পবিত্র জিলকদ মাসের ফজিলত

আমরা সকলে জানি যে আরবি মাসের বারটি মাস রয়েছে তার মধ্যে ১১তম মাস হচ্ছে জিলকদ মাস। সাধারণত এই জিরকত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস এবং এই মাসে যদিও আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়নি কি গুরুত্বপূর্ণ আমল করতে হবে তারপরও অবশ্যই কিছু নফল ইবাদত আছে যেটা আপনি করতে পারেন।

মমিন ইমানদার ব্যক্তিরা প্রত্যেকটি মাসকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে এবং তাদের এই গুরুত্বের ভিত্তিতে মূলত জিলকদ মাসে বেশ কয়েকটি আমলের কথা আমরা বিভিন্ন হাদিসে জানতে পেরেছি। জিলকত মাসের বিভিন্ন ধরনের হাদিস সম্পর্কে জানতে এবং জিলকদ মাসে কি কি আমল করতে হবে সে সম্পর্কে জানতে আপনার একটু কষ্ট করে আমাদের এই ছোট আর্টিকেল পড়তে পারেন যেখানে হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কথা বর্ণনা করা হয়েছে।

পবিত্র জিলকদ মাসের ফজিলত

আরবি বছরে যে বারোটি মাস রয়েছে তার মধ্যে ইসলামে হিজরী সনের চান্দ্র বর্ষের একাদশ মাস হচ্ছে জিলকদ। হজের তিন মাস সাওয়াল জিলকদ জিলহজের দ্বিতীয় মাস এটি। হারাম বা নিষিদ্ধ মাস রজব জিলকদ জিলহজ ও মহররমের অন্যতম এ মাস। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার মাঝামাঝি এ অবস্থান হওয়া এটি অত্যন্ত তৎপর্যপূর্ণ।

জিরকাত মাস অত্যন্ত তৎপর্যপূর্ণ মা এবং যেকোনার সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসের বিভিন্ন তথ্য আমরা পেয়েছি। জিরকাত মাসে অবশ্যই কিছু নফল ইবাদত একজন মুমিন ও ঈমানদার ব্যক্তি করতে পারে। হাদীস শরীফ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে “পরকালে নেককার পরহেজগার দ্বীনদার লোকদের কোন আক্ষেপ থাকবে না, তবে একটি বিষয় তাদের আক্ষেপ থাকবে তা হলো সে সময়টা তারা ইবাদত ছাড়া কাটিয়েছে, সেই সময়ের বিষয়ে তাদের অনুশোচনা থাকবে যে কেন তারা সে সময়টা নেক আমল দ্বারা পরিপূর্ণ করলেন না।” আল্লাহ তায়ালা বলেন যখনই অবসর পাও দাঁড়িয়ে যাও, তোমার রবের ইবাদতে মশগুল হও (সূরা 94 ইনশিরা আয়াত হচ্ছে ৭ এবং ৮)”

উপরের হাদিস এবং আল্লাহ তায়ালার আয়াত থেকে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি যে আমরা যখন রমজান মাসের ইবাদত করার পরে থেমে যাব তারপরে মধ্যবর্তী এ বাসটুকুতে আল্লাহতালা আমাদের বেশি বেশি করে ইবাদত করতে বলেছেন। এই ইবাদতের মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস এবং মমিন ও ঈমানদার ব্যক্তিরা এই সময়টুকু নষ্ট করবেন এবং এই মাসকে ইবাদতের দ্বারা পরিপূর্ণ করবে।

জিলকদ মাসের নবীজির আমল

জিলকদ মাসে আমল সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “তোমরা পাঁচটি জিনিসের আগে পাঁচটি জিনিস কে গুরুত্ব দাও, বাস্তবতার পূর্বে অবসরকে, অসুস্থতার পূর্বে সুস্থতাকে, দরিদ্রের পূর্বে প্রাচুর্যকে, বার্ধক্যের পূর্বে যৌবনকে, মৃত্যুর পূর্বে জীবনকে”(মুসলিম)।

সব সময় আমাদের সঠিক সময় সঠিক ইবাদত করা উচিত এবং জিলকদ মাসে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ নফল আমল আছে যে আমলগুলো আমাদের করতে হবে। জিরকদমাসহ আমরা চাইলে এক তারিখে এবং ১০ তারিখে এবং 20 তারিখে এর পাশাপাশি 29 ও 30 তারিখে নফল রোজা পালন করতে পারি এবং প্রত্যেকটি চাঁদের রোজা যেমন 13 তারিখ। ১৪ তারিখ এবং 15 তারিখে রোজা রাখতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *