জিলহজ মাসের আমল হাদিসের আলোকে

আমি মাসের মধ্যে সবথেকে সম্মানিত যে মাছগুলো রয়েছে তার মধ্যে জিলহজ মাস হচ্ছে একটি। সম্মানিত মাস হিসেবে অবশ্যই এই যিলহজ মাসে আপনি কিছু আমল করতে পারেন যে আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আপনার উপর সন্তুষ্ট হবে এবং আপনি আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হতে পারবেন। আমরা বরাবরই চেষ্টা করি কোরআন এবং সুন্নাহর আলোকে আল্লাহ তালার দিদার লাভের জন্য যে আমলগুলো করতে হবে সে আমলগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিতে।

আমাদের প্রিয় পাঠক ভাই এবং বোনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং জানাচ্ছি আপনারা একটু কষ্ট করে আমাদের সঙ্গে থাকলে আরবি জিলহজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অবশ্যই পাবেন। এবং আমরা চেষ্টা করি প্রত্যেকটি যুক্তির পেছনে একটি করে হাদিস উল্লেখ করতে যার মাধ্যমে আপনি আমাদের এই তথ্যের উপর ভরসা রাখতে পারেন।

জিলহজ্ব মাসের গুরুত্বপূর্ণ ফজিল

আমরা জিলহজ মাস হিসাবে পেয়ে থাকি এবং জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয় অর্থাৎ ১০ তারিখে আমাদের ভাষায় কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। মুসল্লিরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এই দিনে কোরবানি দিয়ে থাকেন। হযরত ইব্রাহিম আলাইহি সাল্লাম ও হযরত ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর অতুলনীয় আনুগত্য এবং মহান ত্যাগের পূর্ণময় স্মৃতি বহন করে এই কোরবানি।

শুধুমাত্র যে কোরবানির জন্য এই জিলহজ মাস স্মরণীয় এবং ফজিলতপূর্ণ এমন নয় এছাড়া আরো অন্যান্য বহু আমল রয়েছে। জিলহজ মাসের ৯ তারিখে হাজিরা আরাফার ময়দানে অবস্থান করে এবং এই তিনটিকে বলা হয় আরাফার দিন। এই আরাফার দিনের বেশ ফজিলত রয়েছে মুসলমানদের জীবনে তাই জিলহজ মাসকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত ফজিলত ময় করা হয়েছে।

হাদিসের আলোকে জিলহজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল

জিলহজ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস এবং হাদিসের আলোকে দেখতে গেলে জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনে বেশ কয়েকটি আমল রয়েছে যে আমলগুলো একজন মুসলমান অনায়াসে করতে পারে। এটি হিজরী বছরের শেষ মাস এবং এই শেষ মাসকে কেন্দ্র করে মুসলমান হিসেবে আমাদের বেশ কিছু আমল করতে হবে।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন”আল্লাহর কাছে এ দিনগুলোর আমলের চেয়ে অন্য কোন দিনের আমল বেশি প্রিয় নয়। সাহাবায়ে কেরাম জানতে চাইলেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? উত্তরে নবীজি বললেন, না আল্লাহর পথে জিহাদ ও নয়। তবে হ্যাঁ যদি কোন ব্যক্তি নিজের জান ও মাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে বের হন এবং সে কোন কিছু নিয়ে ফিরে না আসেন (বুখারী)।

এছাড়াও আল্লাহ তা’আলা সূরা ফজরের শুরুতে জিলহজ মাসের প্রথম দশটাতে কসম খেয়েছেন। তিনি বলেন”কসম ফজরের এবং দশ রাতের”এ দশ রাত দ্বারা জিলহজ মাসের প্রথম ১০ কে প্রমাণিত করা হয়েছে।

এছাড়াও জিলহজ্জ মাসকে এতটাই তৎপর্যপূর্ণ করে গড়ে তোলা হয়েছে যে প্রথম ১০ দিনে দিনগুলো মর্যাদা এত বেশি এবং 9 জন আজকে হজে অংশগ্রহণ অংশগ্রহণকারী সব মানুষকে নিষ্পাপ হিসেবে কবুল করে নেওয়ার দিন বলা হয়েছে।

যারা কোরবানি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন কিন্তু আর্থিকভাবে সচ্ছল নয়ন তারা জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার আগে থেকে চুল নক ও দাড়ি কাটা থেকে বিরত থাকবেন এবং দশম জিলহজ মাসে ঈদের নামাজ পড়ে এসে সেগুলো কাটবেন এতে করে কোরআন ও হাদিসের আলোকে একটি কোরবানির সোয়াব আপনার আমলনামায় লেখা হবে।

এছাড়াও আরাফার দিনে আপনি যদি আরাফার ময়দানে উপস্থিত হতে নাও পারেন নিজের অবস্থানে থেকেই আল্লাহর উদ্দেশ্যে রোজা রাখতে পারেন। এবং হাদিসে এটাও পাওয়া গেছে যে এই দিনে রোজদার ব্যক্তিরা যখন ইফতারি কে সামনে রেখে আল্লাহতালার কাছে দুই হাত তুলে ক্ষমাপ্রার্থনা করবে তখন আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই তাকে একেবারে নিষ্পাপ বলে ঘোষণা করবেন।

এছাড়া সামর্থ্য যদি থাকে তাহলে জিলহজ মাসে হজ পালন করা এবং কোরবানি দেওয়া একজন মুমিন ও ঈমানদার ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *