ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প, কার্টুন, pdf, পিডিএফ ডাউনলোড

অর্নবের মা-বাবা আর দিদি বরিশাল যাচ্ছে। সাধারণত এমন হয়না যে অর্নবের পরিবারের সবাই কোথাও যাচ্ছে আর সাথে অর্ণব নেই। কিন্তু এবার এমন হবার কারণ অর্নবের মাধ্যমিক চূড়ান্ত পরীক্ষা। অর্নবের দাদু হঠাৎ ভীষণ অসুস্থ হওয়ায় সবাইকে যেতে হচ্ছে। শেষ দেখাটা যদি একবার দেখা যায় সেই আশাতেই সবার যাওয়া।

বায়োলজি পরীক্ষার আগের চার দিন ছুটি। বায়োলজিতে অর্ণব এর প্রস্তুতি খুব একটা ভালো না। অর্ণব ম্যাথ ও ফিজিক্সে খুব বেশি পাকা। সারাবছর বায়োলজি বই খুব বেশী হাতে না নেওয়ায় প্রিপারেশন এর এই হাল। বায়োলজি পরীক্ষা বলেই অর্ণব বাড়ি থেকে দূরে কোথাও যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। যেভাবেই হোক চারদিন অনেক পরিশ্রম করে ভালো মার্কস তুলতে হবে।

অর্ণব দের বাড়ি তিন পাশেই জঙ্গল বলা যায়। বাড়ির পেছনের দিকটায় বড় বাগান। অর্ণব কখনো এই বাড়িতে একা থাকেনি। কোথাও বেড়াতে গেলে পরিবারের সবাই একসাথে বেড়াতে যেত। এমন একটা বাড়িতে অর্ণবকে একা থাকতে হবে ভেবে ভিতর একটু একটু ভয় কাজ করছে কিন্তু বায়োলজি পরীক্ষার ভয় এর কাছে এভয় কিছুই নয়।

অর্ণব দের বাড়ির সামনের দিকে কিছুটা দূরে শুভ দের বাসা। শুভ অর্ণব এর চেয়ে দু বছরের বড়, হরিপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অর্ণব আর শুভর মধ্যে বন্ধুত্বের মত সম্পর্ক বলা যায়। দিনের বেলা বেশিরভাগ সময়ই তারা একসাথে কাটায়। অর্ণব যেহেতু এর আগে কখনো একা থাকেনি তাই অর্নবের বাবা শুভকে অর্ণব এর সাথে থাকতে বললেন।

বিকেলের দিকে অর্নবের বাবা মা আর দিদি রওনা দিলেন। তখনো অর্নবের ভেতরে কোনো অস্বস্তি কাজ করেনি, সন্ধ্যার পর থেকেই কেমন একটা অস্বাভাবিক অনুভূতি কাজ করতে শুরু করলো তার মনে। কোনোভাবেই সে বইয়ের দিকে মনোযোগ দিতে পারছিল না। এত বড় বাড়ীতে সে একা, বাড়ির পেছনের দিকটাই তাকালেই শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। লোডশেডিং হলে পুরো বাড়িটাও অন্ধকার হয়ে থাকবে।

অর্নবের বাড়ির পেছনের বাগানের একটা ঘটনা আছে। শুভর ছোট চাচা মহসিন এই বাগানের একটা আমগাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। তারপর থেকে দিনের বেলায় ও মানুষ এই বাগানে যাওয়া আসা করতে ভয় পেতো। চোখের সামনে বায়োলজি বই রেখে এমন অদ্ভুত ভাবনা গুলোই অর্নবের মাথার ভেতর ঘুরছিলো।চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানোর মতো সাহস আর তার হলো না কোনোভাবেই।তার কেন যেন মনে হচ্ছিলো তার পেছনে শুভর ছোটো চাচা দাঁড়িয়ে আছে।

অন্ধকার রুমের ভেতরে ঢুকেই শুভ অর্ণব এর নাম ধরে ডাকতে থাকে। কোথাও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে হাতের টর্চটা চারদিকে মারতে শুরু করল। কিন্তু বোঝা যাচ্ছিল না অর্নব ঘরের ভিতরে ছিলো কিনা। চেয়ারে নিজের দিকটায় টর্চ মারতেই শুভ দেখতে পেল অর্নব মেঝেতে পড়ে আছে। দ্রুত সে অর্নবের সামনে গিয়ে বসলো, গায়ে হাত দিয়ে অনেকবার ডাকার পরে সে বুঝতে পারলো অর্ণব অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। শুভ বুঝতে পারছিল না এই মুহূর্তে তার কি করা দরকার। টেবিলের উপর থেকে পানির বোতলটা নিয়ে সে অর্নবের মুখে ছিটাতে শুরু করল। কিছুক্ষণ পর অর্ণব একটু নড়েচড়ে উঠলো, চোখ খুলে অন্ধকারে কোনমতে সে শুভকে চিনতে পারল। শুভ অর্ণব কে ধরে চেয়ারের উপর বসিয়ে দিল। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করল তার সাথে কি ঘটেছে, কেন সে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। অর্ণব শুভর দিকে একবার তাকিয়ে কিছু না বলে চোখ নামিয়ে নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।

প্রিয় পাঠকগণ, আপনাদের কি মনে হয়? অর্ণব এর সাথে কি ঘটেছে?? জানতে হলে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। পরের লেখায় আমরা গল্পটির পরের অংশগুলো নিয়ে আসছি। এমন সব ভূতের গল্প পেতে সবসময় আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনি যা পাবেন

১. ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প
২. ভয়ঙ্কর ভূতের কার্টুন
৩. ভূতের গল্পের পিডিএফ ডাউনলোড

ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প

 

উপরের গল্পটির পরের অংশগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আরো বেশি ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প আমরা আমাদের পরের লেখাগুলোতে নিয়ে আসবো। আপনি যদি ভূতের গল্প পড়তে পছন্দ করেন তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং পড়ে ফেলুন আমাদের সব গল্পগুলো।

ভয়ঙ্কর ভূতের কার্টুন

ভূতের কার্টুন দেখতে অনেকে ভীষণ পছন্দ করে। ভুতের কার্টুন গুলো অনেক রহস্যজনক হয়। আপনি যদি কার্টুন প্রেমী হন এবং ভুতের প্রতি আপনার আগ্রহ থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ভয়ঙ্কর ভূতের কার্টুন ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

ভূতের গল্পের পিডিএফ ডাউনলোড

বিভিন্ন লেখকের এর ভূতের গল্প পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আমরা বিখ্যাত কিছু লেখকের এর ভূতের গল্পের পিডিএফ আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিয়েছি। আপনি নিয়মিত ভূতের গল্প করতে চাইলে সরাসরি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পড়তে পারেন আবার চাইলে সেই গল্পগুলো পিডিএফ সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *