দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল

সাধারণত মুসলমান হিসেবে বিয়ে আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আমরা যদি এই বিয়ে করি তাহলে অবশ্যই আমাদের বহু বিপদ থেকে মুক্তি করেন সৃষ্টিকর্তা। এবং বিবাহিত মানুষের সংসারে আল্লাহর কর্তৃক একটি বিশেষ রহমত সব সময় নাযিল হয়। তাই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে অবশ্যই একজন পুরুষ অথবা একজন মহিলাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া উচিত।

তবে এখানে অনেকেই রয়েছেন যারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন না। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন পারিবারিক সমস্যা আর্থিক সমস্যা ও অন্যান্য সমস্যার কথা চিন্তা করে যারা বিবাহ করতে পারছেন না তাদের জন্য রয়েছে এমন কিছু বিশেষ আমল ও ইবাদত যার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের পাশাপাশি আপনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। সৃষ্টিকর্তা কোরআন শরীফে এমন কিছুই বাকি রাখেনি যেগুলো আমাদের এই জীবনে কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়বে না।

যে সকল দোয়া অথবা বরকতে দ্রুত বিয়ে হয়

সাধারণত বিয়ের বয়স হয়ে গেলেই বিয়ে করা উচিত তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই নিজের পরিবারের কথা এবং আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করে সঠিক সময়ে বিয়ে করেন না। একজন পুরুষ অথবা একজন মহিলা যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাবে তখন অবশ্যই তাকে বিয়ে করতে হবে। তবে যদি বিয়ে না হয় অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে এবং আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে বিয়ে করার আমল গুলো করতে হবে।

আমল করতে পারেন সেটি হচ্ছে নিয়মিত নামাজের পর তাজবি হে ফাতেমা পড়া। এই তাজবি হে ফাতেমা পড়ার আগে কোরআন তেলাওয়াত ও দরুদ পাঠ করা সব থেকে উত্তম।

সব থেকে প্রথমে যে আমলটি আপনি করতে পারেন সেটি হলো আলহামদুলিল্লাহ 33 বার পড়া। প্রতিদিন অন্তত একবার করে হলেও আপনাকে নিয়মিত এই তাজবিহ পড়তে হবে।

সুরা তওবার একটি আয়াত রয়েছে যে আয়াতকে আপনাকে বারবার পড়তে হবে। ইস্তেগফার করা যেটা আমাদের সকলের নিয়মিত করা উচিত। আমি যে অবস্থানে যে পরিস্থিতিতে ই থাকি না কেন আমাদের সব সময় মনের ভেতরে ইস্তেগফার পাঠ করা।

এমন কোন মুহূর্তে নেই যেখানে আপনি আস্তাগফিরুল্লাহ পড়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন। এটা একে এক ধরনের আমলের পাশাপাশি সব সময় আপনার মনে প্রশান্তি রাখতে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়াটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

বিয়ের আমলের মধ্যে আরও একটি আমল রয়েছে সেটি হচ্ছে সূরা আদ দোহাসহ সূরা কাসাসের আয়াত গুলো পড়া। আপনি এই আয়াতগুলো যত বেশি পড়বেন আপনার বিয়ের সময় তত বেশি সামনে এগিয়ে আসবে।

মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে একটি আমল আছে সেটি হচ্ছে সূরা দোহা ১১ বার তেলাওয়াত করে তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালা সর্বোত্তম পাত্রের ব্যবস্থা করে দেন।

এর পাশাপাশি সকল যুবক-যুবতী পুরুষ এবং মহিলাকে সূরা ইয়াসিন নিয়মিত পাঠ করতে হবে। বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সমস্যা থাকলে সূরা ইয়াসিন নিয়মিত পাঠ করলে সেই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়।

সাধারণত সূরা ইয়াসিনের সাতটি মুবিন রয়েছে এবং প্রতিদিন সকালে সূর্য যখন পূর্ব আকাশে লাল হয়ে ওঠে তখন পশ্চিমমুখী হয়ে সুরা ইয়াসিন পড়তে হবে আর যখনই মুভির শব্দ তিলাওয়াত করা হবে তখন এর শাহাদাত আঙ্গুল ধুয়ে পেছনের দিকে অর্থাৎ সূর্যের দিকে ইশারা করতে হবে।

যে আমলে নারী ও পুরুষের দ্রুত বিয়ে হয়

সাধারণত যে সকল আমলগুলো আমরা পড়লে দ্রুত বিয়ে হবে সে সকল আমল সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসের যথেষ্ট বর্ণনা রয়েছে। তবে এটার সঙ্গে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটি যেটি হচ্ছে মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

আপনি জানেন কি আপনার রিজিকের মালিক হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা তাই আপনি রিজিকের সন্ধান নিয়ে চিন্তিত থেকে যদি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও বিয়ে না করেন সেটা আপনার ভুল। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে বিয়ে করা এবং দোয়া করতে হবে যেন আল্লাহর রহমত আপনার উপর বর্ষিত হয় এবং আপনাদের সকলের সঠিক রিজিক আল্লাহ আপনাদের জন্য প্রদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *