লাইলাতুল কদর এর আমল

লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম একটি রজনী। আল্লাহতালা এই রাত্রিকে এতটাই উত্তম হিসেবে বর্ণনা করেছেন যে কোরআন মাজিদের সম্পূর্ণ একটি সূরা লাইলাতুল কদরের উদ্দেশ্যে নাযিল করেছেন। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে অল্প কিছু আলোচনা আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি এবং আমরা কিছু আমলের কথা বলতে যাচ্ছি যে আমলগুলো আমরা সচরাচর খুব সহজেই লাইলাতুল কদর এর রাত্রিতে করতে পারে।

কদরের একটি অর্থ হচ্ছে সম্মান। লাইলাতুল কদর অর্থ হচ্ছে সম্মানিত রাত। এই রাতেই নাযিল হয়েছিল কোরআন মাজীদ এবং তাই এই রাতে অত্যন্ত বরকতময় রাত হিসাবে বলা হয়ে থাকে। আজকে আমরা হাজার মাস উত্তম এই রাতের কি আমল গুলো আছে সে সম্পর্কে আলোকপাত করবো। যারা ঈমানদার এবং মুমিন আছেন তারা হয়তো এই আমলগুলো আগে থেকেই করেন তাই আশা করছি এই আমল গুলোর সম্পর্কে কারো অন্য কোন মতামত থাকবে না।

এর বাইরে যদি অন্য কোন আমল আপনারা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন আমরা আশা করব এর মাধ্যমে অনেকেই অন্যান্য আমল সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। সব থেকে বড় বিষয় হল লাল তেল কদরের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক বেশি।

লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও মর্যাদা

লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল তাই এই কোরআন নাজিল হওয়ার রাত্রিকে আল্লাহ তা’আলা সর্বোচ্চ ফজিলত পূর্ণ এবং মর্যাদা পূর্ণ রাত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। লাইতুল কদর এই পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে সূরা আল কান্দ্র আয়াত নাম্বার 1।

লাইলাতুল কদর হাজার মাস থেকে উত্তম এটা আল্লাহ তায়ালার বাণী। সূরা আল কাদ্র আয়াত নাম্বার ৩ এখানে আল্লাহতালা উল্লেখ করেছেন”লাইলাতুল কদর ১ হাজার মাস থেকে উত্তম”। তাই অবশ্যই এই রাতের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক বেশি।

শবে কদরের নফল আমল

আমরা সকলে অবগত আছি যে রমজানের শেষ দশক অর্থাৎ নাজাতের রাতগুলোর বেজোড় রাতে যেকোনো একটি হচ্ছে শবে কদর। তবে এখানে আল্লাহ তায়ালা আমাদের শবে কদর সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন রাতের কথা জানাননি। তবে আমাদের এই রাতগুলোকে শবে কদর তালাশ করতে বলা হয়েছে।

তাই আমাদের উচিত রমজান মাসের শেষ দশকের প্রত্যেকটি রাতে আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে শবে কদর তালাশ করার জন্য বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা। আমরা সকলেই তো নফল নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এবং নফল নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে জানি। এর পাশাপাশি বিভিন্ন মতামত অনুযায়ী শবে কদরের নফল নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয় সে সম্পর্কে জানার পরে আমরা দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করতে পারি যত রাকাত আদায় করতে পারে এখানে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

শুধুমাত্র নফল নামাজ আদায় করতে হবে এমন নয় এর সঙ্গে আপনি কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন। কুরআন মাজীদ আল্লাহ তাআলার বাণী এবং আল্লাহ তা’আলা এই কোরআন মাজীদের মাধ্যমে আমাদের মাঝে তার বাণী গুলো পৌঁছেছেন। আল্লাহ তাআলা এই কোরআন মাজীদ সংরক্ষণ করার দায়িত্ব নিজে নিয়েছেন তাই এই কোরআন মাজীদ আমরা যত বেশি বেশি পাঠ করবো আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর তত বেশি খুশি হবেন।

আমরা সকলেই জানি যে রমজান মাসে যদি আমরা ইবাদত করি তাহলে সেই ইবাদতের সওয়াব কে সত্তর গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সেই সত্তর গুন বৃদ্ধি করা স্বভাব যদি আমরা শবে কদরের রাতে হাসিল করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য কয়েক হাজার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।

তাই এই শবে কদরের রাতে বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার এবং দুরুদ পাঠ করতে হবে এবং আল্লাহর জিকির পাঠ করতে হবে। এর পাশাপাশি দুহাত তুলে আল্লাহতালার দরবারে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে। আজকে আমরা শবে কদরের সহজ কিছু এবং সবাই করে এমন কিছু আমল নিয়ে কথা বললাম। আশা করছি এবং দোয়া করছি আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে আগামী রমজান এবং আগামী শবে কদর তালাশ করা তৌফিক দান করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *