রমজানের ২২ টি আমল

মুসলমানদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ এবং ইবাদতের মাস হচ্ছে রমজান মাস। একজন ঈমানদার মুমিন ব্যক্তি যদি এই রমজান মাসকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারে তাহলে তার জীবন সার্থক। তবে সকলের পক্ষে আগামী রমজান ভাগে আছে কিনা কেউ বলতে পারে না তাই যদি কারও ভাগ্যে রমজান মাস এসে যায় তাহলে সে রমজান মাসকে সম্পূর্ণ কাজে লাগানো উচিত।

রমজান মাসের প্রত্যেকটি মুহূর্ত আমলের দ্বারা পরিপূর্ণ করে নেওয়া উচিত। রমজান মাসে সর্বোচ্চ ইবাদতের মাধ্যমে আমলনামাকে বড় করা উচিত। আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাকে সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়েছেন এবং সেই সুবিধা গুলো সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য অবশ্যই রমজান মাসে আপনাকে বেশি বেশি আমল করতে হবে। রমজান মাসের আমলের পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে অর্থাৎ আপনি যতটা পারেন ততটা নতুন নতুন আমল করতে পারেন এই রমজান মাসে।

আজকে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব রমজান মাসের ফজিলতপূর্ণ এই সকল আমল সমূহ যে আমলগুলো আপনি চাইলে করতে পারেন। তাই কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে রমজান মাসের যেই আমলগুলো রয়েছে যে আমলগুলো দ্বারা আপনি আপনার আমলনামা কে অনেক বড় করতে পারবেন সে আমলগুলো এখন আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

রমজান মাসের ফজিলত পূর্ণ আমল

একটু ধৈর্য সহকারে একে একে আপনারা জানেন রমজান মাসে কোন কোন আমল গুলো আপনারা সব সময় করতে পারেন যার মাধ্যমে আল্লাহ তাদের প্রিয় বান্দা হতে পারবেন।সবার প্রথমে আপনারা একনস্টার সাথে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য আমল করবেন। আল কোরআনে এসেছে যে”আর তাদেরকে কে বলে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করে তার ওই জন্য দ্বীনকে একনিষ্ঠ করে”সূরা আল বাইয়েনা আয়াত নাম্বার ।

সিয়াম পালন করা। আরো সকলে জানি রমজান মাস সিয়ামের মাস এবং এই মাসে রোজা পালন করাকে ফরজ করা হয়েছে। ইসলামের পাঁচটি রুকুনের মধ্যে একটি হল সিয়াম। অবশ্যই রমজান মাসের প্রধান আমল হল সুন্নাহ মোতাবেক সিয়াম পালন করা। এক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন”সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে, মস্তিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে”সূরা আল বাকারা 185 নম্বর আয়াত।

সময়মত সালাত আদায় করা অর্থাৎ আপনি সারাদিন সিয়াম পালন করছেন কিন্তু সময় মত নামাজ পড়ছেন না তাহলে সেটা খুব একটা ভালো দিক না। অবশ্যই সময়মতো নামাজ পড়তে হবে কোরআন মাজীদে এ সম্পর্কে উল্লেখ আছে।

এরপরে যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সহি ভাবে কোরআন শেখা। রমজান মাসে আপনি যদি সহি ভাবে কোরআন শিখতে পারেন তাহলে সেটা একটি আমলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে এবং সেই আমল অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ।

চার নাম্বার আমল হিসেবে আপনি কোরআন পড়া অন্যকে শেখাতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যদি কোরআন সহি ভাবে পড়তে পারদর্শী হন তাহলে সেই সহি ভাবে অন্য কি কোরআন পড়া শেখানো অত্যন্ত বড় একটি আমল।

আমরা যখন রোজা রাখি তখন অবশ্যই সাহরি করতে হয় এবং সেই সাহরি যদি কোরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক হয় তাহলে অবশ্যই সেটা একটি বড় আমল।

সালাতুল তারাবি পড়া। অবশ্যই আমরা যখন রোজা রাখি ইফতার করার পরে সালাতুল তারাবির নামাজ আমরা পড়ি। হতে পারে বাংলাদেশের সালাতুল তারা বেড়িয়ে নামাজের নিয়ম নিয়ে অনেক মতভেদ হয়েছে তবে আপনি যেই নিয়ম মেনেই পড়ুন না কেন রমজান মাসের পুরো মাসটিতে সালাতুল দাঁড়াবেন নামাজ কখনই মিস করা উচিত নয়।

আমরা যারা কোরআন তেলাওয়াত করতে পারি তারা বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করব তার কারণ হলো আল্লাহ তা’আলা তার এই কিতাব পড়াটা খুব বেশি পছন্দ করেন।

শুকরিয়া আদায় করা অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলা আমাদের এ রমজান মাসের উপস্থিত থাকার যে সুযোগ দিয়েছেন তার জন্য সব সময় মনে প্রানে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে হবে। কোরআনে সম্পর্কে বলা হয়েছে”আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হৃদয় দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করো এবং যাতে তোমরা শোকর কর”সূরা আল বাকারা আয়াত নাম্বার ১৮৫।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *