বৃহস্পতিবার রাতের আমল

সাধারণত ঈমানদারদের জন্য প্রত্যেকটি মুহূর্তই হচ্ছে আমল করার সময়। জীবনে আপনি যত বেশি আমল করতে পারবেন মৃত্যুর পরে তত বেশি নেকি আপনার আমল নামায় যুক্ত হবে। তাই যেকোনো বাহা নাই এবং যেকোনো মুহূর্তকে আমলের জন্য প্রস্তুত করুন। আল্লাহ তাআলা আমাদের জীবনের দিন ও রাজনীতি ধারা রেখেছেন। এরমধ্যে কিছু দিনকে অত্যন্ত বরকতময় এবং কিছু রাতকে অত্যন্ত বরকতম হিসেবে আমাদের জন্য প্রেরণ করেছেন।

আমরা যদি বুদ্ধিমান হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এই সময়গুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাবো। এমন একটি রাত হল বৃহস্পতিবার যেই রাতে জুমার দিনের আগের রাত এবং এই রাতে ইবাদত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি ব্যাপার। বৃহস্পতিবার এ আমরা যদি সূর্যাস্ত থেকে শুক্রবারে সুবহে সাদিক পর্যন্ত সময়টাকে কাজে লাগাতে পারি তাহলে অত্যন্ত বরকতময় এই সময়টা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় বয়ে আনবে।

বৃহস্পতিবারের বিভিন্ন আমল এবং বৃহস্পতিবারে রোজা সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেছেন। হাদীস শরীফে এই বিষয়ে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত:-

বৃহস্পতিবার ও সোমবার আল্লাহ তায়ালার সামনে বান্দার আমল উপস্থাপন করা হয়, তাই আমি চাই আমার আম্মুর বেশ করার সময় আমি যেন রোজা অবস্থায় থাকি। সুনানে নাসাঈ ২৩৫৮।

উপরের হাদিসটি পড়লেই আমরা বুঝতে পারি বৃহস্পতিবার এবং সোমবার রোজা রাখার ফজিলত এবং গুরুত্ব সম্পর্কে। এই দিনগুলোতে রোজা রাখার সবচেয়ে বড় ফজিলত হচ্ছে এই দিনগুলোতে আল্লাহ তা’আলা আমাদের গুনাহ মাফ করেন এবং এই গোনাহ মাফের সবাই আমরা রোজা অবস্থায় থাকলে অবশ্যই সেটার ফজিলত অনেক গুণ বেড়ে যাবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন।

বৃহস্পতিবার রোজা রাখার নিয়ম

আমরা সকলে অবগত আছি যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোজা রাখ। এ সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন:-“বৃহস্পতিবার ও সোমবার আল্লাহ সব মুসলিমকে ক্ষমা করে দেন। তবে ওই দুই ব্যক্তি ছাড়া, যারা একে অপরকে বর্জন করেছে। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘পরস্পর মিলে যাওয়া পর্যন্ত এদেরকে আপন অবস্থায় ছেড়ে দাও’। সুনানে ইবনে মাজাহ ১৭৪০।

তাহলে আমরা বুঝতে পারছি যে বৃহস্পতিবার এ রোজা রাখার গুরুত্ব কতটুকু। আমাদের সকলকে এই বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে ইবাদত পালন করতে হবে এবং প্রত্যেকটির কাজে লাগাতে।

বৃহস্পতিবারের আরো অন্যান্য আমলসমূহ

অবশ্যই বৃহস্পতিবারে আপনারা চাইলে অন্যান্য আমল করতে পারেন। রোজা থাকা অবস্থায় অথবা রোজা ছাড়া অবস্থায় আপনারা দরুদ পাঠ করতে পারেন। আমরা যারা দৌলত পাঠ করতে পছন্দ করি তারা সবসময় চেষ্টা করবো মনে মনে দরুদ পাঠ করতে। তাই বৃহস্পতিবার কে কোন ঘরে অবহেলা না করে সব সময় আমলের মাধ্যমে ব্যবহার করা উচিত।

বৃহস্পতিবারে আমরা পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত আদায়ের পরে দোয়া করতে পারি। আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় বান্দাকে রোজাদার অবস্থায় কোনভাবেই খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। তাই আপনি যখন রোজা থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাআলার কাছে কিছু চাইবেন আল্লাহ তা’আলা আপনাকে ফিরিয়ে দেবেন না। এবং বুদ্ধিমান মমিন ব্যক্তি হিসেবে অবশ্যই আপনি এই সুযোগটি মিস করতেও চাইবেন না এবং বৃহস্পতিবারে আপনি যদি রোজা থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে কিছু চান তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার পক্ষে একটি বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

এছাড়াও আমরা বৃহস্পতিবারে চেষ্টা করব যতটা সম্ভব পাপড়তে থাকতে এবং সত্যি কথার মাধ্যমে পুরো দিনটা পার করতে। আমরা সকলে অবগত আছি যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ জীবনে একটি ও মিথ্যা কথা বলেননি। আমরা তার পথ অনুসরণ করেই আস্তে আস্তে মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দিতে পারে এইভাবে। তারপর অনুসরণ করে বৃহস্পতিবারে আমরা রোজা রাখতে পারি এবং পুরোটা রোজা থাকা অবস্থায় সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দিতে পারি এই ভাবে আমরা তুলতে পারি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *