শবে কদরের ফজিলত ও আমল

আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের এই অনুচ্ছেদে যেখান থেকে আমরা আজকে সকলেই অবগত হতে পারব মহামান্বিত রজনী শবে কদর সম্পর্কে। শবে কদরের রাত সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত আছি এবং এই শবে কদরের রাতে আল্লাহ তা’আলা তাঁর রহমত কতটা বর্ষিত করে সেটাও আমরা সবাই জানি। আমরা সকলে অবগত আছি যে হাজার মাসের থেকে উত্তম হচ্ছে শবে কদর।

তবে অবশ্যই শবে কদরের যে আমলগুলো রয়েছে সে আমলগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে সে আমলের ফজিলত আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন। শবে কদরের যে ফজিলত ও আমল গুলো রয়েছে সে সম্পর্কে আজকে সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আপনাদের জানানো হবে। অনুরোধ থাকবে ধৈর্য সহকারে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে শবে কদরের আমল সম্পর্কে জানতে আমাদের আর্টিকেল পড়ুন।

শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্কে

বছরে সর্বশ্রেষ্ঠ বরকতময় রজনী হচ্ছে শবে কদর এবং এই শবে কদরের ফজিলত বলে শেষ করা যাবে না। জীবন্ত মজিজা মহাগ্রন্থ আল কোরআন সর্বপ্রথম এই রাতে নাযিল করা হয়েছিল। তাই অবশ্যই এই শবে কদরকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন”নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি মহাপ্রভুর রজনীতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় রাত্রে কি? মহিমান্বিত বেশি সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। সেই রাত্রিতে ফেরেশতারা রুহুল কুদ্দুস হযরত জিব্রাইল আলাই সাল্লাম সমভিব্যাহারে অবতরণ করে, তার প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশে ও অনুমতিক্রমে, সকল বিষয়ের শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে ঊষা উদয় পর্যন্ত”সূরা কদর আয়াত নাম্বার ১ থেকে ৫।

শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে একটি আয়াত নাজিল করেন এবং আমাদের সকলকে জানাই তাহলে আমরা সব থেকে মহিমান্বিত রজনী তালাশ করতে সক্ষম হবে। আর যদি ইবাদতের কথা বলি তাহলে অবশ্যই শবে কদরের ইবাদত সর্বোত্তম ইবাদতের মধ্যে একটি।

এমনিতেই শবে কদর রমজান মাসের একটি রাত তাই রমজান মাসে আমরা যে ইবাদতগুলো করি সে ইবাদতের সওয়াব কে আল্লাহ তায়ালা 70 গুণ বৃদ্ধি করে দেন। তারপরে যদি আমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদরের তালাশ করতে থাকি এবং আমাদের ভাগ্যে যদি শবে কদর তালাশ করা হয়ে যায় তাহলে সেই ইবাদতের বিনিময়ে আমরা হাজার মাস উত্তম বেশি সওয়াব পাব। এত সহজেই এতকিছু পাওয়া আর সেটা অবহেলা করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। চলুন জানি শবে কদরে কি কি ইবাদত আমরা করতে পারি।

শবে কদরের বিভিন্ন ধরনের ইবাদত

শবে কদরের সর্বপ্রথম যে ইবাদত আমাদের করতে হবে সেটি হচ্ছে আল্লাহ তাআলার প্রতি আনুগত্য স্বীকার করতে হবে। আমল করার প্রস্তুতি গ্রহণ হিসেবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করতে হবে। উত্তম কাপড় এবং উত্তম সুগন্ধি ব্যবহার করে শবে কদরের রাতে আমল শুরু করতে হবে।

নামাজ পড়া শবে কদরের রাতের উত্তম একটি আমল। আপনি এই রাতে যত বেশি নফল নামাজ আদায় করতে পারবেন আল্লাহ তা’আলা আপনার উপর তত বেশি খুশি হবেন। বিভিন্ন মতামতে বিভিন্ন নিয়মে নামাজ পড়তে বলা হয়েছে তবে আপনি যেই মানেন না কেন এখানে অবশ্যই মনোযোগ এবং ধৈর্য দেখাতে হবে তার কারণ হলো আল্লাহ তাআলার সঙ্গে যোগাযোগ করার এটিই হচ্ছে একমাত্র মাধ্যম।

আপনি যত বেশি পারেন তত বেশি কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করতে পারেন। শবে কদরের রাতে কোরআন মাঝি তেলাওয়াত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল তাই আপনারা যদি সুযোগ পান শবে কদরের রাতে তাহলে অবশ্যই সেখানে কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করতে পারেন।

বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার পড়া। আপনি মনে মনে সব সময় বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার পড়লে আল্লাহ তা’আলা সব সময় আপনার ওপর খুশি থাকেন। এর পাশাপাশি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দরুদ পাঠ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় আল্লাহর উদ্দেশ্যে জিকির পাঠ করাও সবে কদরের উত্তম একটি আমল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *