গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল করতে হয়

গর্ভবতী থাকা অবস্থায় বেশিরভাগ মা বিশ্রামে থাকে। তাই আল্লাহর নেককার বান্দা হিসাবে একজন মায়ের উচিত সবসময় এই সময়গুলোকে কাজে লাগানো। সব থেকে বড় ব্যাপার হলো আপনার গর্ভে থাকা সন্তান যখন কোন কিছু শুনতে শিখে তখন যদি আল্লাহর আমল তার কানে সবার প্রথমে প্রবেশ করে তাহলে অবশ্যই সেই সন্তান নেককার এবং ঈমানদার হবে।

এছাড়াও আপনি অবসর অবস্থাতে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করার অনেক বড় সুযোগ পাচ্ছেন তাই কোনভাবেই এই সুযোগ মিস করবেন না যেটা আপনার আখিরাতে আপনার জন্য খুবই ভালো একটি সুফল বয়ে আনবে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক ধরনের আমল রয়েছে যে আমলগুলো একজন গর্ভবতী মা করতে পারে। চলুন আমরা জানার চেষ্টা করি একজন গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন মাসে কোন কোন আমলগুলো করলে সে ও তার সন্তান সবসময় ভালো থাকবে।

গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের আমল

গর্ভবতী মায়েদের প্রথম তিন মাসে অন্যান্য আমলের পাশাপাশি আলাদাভাবে যে আমলগুলো করতে হবে সে সম্পর্কে একটি সঠিক দিক নির্দেশনা আছে। এখানে বলা হয়েছে যে সন্তান গর্ভধারণের প্রথম মাস থেকে শুরু করে তৃতীয় মাছের মধ্যে গর্ভবতীর মহিলারা কে সূরা লোকমান ও সূরা ইনশিকাক পড়তে হবে। এই সূরা গুলো পড়ার বেশ ফজিলত রয়েছে যে ফজিলত সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করব

সাধারণত সূরা লোকমান করলে গর্বের সন্তান জ্ঞানী তীক্ষ্ণ ও বুদ্ধি ও হেকমতওয়ালা হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি গর্ভে সন্তান থাকা অবস্থায় প্রথম তিন মাস সূরা লোকমান নিয়মিত পড়েন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আপনার সন্তানকে জ্ঞানী সন্তান এবং তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও হেকমতওয়ালা সন্তান হিসেবে পৃথিবীতে নিয়ে আসবে। এছাড়াও গর্ভধারণ অবস্থায় আপনি যদি ইনশিকা সূরা পড়েন তাহলে গর্ভের সন্তান সকল প্রকার ক্ষতি থেকে নিরাপদে থাকবে। তাই গর্ভবতী মা হিসেবে আপনাকে অবশ্যই এই আমলগুলো নিয়মিত করতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের মাঝখানের তিন মাসের আমল

আমরা সকলেই জানি যে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস অত্যন্ত কষ্টে যায় একটি মায়ের কিন্তু মাঝখানের তিন মাস সে অনেক সুস্থতা অনুভব করে এবং তার গর্ভে থাকার সন্তান অনেক বেশি সুস্থ থাকে। তবে নিজের সন্তানকে আরো বেশি সুরক্ষিত করতে এবং নিজের আমলনামা বৃদ্ধি করতে আপনি চার নাম্বার মাস থেকে ছয় নাম্বার মাসের মধ্যে সূরা ইউসুফ ও সূরা আল ইমরান পড়তে পারে। এই সময়গুলোতে সূরা ইউসুফ এবং আল ইমরান করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল।

গর্ভবতী অবস্থায় চতুর্থ মাস থেকে ষষ্ঠ মাসে আপনি যখন সূরা ইউসুফ পড়বেন তখন আপনার গর্ভের সন্তানের রুহানি ও জিসমানি উভয় দিক সুন্দর হয়। অর্থাৎ আপনার রুহে যে সন্তান আছে সে মনের দিক থেকে যতটা সুন্দর হবে তার ওপরের শরীরও ততটা সুন্দর হবে। অর্থাৎ তার রুহু হবে সুন্দর একটি রূপ এবং তার চেহারা হবে উত্তম একটি চেহারা। এর পাশাপাশি যারা আল ইমরান সূরা পড়বেন তাদের গর্ভের সন্তান দিনের পথে আহ্বানকারী হয়ে যাবে।

গর্ভবতী মায়ের শেষ তিন মাসের আমল

গর্ভবতী অবস্থায় আপনারা যখন শেষ তিন মাসে পা ফেলেন অবশ্যই সেখানে সতর্কতার কিছু দিক অবলম্বন করতে হয়। এই সময় গর্ভে থাকা সন্তান এবং সন্তানের মায়ের উভয়ের মন বেশি চঞ্চল হয় তার কারণ হলো এখানে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়।। তাই অবশ্যই এই সময়গুলোতে আপনি আল্লাহর কিছু আমল করতে পারেন যেমন সূরা মারিয়াম ও সূরা মুহাম্মদ পড়তে পারেন।

আপনারা যদি সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় মরিয়ম সূরা পড়েন তাহলে সন্তান পরহেজগার ও আল্লাহ ভীরু হয়। বাবা-মার পক্ষে সন্তান যদি পরহেজগার হয় এবং আল্লাহ ভীরু হয় তাহলে তার থেকে ভালো জিনিস আর কিছুই হতে পারে না। আর যারা সূরা মুহাম্মদ পড়ে তাদের গর্ভের সন্তান সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হয়। তাই গর্ভে থাকার সন্তানের জন্য আপনারা নিয়মিত এই আমলগুলো করবেন যেটা আপনার গর্ভে থাকা সন্তানকে পরিপূর্ণ করবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *