মনের আশা পূরণের দোয়া ও আমল

আমাদের সৃষ্টি করেছেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তাআলা। আমাদের সৃষ্টি করার জন্য আমরা সব সময় তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ। এই সৃষ্টিকর্তা আমাদের যেহেতু তৈরি করেছেন তাহলে অবশ্যই তিনি আমাদের মনের ভেতরের সকল খুঁটিনাটি জিনিস সম্পর্কে অবগত। আমরা আমাদের যত কাছে আছি তার থেকেও বেশি কাছে আছেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহতালা।

আমরা মন থেকে যদি কিছু চাই তাহলে অবশ্যই তিনি আমাদের সেটা দেবেন তার কারণ হলো তিনি আমাদের খুব বেশি ভালোবাসেন। তবে এর জন্য অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য স্বীকার করতে হবে এবং চাওয়ার মত চাইতে হবে। আমরা যদি মনের আশা পূরণের জন্য দোয়া বা আমল করতে চাই তাহলে কিভাবে দোয়া বা আমল করব সে সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনা আজকের এই আর্টিকেলে দেওয়া থাকবে।

যে আমলে মনের আশা পূরণ হয়

প্রত্যেকটি কাজের জন্য আমল রয়েছে আমরা যদি সেই আমলেও আমল অনুযায়ী কাজ করতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের সেই কাজটি সার্থক হবে। আপনারা কি জানেন ঘুমের মধ্যেও আমরা আমল করতে পারি যদি সঠিক নিয়মে আমরা ঘুমাই। আমাদের অনেক কিছু জানার আছে যেগুলো থেকে আমরা দিন দিন আরও বেশি দূরে চলে যাচ্ছি।

মনের আশা পূরণের ক্ষেত্রে যে আমল গুলো করতে হবে সে আমল সম্পর্কে আমরা আজকে কিছু তথ্য আপনাদের দিতে চলেছি। ইসমে আজম সম্পর্কে হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন। ইসমে আজম মূলত মহান আল্লাহতালার পবিত্র নাম যা হাদিসের বর্ণনা থেকে জানা যায়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসমে আজম সম্পর্কে কিছু বিশেষ বাক্যের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন যেগুলো আমাদের জানা উচিত। এ ছাড়াও হযরত আব্দুল্লাহ আল আসলাম এ রাদি আল্লা হু আনহু তার বাবা থেকে বর্ণিত করেছেন যে”নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে তার দোয়া এভাবে বলতে শুনেন”।

সে বর্ণ নয় শেষে যে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে”নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলেন ‘সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে আমার জীবন! নিঃসন্দেহে লোক আল্লাহতালার মহানামের উছিলায় তার কাছে প্রার্থনা করেছেন। যে নামের উসিলায় দোয়া করা হলে তিনি কবুল করেন এবং যে নামের উসিলায় প্রার্থনা করা হলে তিনি তা দান করেন।

এই হাদিসটি আপনারা তিরমিজি হাদিস শরীফে পেয়ে যাবেন এবং তিরমিজি ইবনে মাযহাতে পেয়ে যাবেন। এখানে আমরা যদি একটু ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি বিশ্লেষণ করে তাহলে ইসমে আজম যেটা আল্লাহ তাআলার মহামান্বিত নাম সেই নামের উসিলায় যদি আমরা তার কাছে কিছু চাই তাহলে অবশ্যই তিনি তাকে সেটা দেবেন।

কোরআনে ইসমে আজম এর বর্ণনা

আমরা যদি কুরআনের ইসমে আজমের বর্ণনা সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের কোরআন পড়তে হবে এবং সেই কোরআনে যে আয়াতে ইসমে আজম সম্পর্কে বর্ণনা আছে সেই সম্পর্কে জানতে হবে। আসমা বিন ইয়াজিদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন ‘এই দুটি আয়াতের মধ্যে নিহিত’ “। এখানে যে দুটি আয়াতের কথা বলা হয়েছে সেটা হচ্ছে সূরা বাকারা ৩৬৩ নাম্বার আয়াত এবং সূরা আল ইমরানের এক নম্বর আয়াত।

এই হাদিসটি আপনারা পেয়ে যাবেন শুনানে আবিদাউদ এর হাদিস নাম্বার ১৪৯৬। আশা করছি আপনারা এখান থেকে সঠিক তথ্যটি আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

এছাড়াও যদি মনের আশা পূরণের জন্য দোয়া করতে হয় তাহলে সঠিক সময় গুলো ব্যবহার করে দোয়া করতে হবে। নিয়মিত এই আমল গুলো সঠিক সময় করলে অবশ্যই আপনার মনের আশা পূরণ করবে আমাদের সৃষ্টিকর্তা।

কোন কোন সময় মেনে আপনি যদি আমল করতে চান তাহলে সে সম্পর্কে আমাদের একটি আর্টিকেল দেওয়া আছে যেখানে মহামান্বিত কিছু সময় কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে সময়গুলোতে আমল করলে অবশ্যই আপনি বেশি বেশি ফজিলত এবং বেশি বেশি রহমত পাবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *