সকাল ও সন্ধ্যার আমলসমূহ

যারা মমিন ব্যক্তি তারা প্রত্যেকটি মুহূর্তকে কাজে লাগায় এবং আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মশগুল থাকে। বর্তমান যুগে এত ব্যস্ততার মধ্যেও যারা আল্লাহ তালাকে সব সময় স্মরণ করেন তারাই প্রকৃতপক্ষে মুমিন ব্যক্তি। আর আপনি যদি একজন মুমিন ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চান তাহলে এই সুযোগগুলো কখনোই মিস করবেন না। আল্লাহর রাসূল যেভাবে তার দ্বীনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত আল্লাহতালা ইবাদতের মানুষগুলো রেখেছেন সম্পূর্ণ সেই চেষ্টা আপনাকে করতে হবে।

আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে সকাল প্রসন্ধ্যার যে আমলগুলো আমাদের জন্য ফজিলতপূর্ণ সেই আমলগুলো সম্পর্কে। আমাদের এখান থেকে আজকে আপনারা সকাল ও সন্ধ্যার যে আমলগুলো রয়েছে সে আমলগুলো সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা।

সকাল সন্ধ্যার পাঁচটি আমল

অবশ্যই মুমিন ব্যক্তিরা সকাল এবং সন্ধ্যাতে আমল করার মুহূর্তে আমল করতে বিরত থাকেন না। আমরা যারা সকাল সন্ধ্যায় এই মুহূর্তগুলো মিস করতে চায় না তারা সকাল সন্ধ্যায় বিভিন্ন ধরনের আমল করতে পারে। অবশ্যই সকাল-সন্ধ্যায় আমলের মধ্যে দোয়া গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চলুন আমরা জানি সকাল সন্ধ্যায় কোন পাঁচটি আমল আপনি করতে পারেন।

১) সকাল সন্ধ্যা জন্য পড়ার অবশ্যই কিছু দোয়া আছে যে দোয়াগুলো আপনি পড়লেন আপনার জন্য সেটা ফজিলত পূর্ণ হতে পারে। তাদের মধ্যে একটি দোয়া হচ্ছে”হাজবাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু আলাইহি তাওআক্কালতু ওয়াহু রাব্বুল আরশিল আজিম।”এই দোয়াটির অর্থ হচ্ছে আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তারই ওপরে নির্ভর করছি, আর তিনি হচ্ছেন মহান আরশের অধিপতি। প্রত্যেকটি সকাল এবং সন্ধ্যায় আমরা যত বেশি এই দোয়াটি পাঠ করবো তত বেশি এই দোয়া আমাদের জন্য কাজ করবে। যে ব্যক্তি সকাল এবং সন্ধ্যায় এ দোয়াটি সাতবার পড়বে দুনিয়া ও আখিরাতের সব চিন্তাভাবনার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট হবেন।

২) বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুরুরু মাআ-ছমিহি শাইয়্যুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস্সামাই ওয়া হুয়াচ্ছামিউল আলিম। তিরমিজি যাদুল মাআদ। এই দোয়াটির অর্থ দাঁড়ায় আল্লাহর নামে যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কেউ কোনো ক্ষতি করতে সক্ষম নয়। তিনি সব জানেন ও শোনেন। যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যায় এ দোয়া তিনবার করে পাঠ করেন আল্লাহ তাআলা তাকে সর্বপ্রথম থেকে হেফাজ করবে । আশা করবো আপনারাও এই দোয়াটি অনুসরণ করবেন।

সকাল সন্ধ্যায় বিভিন্ন ধরনের আমল

দোয়া পাঠ করার পাশাপাশি সকাল সন্ধ্যা তে মনে মনে আপনি ইস্তেগফার তওবা পাঠ করতে পারেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এছাড়া আল্লাহ যেই তাজবীহগুলো পছন্দ করেন বা যে কি ভুল পছন্দ করেন আপনাকে সবসময় করতে হবে। এই শব্দগুলো ছোট সেই শব্দগুলো তখনটাই বড়।

সবসময় নিজেকে ইবাদতের মধ্যে মশগুল রাখতে হবে এবং সব সময় চেষ্টা করতে হবে কোরআন এবং সুন্না মোতাবেক প্রত্যেকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যদি আপনি কোরআন এবং সুন্নাহ মোতাবেক প্রত্যেকটি পদক্ষেপ সঠিকভাবে নিতে পারেন তাহলে প্রত্যেকটি কাজে আপনার আমলের সমতুল্য হবে এবং সেখান থেকে আপনি ফজিলত পেতে পারেন।

সকাল সন্ধ্যা হতে আমাদের কোরআন শরীফ পাঠ করা উচিত। সম্পূর্ণ জীবন বিধান অর্থাৎ আমাদের জীবনে যত সমস্যা আসুক না কেন এই কোরআন শরীফে তার উত্তর রয়েছে। সেটার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে এবং বেশি বেশি করে কোরআন শরীফ পাঠ করে তার সঠিক অর্থ বুঝতে হবে।

পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত এমন কোন প্রশ্ন খুঁজে পাওয়া যায় নিজেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের পবিত্র কোরআন শরীফে পাওয়া যায়নি। কথার মতন খুঁজতে হবে অর্থাৎ কোরআন শরীফ কে ভালোভাবে চিনতে হবে এবং বুঝতে হবে। আর এর জন্য সকাল এবং সন্ধ্যাতে কোরআন শরীফ পাঠ করা বিকল্প নেই। আপনি কোথায় টেনসনে থাকুন না কেন যতটাই ব্যস্ত থাকুক না কেন নিজেকে সময় দিন এবং সকাল এবং সন্ধ্যাতে কোরআন শরীফ নিয়মিত পাঠ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *