জিলহজ মাসের ফজিলত ও আমল সমূহ কি কি

জিলহজ মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত ফজিলত নয় একটি মাস এবং এই মাসে কোরবানি দেওয়ার কথা আল্লাহ তা’আলা উল্লেখ করেছেন। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব জিহাদ মাসের কোন গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলো আমরা করতে পারি এবং এই আমলগুলো দ্বারা আল্লাহতালাকে কিভাবে সন্তুষ্ট করতে পারে। ১২ মাসের মধ্যে সম্মানিত যে চারটি মাস রয়েছে তার মধ্যে জিলহজ মাস হচ্ছে একটি।

জিলহজ্জ মাসের শুরু থেকে আমরা আমল করা শুরু করতে পারি এবং জিলহজ মাসের শেষ পর্যন্ত এই আমল জারি রাখতে পারি। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আমল করার সময় হচ্ছে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন এবং এই প্রথম ১০ দিনে আমল করাটা অত্যন্ত ফজিলত নয়। আমরা কোরআন ও হাদিসের আলোকে সিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

জিলহজের মাসের নবীজির আমল

জিলহজ মাসের আমল সম্পর্কে অথবা জিলহজ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “এমন কোন দিন নেই যে দিনগুলোতে ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের ইবাদত থেকে অধিক প্রিয়। জিলহজের এর প্রথম দশকের প্রত্যেকদিনের রোজা এক বছরে রোজা সমতুল্য। আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদত এর সমতুল্য” (তিরমিজি)।

আমাদের প্রিয় নবী হাদিসে যখন এই কথাগুলো উল্লেখ করেছেন তখন অবশ্যই এই কথাগুলোর গুরুত্ব আছে এবং আমরা সেই অনুযায়ী যদি আমল করি তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব। এখানে আমাদের প্রিয় নবী ইঙ্গিত করেছেন জিলহজ মাসের প্রথম দিন থেকে আমাদের রোজা রাখতে হবে। যেহেতু জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কোরবানির ঈদ তাই কোরবানির ঈদ বাদ দিলে প্রথম নয় দিন আমাদের রোজা রাখতে হবে এবং প্রত্যেক দিনের রোজা রাখা এক বছরে রোজা রাখার সমতুল্য হিসেবে আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন।

জিলহজ্জ মাসের শুরুর দিকে আর একটি আমল করতে পারেন সেটি হচ্ছে কোরবানির উদ্দেশ্যে নিজের নখ দাড়ি চুল না কেটে রেখে দেওয়া এবং কোরবানির দিনে সেগুলো কাটা। বিভিন্ন বর্ণনা থেকে জানতে পারা গেছে যে এর মাধ্যমে একটি কোরবানির সওয়াব যে কেউ পেতে পারে।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রহমতুল্লাহ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “আল্লাহর কাছে জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের চেয়ে অন্য কোন দিনের আমল উত্তম নয়। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও না। তবে ওই ব্যক্তি ছাড়া যে তার সর্বস্ব নিয়ে জেহাদে অংশগ্রহণ করল এবং কিছুই নিয়ে ফিরতে পারেনি” (বুখারী)।

তাই জিলহাজ মাসের প্রথম ১০ দিনে আমাদের বেশি বেশি আমল করতে হবে এবং আরাফার দিনের আমল গুলো বেশি বেশি করতে হবে তার কারণ হলো আরাফার দিন হচ্ছে হজের মূল দিন এবং এই দিনের বেশ গুরুত্ব রয়েছে আল্লাহ তায়ালার কাছে। এছাড়া কোরবানি দিনে যে আমলগুলো রয়েছে সে আমলগুলো আমরা বেশি বেশি করব জিলহজ্জ মাসের আমলের উদ্দেশ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *