রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগের আমলসমূহ

আল্লাহতালা আমাদের জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ দিয়েছেন এবং এই সুযোগকে আমরা যদি কাজে লাগাতে পারি তাহলে অবশ্যই প্রত্যেকটি মুহূর্তে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করতে পারব। অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকে যে এত অল্প সময়ে কিভাবে আল্লাহতায়ালার নৈকট্য অর্জন করা যায় তার কারণ হলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আগে যে নবীগুলো এসেছেন তাদের উম্মতের আয়ু অনেক বেশি ছিল।

কিন্তু সব নবীদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত হিসেবে অবশ্যই আমাদের অনেক বেশি সুযোগ দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা তাই আমরা যদি আমাদের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ কোরআন এবং হাদিসের আলোকে সুন্দরভাবে করি তাহলে প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে আমরা আল্লাহতালার আমল করতে পারব।

ঠিক যেমন ঘুমাতে যাবার আগে আপনি যদি কোরআন এবং হাদিসের আলোকে সহি ভাবে ঘুমাতে যান এবং আল্লাহতালা নৈকট্য অর্জন করতে চান তাহলে হতে পারে আপনার এই ঘুমানো আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের শামিল হবে। আপনি ঘুমানো অবস্থাতেই আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মশগুল থাকবেন। জানার চেষ্টা করব আপনি করতে পারেন।

ঘুমানোর আগের যে আজ আমল আপনি করবেন

ঘুম সাধারণত ক্লান্তি বা অবসাদ দূর করে এবং আল্লাহ তা’আলা নিজের পক্ষ থেকে এই ঘুম আমাদের জন্য নিয়ে এসেছেন। আমাদের শরীর ঠিক রাখতে অবশ্যই ঘুমের প্রয়োজনীয়তা আছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কোরআন শরীফে আমাদের বলেছেন “তোমাদের নিদ্রাকে করেছি প্রান্তিক” (সূরা নাবা আয়াত ৯)। অবশ্যই আমরা বুঝতে পেরেছি যে নিদ্রা বা ঘুম আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আল্লাহ তাআলা কেন আমাদের জন্য নিদ্রা ঘুম দিয়েছেন।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি তিন কুল পড়ে ফু দিতে পারেন আপনার সমস্ত শরীরে। তিন কুল অত্যন্ত ফজিলত নয় সূরা সমূহ আপনি যদি ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এই সূরা গুলো পড়ে নিজের শরীরে ফু দেন তাহলে অবশ্যই আপনি এটার ফজিলত পাবেন।

আয়াতুল কুরসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আয়াত সকল মুসলিম তোমাদের জন্য তাই এই আয়তুল কুরসি পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন “যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে শয়তান সারারাত তার কাছে আসবেনা” (বুখারি হাদিস ২৩১১)। তাই অবশ্যই আমরা এই আমল করব।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা চাইলে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত নিয়মিত পড়তে পারি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই প্রসঙ্গে বলেন “যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করবে, তার জন্য যথেষ্ট হবে” (হাদিস ৪০০৮)।

সূরা কাফিরুন পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে। এই প্রসঙ্গে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দাদের বলেছেন “সূরা কাফিরুন পাঠ করা শিরক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী” (সহিহ তারগিব হাদিস নাম্বার ৬০২)।

কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করা ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে অত্যন্ত বড় একটি আমূল এবং এই আমলটি আপনি নিয়মিত করতে পারলে অবশ্যই আপনার জন্য এটা অনেক ভালো একটি আমল। বিভিন্ন হাদিসে আমরা এই সম্পর্কে বিভিন্ন ঘটনা জানতে পেরেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *