রজব মাসের আমল ও ফজিলত গুলো কি কি

আমাদের জন্য যে মালগুলোর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রজব মাস একটি। এই মাসে বিভিন্ন আমল করতে বলা হয়েছে এবং এই আমল গুলোর ফজিলত অনেক বেশি বলে আমরা বিভিন্ন হাদিস এবং কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের আলোকে জানার চেষ্টা করব রজব মাসের কোন আমল গুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত ফজিলত নয় এবং কোন আমলগুলো করলে আমরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব।

অবশ্যই মমিন এবং ঈমানদার ব্যক্তিরা কখনোই আমল করার সময় নষ্ট করে না এবং তারা যখনই সময় পায় আমল করে। তাই আপনারা যদি আমল করার সময় জানতে চান তাহলে অবশ্যই রজব মাস ব্যবহার করতে পারেন কারণ হলো এই রজব মাস পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “আল্লাহ তাআলা আসমান জমিন সৃষ্টি করার দিন থেকেই বৎসর হয় বারো মাসে। এরমধ্যে চারটি মাস সম্মানিত; তিনটি একাধারে জিলকদ জিলহজ ও মহরম এবং চতুর্থ হল ‘রজব মুদার’ যা জুমাদাল উখরা বা সাবান মাসের মধ্যবর্তী।” (মুসলিম)

রাজার মাসে কি কি গুরুত্বপূর্ণ আমল আমরা করতে পারি

রজমা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করতেন সেটি হল “হে আল্লাহ! রজব মাস ও সাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন রমজান মাস আমাদের নসিব করুন” (বুখারী ও মুসলিম)।

উপরের দোয়ার মাধ্যমে আমরা খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছি যে আমাদের প্রিয় সাল্লাম এই রজব মাসকে আমাদের জন্য কতটা ফজিলত নয় বা গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছেন। তাই অবশ্যই আমরাও একই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তালার কাছে চেয়ে নিতে পারি এই মাসগুলোর ফজিলত এবং রমজান মাস নসিব হওয়ার ভাগ্য।

রজব মাসের ইবাদত সমূহ

আমরা বিভিন্ন হাদিস থেকে জানতে পেরেছি যে আমাদের প্রিয় নবী রমজান মাস ছাড়া বেশি রোজা পালন করতেন রজব মাসে। তাহলে অবশ্যই রজব মাসে রোজা পালন করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত তবে আমাদের প্রিয় নবী কিভাবে রোজা পালন করতেন সে সম্পর্কে একটি হাদিস থেকে আমরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারি।

উম্মে সালমা রহমাতুল্লাহু আনহু বলেন, “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাস সারা সবচেয়ে বেশি রোজা পালন করতেন শাবান মাসে অতঃপর রজব মাসে”। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রহমাতুল্লাহি আনহা বলেন,”যখন রজব মাস আসতো তা আমারা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমলের অধিক্য দেখে বুঝতে পারতাম”। কোন কোন বর্ণনায় পাওয়া গেছে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রজব মাসে দশটি রোজা রাখতেন এবং সাবান মাসে বৃষ্টি রোজা রাখতেন এবং রমজান মাসে ৩০ টি রোজা রাখতেন (দাড়িমি)।

উপরের আলোচনা থেকে আমরা খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছি রজব মাসের গুরুত্ব এবং এই রজব মাসে রোজা রাখার ফজিলত। প্রিয় নবীর উম্মত হিসাবে সব সময় আমাদের নবীজিকে অনুসরণ করা উচিত তাই আমরা যত বেশি রজব মাসে রোজা করবো এটা আমাদের জন্য তত বেশি ভালো হবে ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *