গর্ভাবস্থায় আমল

গর্ভবতী অবস্থায় সাধারণত একজন মুসলিম মাকে সবসময় আমলের মধ্যে থাকতে হয়। তার কারণ হলো এমনিতে গর্ব অবস্থায় আপনি কোন ধরনের কাজ অথবা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকতে পারবেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে অধিকাংশ নারীরা যখন গর্ভধারণ করে তখন তারা বেড রেস্টে থাকার চেষ্টা করে। অধিকাংশ নারীদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের কাজ ছাড়াই গর্ভাবস্থার সম্পূর্ণ সময়টা অতিক্রম করতে হয়।

আরে সুন্দর মুহূর্তগুলো আরো বেশি সুন্দর করতে পারে সৃষ্টিকর্তার জন্য যদি আপনি সবসময় আমল করেন। হ্যাঁ অবশ্যই আপনাকে আমল করতে হবে এবং সঠিক নিয়ম মেনে আমল করতে হবে যাতে আপনার আমলগুলো কাজে লাগে। আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি গর্ভাবস্থায় একজন নারী কি কি আমল করতে পারে এবং আমল গুলো কিভাবে করলে তার বেশি কাজে লাগবে।

গর্ভাবস্থায় একজন নারী কি আমল করতে পারে

যারা গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের আমল করেন তাদের রয়েছে বহু ফজিলত। সাধারণত গর্ভে থাকা সন্তানকে কেন্দ্র করে তার দ্বীনের সকল কর্মকান্ড তাকে করতে হয়। তার সন্তান যাতে নেককার হয় এবং তার সন্তান যাতে সুস্থ সন্তান হয়ে পৃথিবীতে আসতে পারে সে সম্পর্কে অবশ্যই তাকে সতর্ক থাকতে হবে। আর যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ তাআলার কাছে সব সময় ভালো সন্তান পাওয়ার জন্য আমলের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। আজকে চলুন আমরা জানি কি অবস্থা তে কোন কোন ইবাদত একজন গর্ভবতী মা করতে পারেন।

সবার প্রথমে একজন গর্ভবতী মাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আমরা সকলেই জানি যে গর্ভবতী অবস্থাতে আপনার শরীর খুব একটা ভালো থাকে না তাই একজন মায়ের উচিত সেখানে ধৈর্য ধরতে। সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে এবং এই অসুস্থ শরীরকে যেন আল্লাহ তা’আলা ঠিকঠাক রাখেন তার জন্য আমল করতে হবে।

এর পরবর্তী কাজ হচ্ছে মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকা এবং সর্বোচ্চ পাপ মুক্ত থাকা। আপনি অবশ্যই জানেন কোনটা গোনাহার কাজ এবং কোনটা পূর্ণের কাজ তাই চেষ্টা করবেন গর্ব অবস্থায় সম্পূর্ণ সময় কোন ধরনের গুনাহ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে।

একজন গর্ভবতী মা চাইলে গর্ভাবস্থায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত পড়তে পারে। এখানে অনেকের শারীরিক পরিস্থিতি অনেক ধরনের হয়ে থাকে তাই আপনি চাইলে যে কোন অবস্থাতে নামাজ আদায় করতে পারেন। শুয়ে থেকেও নামাজ আদায় করা যায় বসে থেকেও নামাজ আদায় করা যায় আপনি যদি সেটাও না পারেন তাহলে ইশারার মাধ্যমেও নামাজ আদায় করতে পারবেন।

গর্ভবতী মায়েরা সবসময় চাইলে মনে মনে আল্লাহ তায়ালার জিকির আদায় করতে পারে। জিকির আদায় করলে সব সময় নিজের সন্তান সেই জিকিরের ফজিলত পেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় একজন মা সবসময় চেষ্টা করবেন অজু অবস্থায় এবং পাক পবিত্র অবস্থায় থাকতে। ওযু করা অবস্থায় এবং পাক-পবিত্র অবস্থায় থাকতে আপনি মনে মনে সব সময় আমল করতে পারেন এবং সেই আমলগুলো আপনার বেশি বেশি এনে দিতে পারে।

মুসলমান হিসাবে আমাদের কোরআন তেলাওয়াত করা উচিত। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর সময়ের অভাব হয়না তাই চেষ্টা করা এই সময় যত বেশি কোরআন পড়া যায়। আমরা সকলে আজ অবগত আছি যে সন্তান পেটে থাকা অবস্থাতেই তার শ্রবণশক্তি বিকাশ ঘটে তাই আপনি যখন কোরআন তেলাওয়াত করবেন এবং পেটে থেকে আপনার সন্তান যখন সেটা শুনবে তাহলে অবশ্যই সে আল্লাহর বাণী আপনার পেট থেকেই শুনতে পারবে।

এছাড়াও গর্ভবতী অবস্থায় মায়েদের জন্য বেশ কিছু সূরা রয়েছে যেগুলো আপনারা করতে পারেন। প্রথম মাস থেকে শুরু করে একদম নয় এবং দশ মাস পর্যন্ত কোন সূরা আপনাকে পড়তে হবে সে সম্পর্কে আমাদের অন্য একটি আর্টিকেল আছে যার মাধ্যমে আপনারা এই সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। সব সময় নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন এবং আল্লাহ তাআলার আমলের মধ্যে নিজেকে মশগুল রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *