহ নীল নদে ডুবে মারা যান। তাই অবশ্যই এই দিন অথবা এই মাসটি অত্যন্ত ফজিলত নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *