ফরজ নামাজের পর যে আমল করতে হয়

আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন এবং সেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ আদায় করার পরে যে আমল গুলোর মাধ্যমে আমরা এই নামাজের ফজিলত আরো বেশি বেশি পেতে পারি সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। আমরা সব সময় মুসলমান হিসেবে চেষ্টা করি আল্লাহ তায়ালার একজন প্রিয় বান্দা হতে তবে আল্লাহতালার প্রিয় বান্দা হতে হলে আপনাকে অবশ্যই আল্লাহ তাআলার হুকুম অনুযায়ী আমল করতে হবে।

অনেকেই রয়েছেন শুধু ফরজ কাজ গুলো পালন করে কিন্তু ফরজের বাইরে যে আমলগুলো রয়েছে যার দ্বারা আপনি আপনার আমলনামার প্রতিটি কানা ভরপুর করতে পারেন সে আমলগুলো অনেকেই করতে চায় না বা করতে পারেনা। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব একজন মুমিন ব্যক্তি ফরজ নামাজের পরে কি কি আমল করবে এবং কোন কোন আমল তাকে কারা উচিত।

ফরজ নামাজের পরে কি কি আমল রয়েছে হাদিস থেকে

আমরা ফরজ নামাজের পরে যে আমলগুলো রয়েছে সে আমলগুলো সম্পর্কে বেশক্তি হাদিস সংগ্রহ করেছে এবং আশা করব এই হাদীসগুলো থেকে আপনাদের জানানোর । আপনারা যারা ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গে আছেন তারা আজকে জানতে পারবেন ফরজ নামাজের পরে কোন কোন আমল করলে বা কোন কোন আমলের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।

সবার প্রথমে যে কাজটা আপনি করতে পারেন ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসি পাঠ করতে পারেন। এ সম্পর্কে একটি হাদিস থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন”যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোন অন্তরায় থাকবে না”(সু আবুল ঈমান হাদিস ২৩৯৫)। ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারলাম এখন আশা করব মুসলমান হিসাবে আপনি এত বড় একটা সুযোগের কথা শোনার পরও কোন ভাবে ফজর নামাজের পরে আয়াতুল কুরসি পড়ার চান্স মিস করবেন না।

জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ফরজ নামাজের পর একটি আমল আপনি করতে পারেন এবং সেই আমলটি সম্পর্কে একটি হাদিসে এসেছে যে”যে ব্যক্তি ফরজ ও মাগরিব পর সাতবার নিম্নে দোয়াটি পাঠ করে এবং ওই দিনে বাড়াতে তার মৃত্যু হয় তাহলে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে”(আবু দাউদ হাদিস 579)। দোয়াটি হল”আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার”।

ফরজ নামাজের পরে সর্বোত্তম জিকির

ফরজ নামাজের পরে যে জিকিরগুলো রয়েছে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জিকিরের সম্পর্কে আমরা হাদিস থেকে তথ্য জানতে পেরেছি। এ তথ্যগুলো অনুযায়ী উম্মুল মুমিনীন হযরত জুয়ারিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা বর্ণনা করেছেন-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যুষ ফরজ নামাজ শেষ করে তার কাছ থেকে বের হলেন। যখন তিনি ফজরের নামাজ আদায় করলেন তখন তিনি নামাজের জায়গায় ছিলেন। এরপর তিনি দোহার পরে ফিরে এলেন এবং তখনও তিনি বসে ছিলেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন আমি তোমাকে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলাম তুমি সেই অবস্থাতে আছো? তিনি বললেন হ্যাঁ; তখন আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-“আমি তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর চারটি কালেমা তিনবার পড়েছি। আজকে তুমি এ পর্যন্ত যা বলেছ তার সঙ্গে ওজন করলে এই কালেমা চারটির ওজনই বেশি হবে।

আমাদের প্রিয় নবী যে চারটি কালেমার কথা উল্লেখ করেছে সেগুলো হচ্ছে-সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি ওয়াদাদা খালকিহি, ওয়াহ রিদাআ নাফ সিহি, ওয়াজিনাতা আরসিহি, ওয় মিদাদা কালিমাতিহি।

আশা করছি আপনারা ফরজ নামাজের পরে এই আমল গুলো করতে পারেন এ ছাড়াও আরো অন্যান্য আমল সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া থাকবে সে তথ্যগুলো আপনারা একটু কষ্ট করে পড়ে নিতে পারেন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *