ঈদের রাতের কি কি গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে

সকল মুসলিম উম্মার জন্য আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা দুটি দিন অত্যন্ত আনন্দের দিন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন এবং এই দিন দুটিতে আমরা সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করি। আজকে আমরা আলোচনা করব এই দুই ঈদের দিনের রাতে যে গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলো আমরা করতে পারি এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি সেই সম্পর্কে।

ঈমানদার এমন মুমিন ব্যক্তিরা সবসময় পরকালের কথা চিন্তা করে এবং সেই চিন্তা করে তারা সব সময় আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রত্যেকটি সময়কে কাজে লাগায়। তাই তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত ২টিতে ইবাদত করা থেকে পিছিয়ে থাকেনা। আপনিও যদি ঈদের রাতে ইবাদত করতে চান তাহলে কি ইবাদত করতে পারেন সে সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেল সম্পন্ন করবেন।

ঈদের রাতের আমল ও ফজিলত

সাধারণত আগামীকাল যদি ঈদ থাকে তাহলে আমরা অনেক আনন্দে থাকি এবং সে আনন্দে থাকা অবস্থায় আমরা আল্লাহতালা আমল করতে ভুলে যাই। ঈদের কেনাকাটা বা অন্য ব্যস্ততায় দেখা যায় যে অনেকে ফরজ নামাজও পড়ে না। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ সময় টা যদি আপনি সঠিকভাবে কাজে লাগান তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন। চলুন দেখি ঈদের আগের দিনে কোন কোন আমল করতে পারেন।

নতুন ঈদের চাঁদ দেখা এবং দোয়া পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। পবিত্র শাওয়াল মাসের চা তথা নতুন চাঁদ দেখার দোয়া করা সুন্নত তার কারণ হলো আমাদের প্রিয় নবী। ওবায়দুল্লাহ থেকে বর্ণিত নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নতুন চাঁদ দেখলে এই দোয়া পাঠ করতেন “হে আল্লাহু! ঈমান ও নিরাপত্তা শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। আমারও তোমার প্রভু আল্লাহ।” (তিরমিজি হাদিস ৩৫২৬)।

ঈদের রাতে নফল ইবাদত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত এবং আল্লাহ তালার কাছে অত্যন্ত পছন্দের একটি। ঈদ যেমন আমাদের জন্য আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে তেমনি আল্লাহতালার নৈকট্য লাভের সুযোগকে আমরা কোনভাবে মিস করতে পারি না। আবু উবামা রাদিয়াল্লাহু বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “যে ব্যক্তি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির লাভের জন্য দুই ঈদের রাত জেগে ইবাদতে মশগুল হবে, কিয়ামতের কঠিন এর দিনেও তার অন্তর মরবে না, যেদিন ভয়ঙ্কর বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কারণে মানুষের অন্তর মারা যাবে” (ইবনু মাজাহ হাদিস নাম্বার ১৭৮২)।

নফল ইবাদতের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নফল নামাজ আদায় করা। দুই রাকাত করে নামাজের নিয়ত আপনারা করতে পারেন এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নফল ইবাদত করতে পারেন।

ঈদের রাত জেগে আপনারা বেশি বেশি কোরআন মাজিদ তেলাওয়াত করতে পারেন। কোরআন মাজিদ তেলাওয়াত করা আল্লাহ তাআলার জন্য অত্যন্ত পছন্দের কাজ তাই আমরা ঈদের দুই রাত কোরআন মাজীদ করব এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দোয়া প্রার্থনা করব।

গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হচ্ছে ঈদের দিন সময়ই আমরা কোনভাবেই ইবাদত থেকে দূরে থাকতে পারিনা। আশা করছি আপনারা আল্লাহ তাআলার নিয়ম অনুযায়ী দোয়া করবেন এবং ইবাদত করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *