জিলহজ মাসের আমল

আরবি মাসের মোট মাসের সংখ্যা হচ্ছে ১২ দিন। এক বছরের সর্বশেষ মাস যেটি তার নাম হচ্ছে জিলহজ মাস। এই জিহাদ মাসেই কোরবানি দিতে হয় এবং ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে। মুসলমানদের জন্য জিহাদ মাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একজন ধর্মপাল মুসলমান হয়ে থাকেন এবং এমন একটি মাসের সন্ধানে থাকেন যেখানে আপনি প্রচুর আমল করতে পারবেন তাহলে জিলহজ মাস আপনার জন্য।

আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেল থেকে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান জানতে পারবেন জিলহজ মাসে কি কি আমল আপনি করতে পারেন। এই আমলগুলো সম্পর্কে এবং এই আমলের বিস্তারিত তথ্য আমরা এখানে দেওয়ার চেষ্টা করব।

জিহাদ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল

জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের আমলের মধ্যে রয়েছে কুরবানীর উদ্দেশ্যে নিজের চুল এবং নখ কাটা থেকে বিরত থেকে জিলহজ মাসের ১০ নাম্বার দিনে সেগুলো কাটা।

মাসের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে প্রথম নয় দিন রোজা থাকা। আপনি যদি এই রোজা করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার আমলনামায় প্রচুর পরিমাণে সোয়াবযুক্ত হবে।

আরাফার দিনে যখন হাজিরা হজ করতে গিয়ে আরাফার ময়দানে অবস্থান করবেন সেই আরাফার ময়দান কে বলা হয় আরাফর দিন এবং সেই দিনে রোজা রাখাটা অত্যন্ত মহামান্বিত একটি আমল।

জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের মধ্যে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে কোরবানি দেওয়া। অবশ্যই আপনি যদি সামর্থ্যবান হয়ে থাকেন তাহলে কোরবানি দিতে হবে।

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে যদি আপনার সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনাকে হজ পালন করতে হবে। হজ পালন থেকে কোনভাবে বিরত থাকা যাবে না তার কারণ হলো জীবনে একটিবার হজ ফরজ করা হয়েছে।

জিলহজ্ব মাসের রোজা এবং রোজার ফজিলত

আরবি মাসের শেষ মাস জিলহজ মাস এবং সেই জিলহজ মাসের রোজা রাখা অত্যন্ত ভালো একটি কাজ। আপনি যদি সৃষ্টিকর্তার পছন্দের একজন বান্দা হতে চান তাহলে কোন ভাবে জিলহজ মাসটিতে ইবাদত করার সুযোগ মিস করবেন না। জিলহজ মাসের রোজা সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বিভিন্ন কথা বর্ণিত আছে। আজকে আমরা কয়েকটি রোজা সম্পর্কে আলোচনা করব।

জিলহজ মাসের প্রথম নয় দিনের রোজা রাখাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি জিলহজ মাসের প্রথম ৯দিন রোজা রাখতে পারেন তাহলে এটা আপনার জন্য খুবই ভালো একটি কাজ হবে। তার কারণ হলো এই প্রথম নয় দিন রোজা রাখলে এর ফজিলত অনেক বেশি পাওয়া যাবে।

এছাড়াও জিলহজ মাসের যে আরাফার দিন রয়েছে সেই আরাফার দিনের রোজার বেশ ফজিলত রয়েছে। তাই এই আরাফার দিন যদি আপনার জীবনে আসে এবং আপনি যদি রোজা না করেন তাহলে আপনার থেকে বোকা মানুষ আর পৃথিবীতে কেউ নেই। অবশ্যই এই আরাফার দিনে আপনাকে রোজা রাখতে হবে এবং এই রোজার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করতে হবে। এবং রোজা থাকা অবস্থায় ইফতারী কে সামনে রেখে আরাফার দিলে যে দোয়া আমরা আল্লাহ পাককে খুশি করার জন্য করে থাকি আল্লাহ পাক সঙ্গে সঙ্গে সে দোয়া কবুল করেন বলে হাদিসে বর্ণিত আছে।

জিলহজ মাসের ঈদুল আযহা পালন

অনেকেই ঈদুল আযহা পালন করেন কিন্তু জানেন না এটা আরবি মাসের কোন মাসে রয়েছে এবং কোন তারিখে রয়েছে। মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদের আরবি মাসগুলোর উপর একটু ভালো ধারণা থাকা উচিত তার কারণ হলো এই মাছগুলোর উপর নির্ভর করে আমাদের আমল গুলো করতে হয়।

যারা জানেন না ঈদুল আযহা যেটাকে আমরা কোরবানির ঈদ বলে থাকি সেটা কোন মাসে তাদের উদ্দেশ্যে বলি সেটা হচ্ছে আরবী জিলহজ মাস। আরবি বারোটি মাসের জিলহজ মাস হচ্ছে সর্বশেষ মাস এবং এই জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। আশা করছি এরপর থেকে আপনাদের মধ্যে আর কোন ধরনের সমস্যা থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *