রহমতের দশ দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল

রমজান মাসের প্রথম দশ দিন কে রহমতের দশ দিন বলা হয় এবং আল্লাহ তায়ালা এই ১০ দিনে তার রহমত তার বান্দাদের উপর বর্ষিত করেন। মানুষ হিসাবে আমাদের আল্লাহতালা এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন শুধুমাত্র তার ইবাদতের জন্য এবং আমরা যদি তার ইবাদত করার সুযোগ খুঁজি তাহলে রহমতের দশ দিন আমাদের জন্য অত্যন্ত বড় একটি সুযোগ।

রমজান মাসের শুরুর দিকে সাধারণত রোজা রাখতে আমাদের বেশি কষ্ট হয় কিন্তু আমরা যখন রোজা রাখতে সক্ষম হয় তখন আল্লাহ তা’আলা অনেক বেশি আমাদের উপর খুশি হন এবং তার রহমত আমাদের উপর বর্ষিত করেন। দিনের শেষে আল্লাহর রহমতে আমাদের জন্য যথেষ্ট তাই আমরা চেষ্টা করব কিভাবে আল্লাহ তায়ালার রহমত আমাদের উপর বর্ষিত হয় সে দিকটা লক্ষ্য রাখতে।

রহমতের দশ দিনের জিকির

রহমতের দশ দিনের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির হচ্ছে মনে মনে ইস্তেগফার পাঠ করা। আস্তাগফিরুল্লাহ আপনি যেভাবে পড়ুন না কেন আপনি যদি আপনার মনের মধ্যে সব সময় আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ জারি রাখেন তাহলে আল্লাহ তা’আলা আপনার দোয়া কবুল করবে এবং আপনার দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেবে না।

এছাড়া আপনি দৌলত পাঠ করতে পারেন মনে মনে এবং আল্লাহর পছন্দের যে জিকিরগুলো রয়েছে সে জিকির গুলো বেশি বেশি পাটের মাধ্যমে রহমতের দশ দিন এর প্রত্যেকটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে পারে। আল্লাহ তা’আলা এই ধরনের বান্দাদের পছন্দ করে যারা সবসময় মনে মনে আল্লাহ তালার জিকির এবং আল্লাহ তাআলার নাম উচ্চারণ করে।

রহমতের দশ দিনের ফজিলত

রহমতের দশ দিনের ফজিলতের কথা এখানে বলে শেষ করা যাবে না তার কারণ হলো রহমতের দশ দিনের ফজিলত এর কথা একটু গভীরভাবে এই রহমত আপনার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আপনি জীবনে যতই ভালো কাজ করেন না কেন আপনি জীবনে যতই পূর্ণের কাজ করেন না কেন সবার শেষে আপনার যদি আল্লাহর রহমত না থাকে তাহলে আপনি কোনভাবে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

তাই আল্লাহ তা’আলা রহমত অর্জনের জন্য অবশ্যই এই রহমতের দশ দিনের বেশ ফজিলত রয়েছে এবং আমাদের চেষ্টা করতে হবে এই রহমতের দশ দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হতে যাতে করে ভবিষ্যতে আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর এই রহমত বর্ষণ জারি রাখে।

তার জন্য আমাদের সবসময় ফরজ সিয়াম পালন করতে হবে এবং সঠিক সময়ে ফরজ সালাত আদায় করতে হবে এবং এর পাশাপাশি যে নফল ইবাদতগুলো রয়েছে সেই ইবাদতগুলো পুঙ্খানুপুঙ্কে পালন করতে হবে। রমজানের প্রথম ১০ দিন অর্থাৎ রহমতের দশ দিনে আমাদের বেশি বেশি করে নফল ইবাদত এবং সালাতুল তারাবির নামাজ ও রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে হবে এবং তাহাজ্জুদের নামাজ শেষে আল্লাহ তাআলার কাছে হাত তুলে দোয়া করতে হবে এবং ক্ষমা প্রার্থনা যেতে হবে।

বেশি বেশি দান সদকা করা কোরআন মাজীদ শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করা এবং কোরআন মাজিদ শুদ্ধভাবে পড়তে অন্যকে সাহায্য করা এবং সাহারি করা এবং ইফতারি করা প্রথম দশ দিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *