তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল

প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাওয়ার পরে যখন আপনার বিয়ে হয় না তখন অবশ্যই এটা নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা থাকে। তবে বিয়ে এমন একটি জিনিস যেটা সম্পূর্ণ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নির্ধারণ করে দেয়া হয় তাই আপনি এখানে তাড়াতাড়ি করেও লাভ নেই। আল্লাহ তাআলা যখন চাইবেন তখনই আপনার বিয়ে হবে তবে এখানে অবশ্যই কিছু দিকনির্দেশনা আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার বিয়েটা তাড়াতাড়ি হওয়ার জন্য আমল করতে পারে।

মুসলমানদের জীবন ব্যবস্থা আল্লাহ তায়ালা এমন ভাবে তৈরি করে দিয়েছেন যে আমরা প্রত্যেকটি জিনিসের জন্য আল্লাহর কাছে শরণাপন্ন হবো এবং আল্লাহ তাআলাকে আমল এবং ইবাদতের মাধ্যমে খুশি করে সেই জিনিসটা অর্জন করব। আল্লাহ তাআলা আমাদের হুকুম দিয়েছেন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে বিয়ে করতে তার কারণ হলো প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাওয়ার পরে আমরা যদি বিয়ে না করি তাহলে আমাদের পাপের পাল্লা আস্তে আস্তে।

কিন্তু বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় দেখা যাচ্ছে যে একটি মানুষ পড়াশোনা শেষ করতে করতে তার বয়স অনেক বেশি হয়ে যায় তারপরে সে চাকরির খোঁজ করে এবং চাকরি হতে হতে তারা বয়স আরো বেশি হয়ে যায় তারপরে সে বিয়ে করে। এটা সম্পূর্ণ আমাদের ধর্ম বিরোধী কাজ তার কারণ হলো আপনার যখন প্রাপ্তবয়স্ক বয়স হয়ে যাবে তখন অবশ্যই আপনাকে বিয়ে করতে হবে ‌। এখানে অনেকে যুক্তি দেখাতে পারেন আর্থিক অবস্থার কথা এবং সাংসারিক অর্থনীতির অবস্থা।

তবে আপনি কি জানেন আপনার রিজিকের মালিক হচ্ছে আল্লাহ তায়ালা তাহলে আপনি কেন রিজিক নিয়ে চিন্তা করছেন। হ্যাঁ অবশ্য এখানে কিছুটা যোগ্যতা অর্জন করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনি যদি আপনার বিবাহিত স্ত্রীর দেনমোহর পরিষদের যোগ্য হতে না পারেন তাহলে কোন ভাবে বিয়ে করতে পারেন না।দেনমোহর পরিষদের যোগ্য হওয়ার পরেই আপনাকে বিয়ে করতে হবে এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে আল্লাহ তালাই আপনাদের রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবে।

যে দোয়া বরকতে দ্রুত বিয়ে হয়

অনেকেই দ্রুত বিয়ে হওয়ার দোয়া জানতে চেয়েছেন। আমরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি আশা করব সে তথ্য বলে আপনাদের দিতে পেরেছি। সাধারণত যেসব যুবক-যুব তিনি বিবাহর বয়স অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিবাহ হচ্ছে না তাদের মধ্যে যুবক চেপে ধরে এবং যুবতীরা বাম হাত দিয়ে ডান হাতের ধরে নামাজের পর সূর্য আগে ৪০ বার হিসাবে ৪০ দিন পর্যন্ত “ইয়া ফাত্তাহু”পড়বেন। তাসবীহ ফাতেমী হলো-
আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার
সূরা তাওবার আয়াত পাঠ করা
ইস্তেগফার করা
সূরা আদ দোহা সহ সূরা কাসাসের আয়াত পাঠ করা
সুরা ইয়াসিন পাঠ করা

সম্পূর্ণ ইবাদতগুলো আপনাকে করতে হবে নিয়মিত নামাজের পর। আপনি যখন ফরজ সালাত আদায় করবেন তখন অবশ্যই সালাত শেষে আপনি বৈঠকে বসে থাকেন এবং সে অবস্থাতে আপনাকে এই আমলগুলো করতে হবে। আপনি যত বেশি এই আমলগুলো করবেন আপনার এই আমলের বরকতের আপনার বিয়ের সময় তত বেশি এগিয়ে আসবে।

উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল

অবশ্যই আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ফলে একটি জীবনসঙ্গিনী পায় যিনি কিনা সারা জীবন আমাদের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে উত্তম জীবনসঙ্গির অভাবে অনেক সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অথবা অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

এর মধ্যে যারা মুমিন ও ঈমানদার যুবক-যুবতী আছে তাদের দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ হলো উত্তম জীবনসঙ্গী কিভাবে পাবে। উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার সবথেকে বড় আমল হল নিজেকে একজন সৎ চরিত্রের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। আপনি যতটা সৎ হিসেবে যে নিজের জীবন এবং নিজের চরিত্রকে গড়ে তুলতে পারবেন আপনার জীবন সঙ্গীও ততটাই সৎ হবে।

আল্লাহ তাআলা কোরআন এবং সুন্নাহ মোতাবেক নিজের জীবন পরিচালন করুন এবং সময় মত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করুন এবং পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের পরে আল্লাহ তায়ালার কাছে একজন ভালো নেককার জীবনসঙ্গী লাভের জন্য দোয়া করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *