রমজানের আমলসমূহ

রমজান মাস আসলে কেন জানিনা আমাদের মধ্যে আল্লাহর প্রেম অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। তার কারণ হলো আল্লাহতালা রমজান মাসে আমাদের জন্য ইবাদতের মাস হিসেবে তৈরি করেছেন। আমাদের মধ্যে যারা সব থেকে বেশি বোকা তারাই কেবল রমজান মাসে অবহেলা করবে এবং কোন ধরনের ইবাদত করবে না। তবে আজকের আর্টিকেল যারা মুমিন ঈমানদার ব্যক্তি আছেন তাদের জন্য।

রমজান মাসের যে গুরুত্বপূর্ণ আমল সাধারণভাবে আমরা সকলেই করে থাকি সে আমলগুলো সম্পর্কে আজকে কিছু কথা বলব। হয়তো আমার থেকে আপনারাই বেশি জানেন তবে আমি চেষ্টা করব আপনাদের সঙ্গে আমার কথাগুলো মিল করার এবং আপনাদের মনে করিয়ে দেওয়ার সামনে যে রমজান মাস আসছে সেই রমজান মাসে আমরা কি কি আমল করে আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হতে পারে।

আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন তাই আমরা যখন বান্দা হিসেবে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করি তখন তিনি অনেক বেশি খুশি হন। বিশেষ করে রমজান মাসে ইবাদতটা আল্লাহতালার কাছে খুবই পছন্দের তার কারণ হলো এই রমজান মাসে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। এবং এই রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের উপর রহমত নাজিল করে এবং শেষ দশ দিনে জাহান্নাম থেকে নাজাত দান করে জান্নাতে প্রেরণ করে তার বান্দাদের ‌।

ঈমানদার মুমিন ব্যক্তিরা সবসময় সুযোগ খুঁজেন আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া এবং আপনি যদি ঈমানদার মুমিন ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে রমজান মাসের প্রত্যেকটি মুহূর্তে আপনি হয়তো সুযোগ খোঁজেন কিভাবে কোন আমল করে আল্লাহকে খুশি করা যায়। আল্লাহ তাআলা আমাদের বহু ধরনের আমল করতে বলেছেন সেই আমলগুলোর মধ্যে এমন কিছু আমল আছে যেগুলো রমজান মাসে আমাদের অবশ্যই করতে হবে। চলুন সে আমলগুলোর সম্পর্কে যে তালিকা আপনাদের সামনে তুলে ধরি।

ফরজ সিয়াম পালন করা
সময় মত সালাত আদায় করা
সহি ভাবে কোরআন শেখা এবং অন্যকে কোরআন পড়া শেখানো
সাহরি খাওয়া
সালাতুল তারাবি নামাজ পড়া
বেশি বেশি করে কোরআন মাজিদ তেলাওয়াত করা
শুকরিয়া আদায় করা
মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ বেশি বেশি করা
সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়া
বেশি বেশি দান সদকা করা
উত্তম চরিত্র গঠনের জন্য বেশি বেশি অনুশীলন করা
ইতিকাফ করা
দিনের দাওয়াতের জন্য দাওয়াতে দিনের কাজ করা
সমর্থ্য থাকলে ওমরা পালন করা
লাইলাতুল কদর তালাশ করা
বেশি বেশি দোয়া ও কান্নাকাটি করা আল্লাহ তাআলার কাছে
ইফতার করা এবং অন্যকে ইফতার করানো
সব সময় তওবা ও ইস্তেগফার করা
তাকওয়া অর্জন করা
ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করা
ফিতরা প্রদান করা
অপরকে খাদ্য খাওয়ানো
আত্মীয়তার সম্পর্ক উন্নতি করা
কুরআন মাজীদ মুখস্ত বা হিপস করা
মনে প্রানে সব সময় আল্লাহর জিকির করা
মিসওয়াক করা
একজন অপরকে কোরআন শোনানো
কুরআন বোঝা ও আমল করা

রমজান মাসের আমল সমূহের ফজিলত

উপরে আমরা কিছু আমল সম্পর্কে আপনাদের মনে করিয়ে দিলাম যেগুলো আমরা রমজান মাসে খুব সহজেই করতে পারি। এর বাইরে এমন বহু আমল রয়েছে যেগুলো বড় বড় ঈমানদার এবং মুমিন ব্যক্তিরা করে থাকেন। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং তারা যদি আমাদের এখানে কোন ভুল ত্রুটি পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের অবগত করবেন এবং আরো অনুরোধ থাকবে এর বাইরে কি কি ইবাদত আমরা সকলে করতে পারি সে সম্পর্কে আমাদের দিকনির্দেশনা দেবেন।

উপরে যে ইবাদতের কথা আমরা বলেছি তার মধ্যে ফজিলত পূর্ণ আমল হচ্ছে সিয়াম পালন করা থেকে শুরু করে লাইলাতুল কদর তালাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও বেশি বেশি দান-সাতটা অবশ্যই এই মাসে করতে হবে। আপনারা যারা দ্বীনের দাওয়াতে কাজ করেন অবশ্যই দিনের দাওয়াতে বেশি বেশি এই সময় কাজ করবেন। আমাদের প্রিয় নবী ইতিকাফ করতেন তাই কোনভাবেই আমাদের ইতিকাফ মিস করা যাবে না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্তম চরিত্র গঠনের জন্য এই রমজান মাসে আমরা অনুশীলনের মাধ্যমে একজন উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *