মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল

সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে আমাদের সকলকে বিয়ে করা উচিত। আমাদের যে সমাজ কাঠামো গড়ে উঠেছে সেখানে ছেলেদের বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেদের স্বাধীনতা রয়েছে তাই ছেলেরা যখন প্রাপ্তবয়স্ক হবে তখন চেষ্টা করা উচিত বিয়ে করতে। তবে বর্তমানে আর্থিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে এবং বিশ্ব পরিবেশের কথা চিন্তা করে অনেক ছেলেরাই অনেক বয়স পর্যন্ত বিয়ে না করে থাকছে যেটা একেবারেই ঠিক কাজ নয়।

তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে সুযোগ থাকছে খুব অল্প বয়সে বিয়ে করা তাই এই দিকে খেয়াল রাখতে হবে একটি মেয়ে যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাচ্ছে তখন সেই মেয়েকে ঘরে না রেখে উপযুক্ত পাত্র খুঁজে তাকে বিয়ে দেওয়া। যারা অভিভাবক রয়েছেন তারা অবশ্যই মেয়ের মনের কথা বুঝবেন এবং মেয়ে যখন প্রাপ্তবয়স্ক হবে তখন মেয়েকে একজন ঈমানদার মুমিন ও যোগ্য পাত্র খুঁজে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিন। তবে আপনি যদি নিজেই পাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে কোন কোন আমলের মাধ্যমে আপনার বিয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র এবং সেটা কতটা তাড়াতাড়ি পাবেন সেই আমলগুলো আমরা আজকে আপনাদের জানাবো।

নারী ও পুরুষের দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল

নারী ও পুরুষের দ্রুত বিয়ে হওয়ার যে আমলগুলো রয়েছে সে আমলগুলো আজকে আমরা আপনাদের কাছে আলোচনা করতে যাচ্ছি। তাজবী হে ফাতেমে পড়া অর্থাৎ নিয়মিত নামাজের পর তাসবিহে ফাতেমি পড়লে অবশ্যই নারী ও পুরুষের বিয়ের সময় সামনে চলে আসে। এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন তাজবিহে ফাতেমী অর্থ কি আজকে আমরা তাজবির ফাতেমে পড়ার নিয়ম গুলো আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।

প্রতিটি ফরজ নামাজ এর সালাম ফেরানোর পরে বৈঠকে বসে থেকে আমরা তাসবীহ ফাতেমি পড়তে পারি। এখানে আমরা আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ 33 বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৩ বার অথবা ৩৪ বার পড়তে পারি আর এটাই হচ্ছে একত্রে তাজবি হে ফাতেমি পড়া।

আপনি এই আমলটি নিয়মিত যতবার পড়বেন আপনার বিয়ের সময় তত বেশি এগিয়ে আসবে। নিচে বিয়ে প্রত্যাশিত নারী পুরুষ অথবা অভিভাবকদের জন্য যে আমলগুলো রয়েছে সে আমলগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে।

দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল

দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমলের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে ইস্তেগফার পাঠ করা। জাপানে সবসময় ইস্তেগফার পাঠ চলতে থাকবে অর্থাৎ আপনি যখন আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস নিবেন তখন চেষ্টা করবেন প্রত্যেকটি শ্বাসের সঙ্গে একবার করে ইস্তেগফার পাঠ করা যার মাধ্যমে আপনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন। এবং যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তেগফার করে সেই ব্যক্তি মোস্তাযেবুদ দাওয়া হয়ে যায় এবং যার দোয়া আল্লাহ তায়ালা কখনো ফিরিয়ে দেন না।

সুরা ইয়াসিন পাঠ করতে হবে অর্থাৎ সূরা ইয়াসিনের যে সাতটি মুভি রয়েছে সেই সাতটি মবিল খেয়াল করতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে সূর্য যখন পূর্ব আকাশে লাল হয়ে ওঠে তখন পশ্চিমমুখী হয়ে এই সূরা ইয়াসিন পাঠ করতে হবে। আপনি যখন মুবিন গুলো উচ্চারণ করবেন তখন শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে পেছনের দিকে অর্থাৎ সূর্যের দিকে ইশারা করতে হবে।

সূরা মরিয়ম পাঠ করতে হবে এবং আপনি দিনের মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত আদায়ের পরে এই সূরাটি পাঠ করতে পারেন। যারা বিয়ে প্রত্যাশী অভিভাবক আছেন তারা চাইলে এই দোয়াটি পড়তে পারেন।

এছাড়াও সূরা মুজাম্মিল পড়তে পারেন। যদি কখনো কোন মেয়ে বড় হয়ে যায় কোন বিয়ের প্রস্তাব না পায় তাহলে মা-বাবা অথবা অভিভাবক যেকোনো একজন শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে 21 বার সূরা মোজাম্মেল পড়বেন।

সূরা মোজাম্মেল পড়ার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা বীর প্রত্যাশী নারী-পুরুষ কিংবা তাদের অভিভাবকদের নিয়মিত আমল গুলো করতে বলেছেন এবং এই আমলের মাধ্যমে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা আল্লাহ তায়ালা করে দেবেন। আশা করছি আপনারা এই আমল সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *