গর্ভবতী মায়ের ১০ মাসের আমল

গর্ভবতী অবস্থায় অবশ্যই একজন মা স্বাভাবিকভাবেই একটু বিশ্রামে থাকেন এবং সেই বিশ্রামে থাকা অবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়েরে কাছে সুযোগ থাকে বিভিন্ন ধরনের আমল করার। তাই আপনি যখন গর্ভবতী অবস্থায় থাকবেন তখন নিজের ও নিজের সন্তানের ভালোর জন্য কোন ধরনের আমল থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন না।

গর্ভবতী অবস্থায় একজন মা ১০ মাসে কোন কোন আমল করতে পারে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবে এবং আমরা আপনাদের সে সম্পর্কে যে হাদিসগুলো রয়েছে সেই হাদিসগুলো দেখানোর চেষ্টা করব। নেক্কার সন্তান লাভের জন্য অবশ্যই গর্ভবতী অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের আমলের মাধ্যমে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে নেককার সন্তান চেয়ে নিতে হবে।

ইসলামে গর্ভবতী মায়ের আমল

ইসলামে গর্ভবতী মায়ের যে আমলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সে আমলগুলো আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব। গর্ভবতী থাকা অবস্থায় গোনা থেকে বিরত থাকতে হবে অর্থাৎ আপনি যেহেতু বিশ্রামে আছেন এবং সব সময় ঘরের ভেতরে অবস্থান করছেন আপনার কাছে সহজ হবে গুনাহ থেকে দূরে থাকার।

তাই গর্ভবতী অবস্থায় গুনাহ থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল প্রত্যেকটি মায়ের জন্য তাই আপনারা চেষ্টা করবেন গর্ভবতী অবস্থা থেকে নিজেকে সবসময় গুনাহ থেকে দূরে রাখতে। এক্ষেত্রে একটি কুরআনের আয়াত রয়েছে সেটি হল”যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারো। তবে আমি তোমাদের ছোট গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেবে এবং সম্মানজনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাবো। সূরা নিসা আয়াত ৩১।

গর্ভবতী মায়েরা চাইলে ধৈর্যধারণের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। সাধারণত দেখা যায় যে এ সময় গর্ভবতী মায়ের শরীর সব থেকে বেশি অসুস্থ তাকে এবং দুর্বল অনুভব করে। তবে এ সময় যতটাই অসুস্থ হোক না কেন আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা রাখতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ঘন ঘন বমি ভাব দুর্বলতা ভাব ইত্যাদি ভাব সবসময় লেগেই থাকে তবে এ সময় ধৈর্য ধারণটাই হচ্ছে মূল আমল।

গর্ভবতী অবস্থায় অবশ্যই সময়মতো নামাজ পড়তে হবে এটা হচ্ছে অন্যতম একটি আমল। সময় মত নামাজ আদায় করুন এ সময় অস্থিরতা বেশি কাজ করে তাই যথাসময়ে নামাজ আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।

গর্ভবতী অবস্থায় সবসময় আল্লাহতালা শোকর আদায় করতে হবে। সাধারণত এ পৃথিবীতে সকল নারী বেঁচে থাকে একমাত্র মাহার উদ্দেশ্যে এবং সে যখন সে মা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার শোকর আদায় করা উচিত। এজন্য সবসময় মনে প্রানে আল্লাহ তায়ালা শুকরিয়া আদায় করতে হবে এবং আল্লাহ তালাকে জানাতে হবে যে আপনি তার জন্য আল্লাহ তাআলার উপর কতটা খুশি হয়েছেন।

গর্ভবতী অবস্থায় বেশি বেশি কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। তোমরা সকলে অবগত আছি যে গর্ভের সন্তান থাকা অবস্থায় কয়েক মাস পরে তার শ্রবন শক্তি তৈরি হয় এবং সে গর্ভে থাকা অবস্থায় বাইরে সবকিছু শুনতে পায়। ঠিক তখন যদি আমরা কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করে তাকে শোনাতে পারি অবশ্যই সে সন্তান বড় হয়ে মুমিন এবং ঈমানদার সন্তান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *