শবে বরাতের ফজিলত ও আমল কি কি

শবে বরাতের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে বলতে হলে অবশ্যই হাদিসের শরণাপন্ন হতে হবে এবং হাদিসের আলোকে শবে বরাতের যে আমলগুলো আমাদের করতে বলা হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে হবে। অবশ্যই শবেবরাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত এবং এই রাতে আমল করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন আজকে জানার চেষ্টা করি শবে বরাতের রাতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি আমল করতেন এবং সে আমলগুলো করা আমাদের জন্য কতটা ফজিলত নয়।

অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা যে রজনীগুলো আমাদের জন্য ফজিলতময় হিসেবে গড়ে তুলেছেন তার মধ্যে শবে বরাত হচ্ছে একটি। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবেবরাত বলা হয় যেটাকে লাইলাতুল বরাত বলা হয়। এই শবেবরাতকে কেন্দ্র করে গোটা মুসলিম উম্মাহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল হয়ে থাকেন। এখন কোন কোন ইবাদতের মাধ্যমে আপনি আল্লাহ তাআলাকে খুশি করতে পারবেন সেটা অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে।

শবে বরাতের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত

শবে বরাতের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত সম্পর্কে বলতে গেলে একটি ঘটনা বলতে হয়। আয়েশা সিদ্দিকার রহমাতুল্লাহি আনহা বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাঃ নামাজে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন; আমি তখন উঠে তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়লো; তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা! তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে? আমি উত্তরে বললাম ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার অসংখ্য হচ্ছিল আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন , তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলই ভালো জানে। তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন এটা হলো অর্ধ সাবানের রাত; এরাতে আল্লাহতালা তার বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন; ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিশ্বের পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন” । (সু আবুল ঈমান তৃতীয় খন্ড ৩৮২) ।

উপরের হাদিস থেকে আমরা খুব ভালোভাবে শবে বরাতের ইবাদত সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছি তাই অবশ্যই আমাদের শবেবরাতের বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত আল্লাহ তা’আলা নৈকট্য লাভের জন্য।

শবে বরাতের নফল ইবাদত ও নামাজ

শবে বরাতের রাতে আমাদের বেশি বেশি নফল ইবাদত করতে হবে এবং নফল নামাজের মাধ্যমে আল্লাহতালা নৈকট্য লাভের চেষ্টা করতে হবে। এই প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “যখন সাবানের মধ্য দিবস আসবে তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে” (ইবনে মাজাহ) । এখান থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শবে বরাতকে কেন্দ্র করে রাতে আমাদের নফল ইবাদত করতে বলেছে এবং দিনের বেলাতে রোজা রাখতে বলেছে যেটা আমাদের করতেই হবে।

আশা করছি আপনারা শবে বরাতের আমল সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন এর বাইরে যদি অন্য কোন আমল সম্পর্কে আপনাদের কাছে কোন তথ্য থেকে থাকে অবশ্যই আমাদের জানানোর চেষ্টা করবেন যেটা সকলের জন্য বেশ উপকারী হবে।।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *