রবিউল আউয়াল মাসের আমল

আপনারা যারা নিয়মিত আমাদের এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো পড়েন তারা অবশ্যই একজন মুমিন ব্যক্তি এবং তারা চেষ্টা করেন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে নতুন কিছু তথ্য খুঁজে বের করার। যেহেতু আমরা কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে অনেক কিছু লেখার চেষ্টা করে এর বাইরে অনেক কিছু যদি ছেড়ে দেয় তাহলে অবশ্যই আপনাদের দায়িত্ব থাকবে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে সেগুলো এখানে সংযুক্ত করার।

মানুষ মাত্রই ভুল তাই যদি এখানে কোন ভুল আপনাদের দৃষ্টিতে চোখে পড়ে তাহলে আপনারা আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে কমেন্ট বক্সে ভুলগুলো তুলে ধরতে পারেন। তাহলে চলুন আজকে আমরা জানি রবিউল আওয়াল মাসের যে আমলগুলো রয়েছে এবং এই আমল গুলোর ফলে আমরা যে ফজিলত পেতে পারি সে সম্পর্কে জানা যাক। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে এই আমল এবং ফজিলত সম্পর্কে আমরা আজকে ছোট্ট একটি আলোচনা করতে যাচ্ছি।

রবিউল আওয়াল মাসের ফজিলত

মুসলমান হিসেবে আমাদের জানা উচিত রবিউল আউয়াল হলো ইসলামী বর্ষপঞ্জির তৃতীয় মাস। এই মাস বেশি গুরুত্ব বহন করে তার কারণ হলো ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই মাসেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এই মাসেই তিনি ইন্তেকাল করেন। আল্লাহ তাআলা কেন এই মাসটিকে প্রিয় নবীর জন্মগ্রহণ এবং তার মৃত্যু বরণের জন্য নির্বাচন করেছেন সেটা আল্লাহ তাআলাই ভালো বোঝেন তবে নবীজির জন্মগ্রহণ এবং মৃত্যুবরণের জন্য যেহেতু এই মানুষকে আল্লাহ তা’আলা নির্বাচন করেছেন তাহলে এই মাসের কিছু ফজিলত অবশ্যই আছে।

এ সম্পর্কে আমরা হাদিসে পেয়েছি যে আবু কাতাদা আনসারী রাজিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত-সোমবারে রোজা সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি আর এই দিনে আমাকে রাসূল হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে, এই দিনেই আমার উপর প্রথম ওহী নাজিল হয়েছে”। মুসলিম ১১৬২ এবং আবু দাউদ 2426 নাম্বার হাদিস।

উপরের হাদিস থেকে আমাদের প্রিয় নবীর জন্মগ্রহণের দিনটি কতটা ফজিলতপূর্ণ এবং সেই মাসটিকে কতটা ফজিলতপূর্ণ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে সেটা আমরা সকলে বুঝতে পেরেছি।

রবিউল আউয়াল মাসের আমল

আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন হাদিস সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি তবে রবিউল আউয়াল মাসের আলাদা কোন আমল সম্পর্কে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। আপনাদের মধ্যে যারা জ্ঞানী রয়েছেন তাদের কাছে যদি রুবেল ওয়াল এর ইবাদত সম্পর্কে কোন তথ্য থেকে থাকে যেটা আলাদাভাবে কোন হাদিসে বা কোন জায়গাতে বর্ণনা করা হয়েছে তাহলে অবশ্যই আমাদের সেটা জানানোর চেষ্টা করবেন।

তবে হ্যাঁ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জন্মের দিনটিকে রোজার মাধ্যমে একটি আমলের দ্বারা পরিপূর্ণ করতেন। তবে এটা তিনি আপনাদের বাধ্যতামূলক পালন করতে বলা হয়েছে এমন কিছু নয়।আপনারা চাইলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মের দিন নবীজির মতো সুন্নত পালনের উদ্দেশ্যে রোজা রাখতে পারে।

এছাড়াও আমরা রুবেল আওয়াল মাসের তিনটি রোজা করতে পারি। এখানে বিভিন্ন হাদিস যেমন আইয়ামে বীজের তিনটি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩ তারিখ ১৪ তারিখ এবং ১৫ তারিখে রোজা রাখাকে আইয়ামে বীজের রোজা বলা হয়।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমরা ইবনে আসরা থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন”প্রতিমাসের তিনটি করে সিয়াম পালন, সারা বছর ধরে সিয়াম পালনের সমান”বুখারী হাদিস নাম্বার ১১৫৯ এবং ১৯৭৫। এছাড়া প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার অভ্যাস করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ প্রতি সপ্তাহে দুইদিন বিশেষ রোজা রাখতেন।

আমরা যেহেতু আমাদের প্রিয় নবীকে অনেক বেশি ভালোবাসে এবং তার অনুকরণ করার চেষ্টা করি তাই আমরা এই আমলগুলো রুবেল আউয়াল মাসে করতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *