মনের মত বিয়ে হওয়ার আমল

মুসলমান হিসেবে আমাদের জীবনের কোন না কোন সময় বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতেই হবে। এই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে বিয়ে করার আদেশ দেওয়া হয়েছে তাই আমরা যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাব তখন দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করে ফেলব। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভালো একজন জীবন সঙ্গী পাওয়া সব থেকে কষ্টের ব্যাপার।

আর যার সাথে সারাটা জীবন কাটাবেন এবং মৃত্যুর পরেও যদি আপনার ভাগ্য ভালো থাকে এবং আপনি একজন ঈমানদার ব্যক্তি হন তাহলে তার সঙ্গে পুরোটা সময় কাটাতে পারেন সেটা যদি আপনার মনের মত না হয় তাহলে সেটা কোনভাবে আপনার জন্য ভালো হবে না। সব সময় মনে প্রানে আল্লাহ তায়ালার কাছে চাইতে হবে আপনার মনের মতন জীবনসঙ্গী যেন আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য নির্বাচন করে দেন।

মনের মত জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার নিয়ম

মনের মত জীবনসঙ্গিনী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় সাহায্যকারী হিসাবে সৃষ্টিকর্তা আপনার পাশে আছে। তার কারণ হলো আমরা সকলেই জানি যে আল্লাহ তা’আলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং আল্লাহ তায়ালা আমাদের মৃত্যু লিখে রেখেছেন এবং আমাদের বিবাহ একমাত্র তারই হাতে লেখা। এবং মনের মত জীবনসঙ্গের প্রশ্নে আমরা যদি বলতে চাই তাহলে আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের নিজের থেকেও আমাদের সব থেকে কাছে রয়েছে তাই অবশ্যই তিনি আমাদের মনের কথা বোঝেন।

এখন অনেকে জানতে চান মনের মতন জীবনসঙ্গী কিভাবে বেছে নেওয়া যাবে। মুসলমান হিসাবে সবসময় ঈমানদার মুমিন এবং ধার্মিক জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে হবে। ছেলেদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এমন মেয়েদের বাসায় করতে হবে যারা সব সময় ইসলাম ও শরীয়া মোতাবেক তার জীবন পরিচালনা করতে রাজি আছে। যারা মেয়ে আছেন জীবন সঙ্গী বাছার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন সুযোগ্য ঈমানদার পুরুষ খুঁজবেন তার কারণ হলো এটাই হচ্ছে আসল সম্পদ।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ বাবা-মা অথবা বেশিরভাগ অভিভাবক চেষ্টা করে তার সন্তানের বড় বড় বাড়িতে বিয়ে হোক এতে করে আর্থিকভাবে সে একটা সিকিউরিটি পাক। কিন্তু মূল কথা হলো যদি সংসারের শান্তি না থাকে বা সুখ না থাকে তাহলে সেই আর্থিক সম্পদ আপনার কোন কাজে আসবে না এবং এই কথাগুলো একেবারে বাস্তব যেটা সকলে উপলব্ধি করতে পারবে।

বিয়ে হওয়ার ইসলামিক আমল

আপনার জীবনে যেটা ঘটবে সেটা অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আগে থেকে নির্ধারণ করে রেখেছেন তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা রাখতে হবে যাতে তিনি আপনার জন্য ভালো কিছু লিখে রাখেন। তবে অবশ্যই ভালো জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য আপনাকে বেশি বেশি আমল করতে হবে তার মধ্যে সবথেকে বড় যে আমলটি আপনাকে করতে হবে নিজের চরিত্রকে সবথেকে সুন্দর চরিত্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে যার ফলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পুরস্কার স্বরূপ একটি ভালো জীবনসঙ্গী উপহার দেবে।

সব সময় দোয়া করতে হবে এবং সঠিক সময় দোয়ার মাধ্যমে একজন ভালো জীবনসঙ্গী আল্লাহর কাছে থেকে চেয়ে নিতে হবে। কোন কোন সময় দোয়া করলে দোয়া খুব তাড়াতাড়ি কবুল হয় সে সম্পর্কে আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে খুব সুন্দর কয়েকটি আর্টিকেল দিয়েছি অনুগ্রহ করে সেই আর্টিকেল গুলো দেখে আসুন।

উত্তম জীবনসঙ্গী এবং নেককার সন্তান সন্তানি পাওয়া অত্যন্ত সৌভাগ্যের ব্যাপার এবং সেই সৌভাগ্য অর্জনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই সৎ চরিত্রের অধিকারী হতে হবে এবং এর পাশাপাশি সেই বান্দাকে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা হতে হবে।

আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক সময়ে সঠিক ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তালার নৈকট্য অর্জন করতে হবে এবং এই জিনিসগুলো অর্জনের ক্ষেত্রে ইবাদতের বিকল্প নেই। আশা করছি আপনারা ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে খুশি করতে পারবেন এবং সুন্দর মনের মতন একজন জীবন সঙ্গী পেয়ে নিজের ইহকাল এবং পরকালকে আরো বেশি সুন্দর করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *