গর্ভবতী অবস্থায় কি কি আমল করতে হবে

গর্ভে সন্তান আসার সঙ্গে সঙ্গে একজন মা বুঝতে পারে তার গর্ভের সন্তান এসেছে এবং তখন থেকেই সে সন্তানের জন্য সর্বোচ্চটুকু করার চেষ্টা করে। তার কারণ হলো সন্তানটি হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বড় নেয়ামত এবং সেই নিয়ামতের অধিকারী হতে পেয়ে সে অনেক বেশি বড় ভাগ্যবান মনে করেন নিজেকে। আপনি যদি আপনার আখেরাত নিয়ে চিন্তা করেন তাহলে একটি নেককার সন্তান গড়ে তুলুন সেই সন্তানে আপনাকে অনেক দূরে নিয়ে যাবে।

গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে যারা নেককার সন্তান কামনা করেন এবং সন্তানের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং গর্ভ অবস্থায় বসে না থেকে নিজের আমলনামা বড় করতে চান তারা নিয়মিত গর্ভাবস্থায় আমল করেন। গর্ভবতী অবস্থায় কি কি আমল করতে হবে সে সম্পর্কে অবশ্যই আমরা আজকে আপনাদের কিছু দিকনির্দেশনা দেব দিকনির্দেশনা থেকে আপনারা সঠিক তথ্যগুলো জানতে পারবেন।

গর্ভবতী অবস্থায় সাধারণ কিছু আমল

যত গর্ভাবস্থায় আপনি সবসময় বিশ্রামের মধ্যে থাকবেন তাই সবসময় মনে মনে ইস্তেগফার পড়ার চেষ্টা করবেন। এটা আমাদের সকলের জন্য একটি আমল তাই গর্ভবতী অবস্থায় অবশ্যই আপনাকে এই আমলের কথা ভুলে গেলে চলবে না এবং মনে মনে সব সময় ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।

গর্ভবতী অবস্থায় মিথ্যা কথা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। তার কারণ হলো এই অবস্থাতে বেশিরভাগ সময় আপনাকে বিশ্রামে থাকতে হয় এবং আপনাকে নিজের বাড়ির ভেতরে এবং ঘরের ভেতরে থাকতে হয় তাই একটু চেষ্টা করলে আপনি গর্ভবতী অবস্থায় ১০০ পার্সেন্ট মিথ্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন।

গর্ভবতী অবস্থায় সাধারণ আমলের মধ্যে আরও একটি আমল হচ্ছে যতটা সম্ভব পাপমুক্ত থাকা। চেষ্টা করবেন গর্ভবতী অবস্থায় পুরো নয় মাস কোন ধরনের পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে। আপনি এই আমলটি করার চেষ্টা করলেন নিজেকে সবসময় পাপ মুক্ত রাখতে পারবে।

গর্ভবতী অবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা সব থেকে বেশি বেশি কোরআন পাঠ করতে পারে। আমরা সকলে অবগত আছি যে গর্ভে থাকা সন্তানের বয়স কয়েক মাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার শ্রবণশক্তি বিকশিত হয় এবং সেই শ্রবণশক্তি বিকশিত হওয়ার পরে যদি আল্লাহর কিতাবের পাঠ সে শুনতে পায় তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে একজন সন্তান নেতার সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করবে।

গর্ভবতী অবস্থায় পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ অবশ্যই আদায় করতে হবে। যদি দাঁড়িয়ে থেকে নামাজ পড়তে সমস্যা হয় তাহলে আপনারা চাইলে চেয়ারে বসে অথবা বিছানায় শুয়ে থেকেও নামাজ আদায় করতে পারেন। অনেক সময় গর্ভবতী মায়েরা এতটাই অসুস্থ হয়ে যান যে শুয়ে থেকেও নামাজ পড়া কষ্টসাধ্য হয়ে যায় তখন চাইলে তারা এশারার মাধ্যমেও নামাজ পড়তে পারেন।

গর্ভবতী মায়েদের কোন মাসে কি আমল করতে হবে

গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিভিন্ন মাসে বিভিন্ন ধরনের আমল নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি সূরার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে সূরা গুলো আপনি বিভিন্ন মাসে নির্ধারিতভাবে পড়তে পারেন এবং এ সূরা গুলো পড়ার ফলে আপনার গর্ভে থাকা সন্তান এই সূরার ফজিলতের উপকার পাবে।

গর্ভবতী মা প্রথম তিন মাস গর্ভধারণ অবস্থায় সূরা লোকমান এবং সূরা ইনশিকাক পড়তে পারেন। এই লোকমান সরা এবং সূরা ইনশিকার করার ফলে আপনার গর্ভে থাকা সন্তান জ্ঞানী হবে এবং তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ও হেকমতওয়ালা হবে। এবং আপনার গর্ভে থাকা সন্তান যে কোন ক্ষতিকার জিনিস থেকে নিরাপদ থাকবে।

গর্ভবতী অবস্থায় একজন মা মধ্যে তিন মাস সূরা ইউসুফ এবং সূরা আল ইমরান পড়বেন। আপনি যখন সূরা ইউসুফ এবং সূরা আল ইমরান পড়বেন তখন আপনার গর্ভে থাকা সন্তানের রুহানি এবং রিসবানি উভয় দিকটা খুব সুন্দর হবে এবং আপনার গর্ভে থাকার সন্তান দ্বীনের পথে আহবানকারী হবে।

শেষের তিন মাসে গর্ভবতী অবস্থায় একজন মা সূরা মরিয়ম এবং মোহাম্মদ পড়তে পারেন যার মাধ্যমে তার সন্তান হবে সুন্দর চরিত্রের অধিকারী এবং পরহেজগার ও আল্লাহ ভীরু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *