ইফতারের আগের আমল ও দোয়া

সাধারণত রোজা এমন একটি ইবাদত যে ইবাদত আল্লাহতালা শুধুমাত্র তার জন্য আমাদের দিয়েছেন এবং আমরা যদি এই রোজার মাধ্যমে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায় তাহলে অবশ্যই সেটা খুব সহজ একটি পদ্ধতি। তবে সঠিকভাবে রোজা রাখতে হবে এবং রোজা থাকা অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা চাইতে হবে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সর্বোত্তম ক্ষমা প্রদানকারী।

আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব ইফতারের আগে কোন আমল এবং কোন দোয়া আমরা পাঠ করবো যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের রোজা অনেক বেশি পছন্দের হয় এবং তিনি আমাদের রোজাগুলো কবুল করেন। রোজাদার ব্যক্তিরা সবসময় আল্লাহ তাআলার জন্যই রোজা রাখেন এবং এই রোজার মাধ্যমে কিভাবে আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হওয়া যায় সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

ইফতারের আগে যেসব করণীয় ও আমল

ইফতার রোজাদার ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল এবং রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিছু কিছু মানুষের কাছে ইফতার বলতে শুধুমাত্র রমজান মাসে ইফতারকে বোঝানো হয়ে থাকে তার কারণ হলো তারা রমজান মাস ব্যতীত অন্য মাসে রোজা রাখেনা। রমজান মাসে রোজা রাখাটা ফরজ কিন্তু অন্যান্য এমন কিছু দিন আছে যেই দিনগুলোতে রোজা রাখতে পারলে আপনি রমজান মাসের সমপরিমাণই সোয়াব অর্জন করতে পারবেন তাহলে কেন রোজা থাকবেন না।

রোজার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে ইফতার এবং সেই ইফতার কে সামনে রেখে আপনি কিছু আমল করতে পারেন যে আমলগুলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করতেন এবং আমাদের জন্য এটা সুন্নত। ইফতারের আগে দোয়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল যেটা আমরা নিচে বিস্তারিত আপনাদের জানাবো তবে অবশ্যই আপনাদের ইফতারের আগে দোয়া করতে হবে।

ইফতারের আগে আরো গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো আসরের নামাজ আদায় করার পরে সেখানে বসে থেকেই আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মনে মনে তওবা ইস্তেগফার পাঠ করা এবং জিকির করা।

এছাড়াও ইফতার কে সামনে রেখে আপনারা মনে মনে আল্লাহ তায়ালার জন্য সকল ধরনের আমল করতে পারেন।

ইফতারের পূর্বের দোয়ার ফজিলত

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতারের পূর্বে এবং ইফতারের পরে অনেক ধরনের দোয়া করতেন। ইফতারের সামগ্রী বিশেষ করে ইফতারের খেজুর ও অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য কে সামনে রেখে আমরা যখন আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য অপেক্ষা করবে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে মন থেকে কিছু চাইবো তাহলে আল্লাহতালা অবশ্যই আমাদের মনের কথা শুনবেন।

মূল কথা হলো এই ইবাদত কেবলমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমরা যখন অপেক্ষা করবো তখন আল্লাহ তা’আলা অনেক বেশি খুশি হন। সেই মুহূর্তে যদি আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে দুই হাত তুলে আল্লাহ তাআলার নাম গুলোর উসিলায় আল্লাহতালার কাছে কিছু চায় তাহলে আল্লাহ তাআলা কোনভাবে আমাদের ফিরিয়ে দিতে পারেন না।

এছাড়াও দোয়া কবুলের যে বিশেষ সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে ইফতার কে সামনে রেখে দোয়া করা একটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *