রমজানের দোয়া ও আমল
আমরা সকলে জানি যে রমজান মাস হচ্ছে ইবাদতের মাস এবং এই মাসে আমরা যত বেশি ইবাদত করতে পারবে আমাদের জন্য ততই ভালো। রমজান মাসে আমরা যত বেশি ইবাদত করতে পারব আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর তত বেশি খুশি হবেন এবং আমাদের আমলনামা ততই বৃদ্ধি পাবে। তবে শুধুমাত্র যে রমজান মাসে আমরা রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করবো এমন না এর পাশাপাশি আমরা প্রত্যেকটা মুহূর্ত কাজে লাগাতে বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো আমল ও দোয়ার মাধ্যমে চেষ্টা করব।
রমজান মাসে কোন ছোট ছোট আমল গুলো আপনারা করতে পারেন এবং এই আমল গুলো কিভাবে করবেন পাশাপাশি কখন কখন দোয়া করলে আল্লাহ তা’আলা বেশি খুশি হবেন সেই সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেল আপনাকে পড়তে হবে। তাহলে চলুন রমজান মাসের আমলগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি এবং আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর কোন আমলের মাধ্যমে সন্তুষ্ট হবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জানি।
রমজান মাসের দোয়া
আমরা সকলেই জানি যে রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমলের একটি মাস এবং এই মাসে আল্লাহ তায়ালা ইবাদত করলে অনেক বেশি খুশি হন। আল্লাহ তাআলা তার নিজের জন্য রোজা আমাদের ফরজ করেছেন তাই অবশ্যই আমরা আল্লাহতালা সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য সিয়াম পালন করব।
রমজান মাসের দোয়া বলতে ক্ষমা প্রার্থনা এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দোয়াগুলো করতে বলা হয়েছে। রমজান মাসের দোয়া কবুল হওয়ার সর্বোত্তম সময় হচ্ছে ইফতারের আগে। আপনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য খাবারকে সামনে রেখেছেন কিন্তু খাচ্ছেন না তার কারণ হলো আল্লাহ তাআলার উপর আপনি বিশ্বাস করছেন এবং আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য সিয়াম পালন করছেন।
ক্ষুদার্থ অবস্থায় খাবারকে সামনে রেখে আল্লাহতালার নৈকট্য অর্জনের জন্য আপনি যখন চোখের পানি ফেলে আল্লাহ তাআলার কাছে কিছু চাইবেন তখন আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই আপনাকে ফিরিয়ে দেবে না। তাই অবশ্যই আপনাকে এই সময়টুকু কাজে লাগাতে হবে যেখানে আল্লাহতালা অনেক বেশি খুশি হবেন।
তাহাজ্জুদের নামাজের পর দোয়া কর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় তাই রমজান মাসে আপনি যখন প্রত্যেকটি রাত জেগে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করবেন তখন নামাজ শেষে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করবেন। আল্লাহতালা কোনভাবেই এই অবস্থাতে আপনাকে ফিরিয়ে দেবে না এবং অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আপনাকে আপনার চাওয়া অনুযায়ী সবকিছু দেবে।
শবে কদরের রাতে দোয়া কবুল হয় এবং রমজান মাসে এই শবে কদরের রাতে আমরা অবশ্য আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং আমাদের জীবনের অতীতের সকল পাপ মোচনের জন্য প্রার্থনা করব। এই সময় দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় তাই আমাদের দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহতালার সন্তুষ্ট অর্জন করতে পারে তাহলে অবশ্যই আমরা পাপমুক্ত হতে পারবো।
এছাড়াও রমজান মাসের জুমার নামাজের পরে আমরা দোয়া প্রার্থনা করলে আল্লাহ তায়ালা সেই দোয়া কবুল করেন। তাই অবশ্যই রমজান মাসের এই সময়টুকু আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
