শাবান মাসের আমল ও ফজিলত

শাবান মাসের আমল সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন হাদিসের বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা পেয়েছি আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করব শাবান মাসের আমল ও ফজিলত সম্পর্কে। আমরা মুসলিম হিসেবে সবসময় আল্লাহ তালার আদেশ পালন করার চেষ্টা করছি এবং করব তার কারণ হলো আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করতে পারলে মৃত্যুর পরে আমাদের জান্নাত ভাগ্যে জুটবে

আর আমরা যারা জান্নাতবাসি হতে পারব তারাই কেবল সৌভাগ্যবান তার কারণ হলো সেটা হবে চিরস্থায়ী জান্নাত যেখানে সুখের কোন শেষ হবে না। আমরা যারা শাবান মাসে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে শাবান মাসের আমল সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি তারা আমাদের এখান থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে জানতে পারবেন যে আমলগুলো সাবান মাসে করতে হয়।

শাবান মাসের গুরুত্বপূর্ণ চারটি আমল

শাওয়াল মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে চারটি আমল। যে আমলগুলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসে করতেন সে আমলগুলো সম্পর্কে আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব।

আমরা বিভিন্ন হাদিস থেকে জানতে পেরেছি যে আমাদের প্রিয় নবী রমজান মাসের পরে শাবান মাসের সবথেকে বেশি রোজা রাখতেন। তার কারণ হলো হাদিসে তিনি উল্লেখ করেছেন যে এই মাসে আমরা সকলেই আল্লাহর ইবাদত থেকে দূরে সরে যায় এবং এই মাসকে অবহেলা করি যার কারণে এই মাসে ইবাদত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আল্লাহ তাআলা বলেছেন। তাই শাবান মাস কে কেন্দ্র করে আমরা বিভিন্নভাবে রোজা রাখতে পারি এবং রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।

শাবান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলোর মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে সহিও শুদ্ধ ভাবে কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করা। আল্লাহতালার বাণী কোরআন মাজীদ এবং পবিত্র কিতাব কোরআন মাজীদ যখনি আমরা তিলাওয়াত করব তখনই সে তিলাওয়াতের আমাদের পূর্ণ প্রদান করা হবে। তবে যদি আমরা শাবান মাসে এই কোরআন মাঝে বেশি বেশি তেলাওয়াত করি তাহলে সেটা অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ হবে।

চাওয়াল মাসের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হল বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা। তাই অবশ্যই আমরা যত বেশি সম্ভব তত বেশি এই মাসে ইস্তেগফার পাঠ করবো।

শাবান মাসের রোজা রাখার ফজিলত

আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতে মোহাম্মদীর এর জন্য অন্যতম শিক্ষা ও অনুকরণ। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে আরো বলেছেন “শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার একটি কারণ হলো-এ মাসে আল্লাহর কাছে মানুষের আমলনামা উপস্থাপন করা হয়। আর আমি চাই রোজা থাকা অবস্থায় আমার আমলনামা আল্লাহর কাছে উপস্থাপন করা হোক”। এখন প্রশ্ন থাকতে পারে যে কখন কিসের ভিত্তিতে মানুষের আমলনামা আল্লাহর কাছে পৌঁছানো হয়? তিন অবস্থায় মানুষের আমলনামা আল্লাহর কাছে পৌঁছানো হয় আর তা হল।

তাই সাবান মাস কে আমাদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং সাবান মাসের প্রত্যেকটি ইবাদত যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে করা উচিত। সুস্থ থাকা অবস্থায় কখনোই আল্লাহ তাআলার ইবাদত থেকে পিছে সরে আসা উচিত নয় এই সাবান মাসকে কেন্দ্র করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *